সিলেটের বিয়ানীবাজারে মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকার, মুহতামিম আটক

লুৎফুর রহমান লুৎফুর রহমান

সম্পাদক ও সিইও, বায়ান্ন টিভি

প্রকাশিত: ১১:১৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১ 868 views
শেয়ার করুন

সিলেটের  বিয়ানীবাজার পৌরসভার ফতেহপুর এলাকার হযরত হায়দর শাহ (রহঃ) হাফিজিয়া মাদ্রাসার এক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসার মুহতামিম হাফিজ আব্দুর রহিমকে (৫৫) আটক করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে বিজিবি সদস্যরা মাদ্রাসার মুহতামিমকে আটকের পর রাত ৮টার দিকে বিয়ানীবাজার থানায় হস্তান্তর করে।

জানা যায়, বিয়ানীবাজার বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের এক সদস্যের পুত্র হযরত হায়দর (রহঃ) হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র (১৫)। সম্প্রতি ওই ছাত্র মাদ্রাসা যাওয়া বন্ধ করে দিলে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে বলাৎকারের বিষয়টি বিজিবি সদস্য পিতাকে জানায়। বিজিবি’র ওই সদস্য ৫২ ব্যাটলিয়নের দায়িত্বশীলদের ঘটনাটি অবহিত করলে বুধবার দুপুরে মাদ্রাসার মুহতামিম হাফিজ আব্দুর রহিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ঘটনার সত্যতা ও ভুক্তভোগী ছাত্রের মৌখিক জবানবন্দী নেয়ার পর রাত ৮টার দিকে বিয়ানীবাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়।

বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় বলেন, মাদ্রাসার মুহতামিমকে বিজিবির পক্ষ থেকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পিতা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় মামলা দায়ের করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়ন বিয়ানীবাজারের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. শাহ আলম সিদ্দিকীকে মুঠোফোনে কল দেয়া হলে তিনি কল রিসিভ করেননি। পরে তাঁর মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠানোর পরও কোন সাড়া না পাওয়ায় এ বিষয়ে বিজিবি কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মাদ্রাসা ছাত্র বলাৎকার ঘটনায় মুহতামিম হাফিজ আব্দুর রহিমকে পৌর কিচেন মার্কেটে আটকে রাখা হয়েছে এমন সংবাদ পেয়ে ছাত্ররা উত্তেজিত হয়ে রাত ১২টার দিকে পৌরশহরে স্বশস্ত্রভাবে অবস্থান নেয়। পৌর কিচেন মার্কেটে সাবেক পৌর প্রশাসক তফজ্জুল হোসেনের ব্যক্তিগত অফিস ছাত্ররা ঘেরাও ও হামলা করে। পরে পৌর মেয়র ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপে মাদ্রাসা ছাত্ররা পৌর কিচেন মার্কেট ত্যাগ করেন।

এ ঘটনায় বেশ কয়েক দফা বৈঠকের পর পরিস্থিতি শান্ত হলেও বুধবার দিনভর মাদ্রাসা ছাত্রদের পৌরশহরের অবস্থান ও ভুক্তভোগী ছাত্রের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কয়েকটি ভিডিও ভাইরাল হলে ঘটনাটি ‘টক অব দা টাউনে’ পরিণত হয়।