ওসমানীনগরে আসক’র মামলায় গ্রেফতার শিশু বলাৎকার সেই মাদ্রাসার সুপার

মাহবুব জয়নুল মাহবুব জয়নুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১:৪৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৩ 794 views
শেয়ার করুন

সিলেটের ওসমানীনগরে গত ৬ জুন এক মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থীকে মাদ্রাসার সুপার কর্তৃক বলাৎকারের অভিযোগ পাওয়া যায়। পরে এ ঘটনায় ওই মাদ্রাসা সুপারকে শাস্তি হিসেবে ৩০ বার কান ধরে উঠবস ২২ হাজার টাকা জরিমানা করে বিষয়টি সমাধান করা হয়। এছাড়া ওই মাদ্রাসা সুপারকে মুচলেকা নিয়ে মাদ্রাসা থেকে বরখাস্ত করেছেন মাদ্রাসা কমিটি ও স্থানীয় গ্রামবাসীরা।

 

আন্তজাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) এর সিলেট বিভাগীয় সভাপতি রকিব আল মাহমুদ (৪৪) বাদি হয়ে ওসমানীনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলার সাদিপুর ইউপির নুরপুর গ্রামের নুরপুর হাফিজিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার সুপার আব্দুল কাদির (৬০)কে গ্রেফতার করে পুলিশ।

 

অভিযুক্ত মাদ্রাসা সুপার আব্দুল কাদির সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লন্তীর মাটি গ্রামের মৃত নূরুল হকের ছেলে ও উপজেলার সাদিপুর ইউপির নূরপুর হাফিজিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার সুপার ছিলেন।

 

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৬জুন শনিবার নুরপুর হফিজিয়া মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের ১১ বছরের এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক বলাৎকার করে মাদ্রাসা সুপার আব্দুল কাদির। বিষয়টি নির্যাতিত শিশু তার বাবা-মাসহ পরিবারের লোকজনকে অবহিত করলে ভুক্তভোগী শিশুর বাবা মাদ্রাসার কমিটিসহ গ্রামের মাতবরকে অবহিত করেন। তাৎক্ষণিকভাবে নির্যাতিত শিশুকে উপজেলার তাজপুরে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।

 

আর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তড়িঘড়ি করে ঘটনার পরের দিন রোববার মাদ্রাসা কমিটিসহ গ্রামবাসী ১০-১৫ জনের একটি দল মাদ্রাসার অফিসে গিয়ে আব্দুল কাদিরকে সবার সামনে ৩০ বার কান ধরে উঠবস করিয়ে তার কাছ থেকে ২২ হাজার টাকা মুচলেকা আদায় করে চিকিৎসার জন্য ভুক্তভোগীর বাবাকে দেওয়া হয়। পরে একজন শিক্ষকের মাধ্যমে সুপার আব্দুল কাদিরকে গড়িতে তুলে পালিয়ে যেতে ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।

 

গ্রেফতারের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসমানীনগর থানার এস আই সুবিনয় বলেন, একটু পরে কথা বলছি এবিষয়ে আলাপ হচ্ছে ওসি স্যারের সাথে।