সাভারের হেমায়েতপুর-ভাটারা প্রথম পাতাল রেলের কাজ শুরু জুলাইয়ে

তপু ঘোষাল তপু ঘোষাল

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ৩:৪১ অপরাহ্ণ, মে ২৪, ২০২৩ 160 views
শেয়ার করুন

ঢাকা জেলার সাভারের হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার এমআরটি লাইন-৫ : নর্দান রুট তৈরির জন্য ঠিকাদার কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সই করেছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। জাপানের টোই ও বাংলাদেশের স্পেকট্রাম এর জয়েন্ট ভেঞ্চারে এই রুটের ভূমি উন্নয়ন হবে। ভূমি উন্নয়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ১৪৯ কোটি টাকা। আন্তর্জাতিক এ চুক্তি সংক্রান্ত নানা কাজ ও আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে দুই মাস পর অর্থাৎ জুলাই মাসে শুরু হবে ভূমি উন্নয়ন কাজ। এ চুক্তির অধীনে মোট ৯৯ দশমিক ২৫ একর ভূমি উন্নয়ন করা হবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় ডিএমটিসিএল ভবনে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড, টিওএ করপোরেশন (জাপান) এবং স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের (বাংলাদেশ) মধ্যে এই চুক্তি সই হয়। এমআরটি-৫ নর্দান রুট নির্মিত হবে হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত। শহরের ভেতর দিয়ে এই মেট্রো তৈরি করা হবে।

গাবতলী, মিরপুর-১০, কচুক্ষেত, বনানী, নতুনবাজার সড়কের নিচ দিয়ে যাবে রুটের একটি অংশ। আর হেমায়েতপুর থেকে আমিনবাজার এবং নতুনবাজার থেকে ভাটারা অংশ তৈরি করা হবে সড়কের ওপর দিয়ে।

পাতাল ও উড়াল রুটের সমন্বয়ে লাইনটির দৈর্ঘ্য হবে ২০ কিলোমিটার। এর মধ্যে ১৩ দশমিক ৫০ পাতাল ও ৬ দশমিক ৫০ কিলোমিটার হবে উড়াল রুট।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে জানানো হয়, পাতাল ও উড়াল দুইভাবে হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত এই রুটে চলাচল করবে মেট্রো ট্রেন। ২০ কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দেবে ৩২ মিনিটে। দৈনিক ১২ লাখ ৩০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। আগামী জুলাইয়ে এর কাজ শুরু হতে পারে।

এমআরটি-৫ এর পাতাল অংশে নয়টি ও উড়ালে পাঁচটিসহ মোট ১৪টি স্টেশন নির্মাণ হবে। এর মধ্যে মাটির নিচে স্টেশন থাকবে যথাক্রমে গাবতলী, দারুস সালাম, মিরপুর-১, মিরপুর-১০, মিরপুর-১৪, কচুক্ষেত, বনানী, গুলশান-২ ও নতুনবাজার।

প্রকল্পটির কাজ ২০২৮ সালের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা সরকারের। এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা। এ প্রকল্পেও ঋণসহায়তা দিচ্ছে জাইকা। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়াওমা কিমিনরি, জাইকার প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তমোহিদে।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক। এ ছাড়া বিআরটিএ ও ডিএমটিসিলের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-৫) নর্দার্ন রুট প্রকল্পের পরিচালক মো. আফতাব হোসেন খান বলেন, নর্দার্ন-৫ রুটে মোট ভূমি উন্নয়ন ব্যয় এক হাজার ১৪৯ কোটি টাকা।

এ বিষয়ে চুক্তি সই হয়েছে। দুই মাস পরে কাজ শুরু হবে। এটাই বাংলাদেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেলের আনুষ্ঠানিক কাজ বলা যায়।