কৈশোরের উচ্ছাস আর যৌবনের প্রেম: ছাত্রলীগ আমার গর্ব ও অহংকার

প্রকাশিত: ১:৫২ অপরাহ্ণ, মে ১৬, ২০২০ 448 views
শেয়ার করুন

বাবার পকেট, মায়ের আচল, বোনের লুকিয়ে দেওয়া ভালোবাসা,ভাইয়ের বকা খেয়ে টাকা নেওয়া। এমন অনেক প্রেয়সী ও আছে লুকিয়ে সাদা খামে কিছু টাকা দিয়ে বলে তোমার জন্য ভালোবাসার উপহার। এরপর ছোট ভাই, বড় ভাই,বন্ধু স্বজন কতজনের কাছ থেকে ধার করার ইতিহাস তা লিখলে বই হয়ে যাবে।

ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতা কর্মীরা সবচেয়ে ঋণী থাকেন নিজের মা ও কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিন,চা দোকানদার, মুদি দোকানদার, সিঙ্গারা খাওয়ায় গলির মোড়ের আল ছালাদিয়া হোটেলের মামারা। শূন্য পকেটে এদের বাকি খেতে দেওয়ার ঋণ আমরা কোনদিন শোধ করতে পারবো না।

একজন ছাত্রলীগের নেতা ছাত্র রাজনীতি করে পেশায় আসতে আসতে কমপক্ষে তিন থেকে ছয় লক্ষ টাকা ধার দেনায় জর্জরিত হয়ে যায়। এরপরে ও কোন ছোট ভাইয়েরা কোন বিষয়ে সাহায্য চাইলে যে ভাবে হোক তাদের হাতে কিছু দিতে হয়। এরপর খেলাধুলা, পিকনিক শিক্ষা সফর সহ কত কিছু থাকে ছোটদের আবদার ফেলানো যায় ? অনেক ছোট ভাই পকেটে হাত দিয়ে নিঃস্ব করে নিয়ে যায় বলার কিছু থাকেনা । মোটর সাইকেল এই আসছি বলে নিয়ে গেলে সারাদিন অপেক্ষার পর ও আসেনা আর আসলে ও রাগ করে কিছু বলা যায় না যদি আদর্শিক ছোট ভাই ব্যথা পেয়ে যায় ।

ইমেজ ক্ষুন্ন হবে এই ভয়ে মেয়েদের ভালোবাসার অফার অবজ্ঞা করে বুকের মধ্যে এক রাশ বেদনা নিয়ে যৌবনে প্রেমের সমাধী রচনা করে ছাত্রলীগ নেতা ।

এরপর জন্মদিনের দাওয়াত, বিবাহের দাওয়াত সহ কত কি প্রতিমাসেই থাকে। এই সব দাওয়াতের জন্য ছোট্ট একটা গিফট বক্স নিলেও নিতে হয়।

নিজের ক্ষুধা সহ্য করে ছোটভাইদের খাবার আবদার পূর্ন করে পকেট শূন্য হয়ে ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে হাজার হাজার ছাত্রনেতা জীবনের কঠিন থেকে কঠিন সময় পাড়ি দিয়ে অতন্দ্র প্রহরীর ভুমিকা পালন করে চলেন।

ঠিক বয়সে বিয়ে করতে পারেনা শতকরা ৯৮% ছাত্রনেতা। জীবনের এমন সব গল্প কথা অনেকেই জানে না। এরপরেও খবর নিয়ে দেখেন দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতা কর্মীরা কোন না কোন ভাবে মানুষের সাহায্য করেছেন,পাশে দাঁড়িয়েছেন।

মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ বিলিয়ে দিয়েছেন ছাত্রলীগের ১৭ হাজার নেতা কর্মী , দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অগণিত প্রাণ বিসর্জন দিয়ে মাতৃভূমি কে রক্ষা করেছে ছাত্রলীগ ।

৯৮ সালের বন্যায় দুর্গতদের পাশে ত্রাণ তৎপরতায় অগ্রনী ভূমিকা রেখেছে ছাত্রলীগ । সর্বশেষ বর্তমান করোনা পরিস্থিতে মৃতদের দাফন কার্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এগিয়ে এসেছে আমার ছাত্রলীগ । কৃষকের ধান কেটে বাড়ীতে পৌঁছে দিচ্ছে ছাত্রলীগ , দুর্গত ও অসহায় মানুষের পাশে ত্রাণ নিয়ে হাজির ছাত্রলীগ –
এই জন্য ছাত্রলীগ আমাদের গর্বের সর্ব সুখের ঠিকানা।

এমন সব দেশপ্রেমিক ছাত্রনেতাদের জন্য অনন্ত শুভেচ্ছা ও এক সাগর বুক ভরা ভালোবাসা।