ঘূর্ণিঝড় আম্পানে মোংলা বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ, “অ্যালার্ট থ্রি” জারি

এনামুল হক এনাম এনামুল হক এনাম

মোংলা বন্দর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১১:৫৪ অপরাহ্ণ, মে ১৯, ২০২০ 501 views
শেয়ার করুন

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে মোংলায় ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ মে) দুপুর থেকে এই বৃষ্টিপাত শুরু হয়। তবে বাতাসের গতি কম। বৃষ্টির কারণে প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরম কমে পরিবেশ কিছুটা ঠান্ডা হয়েছে। আকাশ অন্ধকার হয়ে আসায় স্থানীয়দের মাঝে ঘূর্ণিঝড়ের কিছুটা ভীতি দেখা দিয়েছে। তবে রাস্তাঘাটে সাধারণ লোকজনের চলাফেরা এখনও স্বাভাবিক রয়েছে। প্রস্তুত রাখা আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়া শুরু করেছে লোকজন।তবে বন্ধ আছে মোংলা বন্দরের সকল কার্যক্রম

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার বিষয়ে জানান, ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি হওয়ার পর বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ‘অ্যালার্ট থ্রি’ জারি করা হয়েছে। বন্দরে যে ১১টি বিদেশি জাহাজের অবস্থান রয়েছে সেগুলোর কাজ বন্ধ রেখে নিরাপদে সরিয়ে রাখা হয়েছে। বন্দরের নিজস্ব নৌযানগুলো নিরাপদে রাখার পাশাপাশি পশুর চ্যানেলের সব নৌযানকে অন্যত্র নিরাপদে থাকার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া বন্দর জেটিতে নৌ বাহিনী ও কোস্ট গার্ডের আটটি যুদ্ধ জাহাজ অবস্থান নিয়েছে। সব মিলিয়ে প্রস্তুতি ও ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাহাত মান্নান ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. নাহিদুজ্জামান জানান, এখানকার ৮৪টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ বহুতল বিশিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা ১০৩টি।এবং জনসাধারণকে সচেতন ও আশ্রয় কেন্দ্রমুখী করতে ১১শ স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন।

মোংলা পৌর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে চালানো হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়ের সর্তকবার্তার ব্যাপক প্রচারণা। বন্দর কর্তৃপক্ষ, পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসন পৃথক কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি ও প্রচারণা চালাচ্ছেন।

পৌর মেয়র মো. জুলফিকার আলী বলেন, পৌরসভার ডিজিটাল কেন্দ্র থেকে প্রতিনিয়ত প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এছাড়া পৌর এলাকার মধ্যকার আশ্রয় কেন্দ্রগুলো ধুয়ে মুছে পরিষ্কারের পাশাপাশি খোলা রাখা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে আগতরা যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অবস্থান করে সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।

পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন জানান, সুন্দরবনে অভ্যন্তরে থাকা প্রায় দুই হাজার জেলে ইতোমধ্যে বনের বিভিন্ন নদী খালে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া বনের দুর্গম এলাকায় যে সব বন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা রয়েছেন তাদের সুবিধাজনক পার্শ্ববর্তী অফিস ভবনে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।