সিলেট ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের ৭ম তলা নির্মাণে ফান্ড রেইজিং ডিনার অনুষ্ঠিত

নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক

বায়ান্ন টিভি

প্রকাশিত: ৫:৩৭ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২, ২০২১ 432 views
শেয়ার করুন

প্রায় ১৩৫ হাজার পাউন্ডের প্রতিশ্রুতি দিলেন প্রবাসীরা

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল সিলেটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছিল ২০১৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন সিলেটের চীফ প্যাট্রন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হসপিটাল উদ্বোধন করেন। সেই থেকে এই হাসপাতালটি সিলেট তথা প্রত্যন্ত অঞ্চলের হার্টের রোগীদের সুষ্ঠু সেবা প্রদান করে আসছে।
সিলেট তথা সমগ্র বাংলাদেশে দিন দিন হার্টের রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। রোগীদের চাপ বেশি থাকায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল সিলেটের  ৭তম তলা নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এ উপলক্ষে গত সোমবার ২৮জুন কেন্টের বেক্সলি মহারাজা রেস্টুরেন্টে এক ডিনারের আয়োজন করা হয়। ফ্্েরন্ডস অব ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন সিলেটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, চ্যানেল এস চেয়ারম্যান ও সিক্সথ ফ্লোর প্রজেক্ট ইউকে’র হেড আহমদ উস সামাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং চ্যানেল এস’র হেড অব প্রোগ্রাম ফারহান মাসুদ খানের পরিচালনায় ব্রিট ফাউন্ডেশন ইউকের বিশেষ সহায়তায় আয়োজিত এই ফান্ডরেইজিং ডিনার পার্টির শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন ইউকে পার্মানেন্ট ডোনার মেম্বার শেখ ফারুক আহমদ। কোরআন তেলাওয়াতের পর ইউকে কমিটির ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট হাফিজ মজির উদ্দিন, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ইয়াকুব ও ইউকে এডভাইজারী কমিটির প্রেসিডেন্ট এম এ আহাদ সহ মরহুমদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

সিলেট ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের জন্য ফান্ড রেইজিং ডিনারে বক্তব্য রাখছেন চ্যানেল এস চেয়ারম্যান আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন সিলেটের এক্সিকিউটিভ মেম্বার ও ইউকে সেক্রেটারি, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মিছবাহ জামালের স্বাগত বক্তব্যে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন সিলেট প্রতিষ্ঠায় প্রবাসীদের অবদানের কথা তুলে ধরা হয়।
তিনি বলেন, ২০০৬ সালে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ও বর্তমান চেয়ারম্যান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক স্বাস্থ্য উপদেষ্টা জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার ডা: এ মালিকের নেতৃত্বে সিলেট হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা  প্রেসিডেন্ট ডা. এম এ রকিব,  মিসেস রকিব, মিসেস এ মালিক, সেক্রেটারি প্রফেসর আমিনুর রহমান লস্কর ও পাবলিসিটি সেক্রেটারি আবু তালেব মুরাদ, লন্ডন সফরে এসে ঐতিহাসিক বাংলাদেশ সেন্টার লন্ডনে এসে প্রায় ১ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা ফান্ড রেইজ করে ইউকে প্রবাসীদের নিয়ে মরহুম হাফিজ মজির উদ্দিনকে প্রেসিডেন্ট, মিছবাহ জামালকে সেক্রেটারি ও এস আই আজাদ আলীকে নিয়ে ইউকে এডভাইজারী কমিটি গঠন করা হয়। তৎকালীন সময় প্রায় ১ কোটি টাকা মরহুম এম ইয়াকুব ও অন্যান্য ডোনারদের ৭০ লাখ টাকা প্রেরণ করা হয়। ২০০৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ইয়াজ উদ্দিন আহমেদ হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত ইউকে প্রবাসীরা ফাউন্ডেশনে সহযোগীতা করে আসছেন।

অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ মতামত পেশ করে বক্তব্য রাখেন, হক কনসালটেন্সির ফজলুল হক, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ডা. আলাউদ্দিন আহমদ, জালালাবাদ এসোসিয়েশন ইউকের প্রেসিডেন্ট মুহিবুর রহমান মুহিব, উপদেষ্টা বোর্ডের প্রেসিডেন্ট এম শামস উদ্দিন, বজলুর রশীদ এমবিই, প্রেস সচিব আব্দুল মুনিম জাহেদী ক্যারল, এম এ কাইয়ুম, জয়েন্ট সেক্রেটারি মনসুর আহমদ খান, ট্রেজারার আবদাল মিয়া। গোলাম রব্বানী রুহি আহাদ, মোহাম্মদ ইছবাহ উদ্দিন, চ্যানেল এস এর চিফ রিপোর্টার মোহাম্মদ জুবায়ের, ডা. মোসাররফ হোসেন, বিসিএ প্রেসিডেন্ট এম এ মুনিম, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বেলাল আহমদ, ফাউন্ডার সেক্রেটার সাংবাদিক নজরুল ইসলাম বাসন, এম এ গণী, সিদ্দিকুর রহমান জয়নাল, ফজলুর রহমান আকিক, আবুল লেইছ, ডা. হালিমা বেগম আলম, আলমগীর কবীর চৌধুরী, মারুফ চৌধুরী পলি রহমান, দর্পন সম্পাদক রহমত আলী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ি ইসলাম উদ্দিন, কাজি নোমান, কান্সিলার হানিফ আব্দুল মুকিত, মোহাম্মদ এনাম, ই হক, নাদির মজুমদার, অমি হোসেন, পলি রহমান, নাহিদা মিছবাহ, আয়শা খানম, রজিমুন্নেছা রুমা, ডাক্তার ফারহানা মালিক পলি, ড. চন্দন আলম, মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, শেখ ফারুক আহমদ, আব্দুল নুর, সাব্বির হোসেন, একাউটেন্ট রফিকুল হাদার, বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আলি সাদেক শিপু, সুফি সুহেল আহমেদ, শাহীন আহমেদ উজ্জল, মোহাম্মদ আলা উদ্দিন, মোহাম্মদ আব্দুল হাই, ডাব্লিউ আর চৌধুরী টিপু, আর একরামুজ্জামান, জামাল মিয়া, আব্দুল হান্নান, শেখ এম আহমেদ, আফজাল উদ্দিন, ফরহাদ হোসেন টিপু, আব্দুস সামাদ চৌধুরী, বেগম লাল বানু, গোলাম রসুল, মুহি আহাদ, ইব্রাহিম আলী খন্দকার।

তারপর নতুন পুরাতন স্থায়ী দাতা সদস্যরা টেবিলে টেবিলে ঘুরে সবার অভিমত নেন ও আহমদ উস সামাদ চৌধুরীর অনুরোধে একে একে সাড়া দেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সিমার্কের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি ইকবাল আহমেদ ওবিই দশ লাখ টাকা, চানেল এস ফাউন্ডার মাহি ফেরদৌস জলিল ৫০০০ পাউন্ড, বিশিষ্ট বাবসায়ীদের মধ্যে আবু লেইছ ৫০০০ পাউন্ড, এ গনি পরিবার ৫০০০ পাউন্ড, জালালাবাদ এসোশিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মুহিবুর রহমান মুহিব ৫০০০ পাউন্ড সংগ্রহ করে দিবেন। তারপর উপস্থিত প্রতেকে এক হাজার দুই হাজার পাউন্ড করে সপ্তম তলা নির্মানে সহায়তার জনা এগিয়ে আসেন।। এই পেনডামিকের পরেও  অনুষ্ঠানে লন্ডনের বিভিন্ন্ শহর থেকে আগত অতিথিরা এসে এই মহতি উদোগকে সফল করতে সচেষ্ট হন।
উল্লেখ্য জনাব আহমদ উস সামাদ চৌধুরীর হাতে যারা অনুদান প্রদান করেছেন তাদের নাম উল্লেখ করেন সর্ব প্রথম তিনি নিজে ও তার সহধর্মীনি মিসেস চৌধুরী ও জনাব আহমেদ উস সামাদ চৌধুরীর বড় ভাই সিলেট-৩ আসনের সাবেক সাংসদ মরহুম মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী এমপি, কাজি এ এইচ নোমান, কবির আহমদ খলকু, এসবি ফারুক, ফরহাদ হোসেন টিপু, এম আলা উদ্দিন, একাউটেন্ট সাইদুল খালেদ, মোহাম্মদ রুবেল, মোহাম্মদ আশিক মিয়া, মুস্তাকিম রেজা চৌধুরী, মোহাম্মদ জুবায়ের, আব্দুল হাই, সুহেল চৌধুরী, মানিক মিয়া, মিসেস সুরিয়া মিয়া, মোহাম্মদ ইছবাহ উদ্দিন, জহিরুল হক, ডাক্তার আলা উদ্দিন আহমেদ, পলি রহমান, ফজলুল হক, রফিকুল হায়দার ইতি মধ্যে প্রত্যেকে এক হাজার পাউন্ড করে অনুদান প্রদান করেছেন ও খুব শীগ্রই অনুদান প্রদান করবেন।

যারা এক হাজার/দুই হাজার পাউন্ড দিবেন তাদের মধ্যে কুশিয়ারা গ্রুপের এমডি হারুন মিয়া, ব্যারিস্টার মাসুদ চৌধুরী, প্যারিসের বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা হেনু মিয়া, সিদ্দিকুর রহমান জয়নাল,জামাল উদ্দিন মকদ্দস, ইব্রাহিম আলী খন্দকার, এম এ মতিন, মরহুম এম এ আহাদ ফ্যামেলী, ফ্রেন্ডস অফ রুহী আহাদ, মোহাম্মদ শাহীন উজ্জল, রাসুল ইউসুফ প্রমুখ ব্যাক্তিদের নাম পড়ে শোনান। এছাড়াও এফএনএইচএফের চেয়ারম্যান জনাব মাহমুদুর রশীদ, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট মহিব চৌধুরী, শারীরিক অসুস্ততার কারণে অনুপস্থিত ছিলেন জনাব মাহমুদুর রশীদ, মহিব চৌধুরী প্রত্যেকে এক হাজার পাউন্ড,  এম এ কাইয়ুম (দুই লাখ টাকা) ট্রেজারার আবদাল মিয়া, বজল্লু রশীদ এমবিই, মনসুর আহমেদ খান, অহিদ উদ্দিন মাদার অফ শেখ ফারুক আহমেদ, ফারহান মাসুদ খান, এনায়েত খান, নাহমাদ মিছবাহ, রুহুল শামসুদ্দিন, শারফুল শামসুদ্দিন প্রমুখ অনুদানের প্রতিশ্রুতি দেন। পরিশেষে নৈশ্য ভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।