ধনী ও গরিব সমন্বয়ে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা।কেউ ভাবে সমাজ কে আন্তর থেকে,আর কেউ ভাবে লোক দেখানো যায় কিভাবে।ধরা যাক,সেই ভিক্ষুক নাজিম চাচার কথা, বর্তমানে বাংলাদেশের এক এবং অদ্বিতীয় ব্যাক্তি।যিনি গোটা সমাজের মহানুভবতার শিক্ষক রূপে আবির্ভূত,কারন এ সমাজের অনেক ধনী,সু সময়ে গুণীজন, সমাজ সংস্কারক,অনেক জনপ্রতিনিধিকে হার মানিয়েছেন।ভিক্ষায় জমানো টাকা ,যা হয়তো ছিল জীবনের শেষ সম্বল,জীবনের শেষ বয়সে একটা ঘর তৈরির স্বপ্ন।চাচার স্বপ্নতে হয়তো ছিল না উচ্চ বিলাসীতা,নেক নিয়ত ছিল বলে বিওবান ব্যাক্তিকে টপকিয়ে মহানুভবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ইউ,এন এর ত্রান তহবিলে দশ হাজার টাকা জমা দিয়ে।অপর দিকে কিছু জনপ্রতিনিধি , বাংলাদেশর মানুষের কাছে নোবেল বিজয়ী ও অর্থনীতিবিদ এর মত মানুষ বাংলার দুঃখি মানুষের সামান্য গুছিত সম্পদ,বা গরিবের ত্রানের ভাগিদার হওয়ার অপকৌশল চালিয়ে যাচ্ছেন।
নোবেল বিজয়ী ইউনুস সাহেব,আপনি গ্ৰামীন ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে হাজার বাংলার দুঃখি মানুষের রক্ত চূষে কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।জাতীর ক্রান্তিকালে কিভাবে আপনার ব্যাংক কিস্তির টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন, আপনার বিবেক একটুও নাড়া দেয় না।দয়া করে আপনার এই মানবিক সত্ত্বাকে জাগ্রত করে ,দূরসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ান,ভুলবেন না এ জাতি,দেশের সরকার,সর্বপরি দেশ আপনাকে অনেক দিয়েছে,আপনি ভূলে গেলে চলবে না, জাতীর কাছে আপনার অনেক দায়বদ্ধতা আছে। শতাধিক মানুষের মাঝে ত্রান বিতরণ করে আপনার দায়বব্ধতা এড়াতে পারবেন না।
তখন মানুষ খুঁজবে সেই দঃখী নাজিম চাচা আর আপনার তফাৎ।কারন নাজিম উদ্দিন চাচা আজ প্রধানমন্ত্রী কর্তিক পুরস্কিত হয়ে মানবকল্যাণে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।তখন আপনার অবস্থান কোথায়?আজ যারা বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বা প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ বা খাদ্য সামগ্ৰী সূচারু ভাবে বন্টন করছেন জনপ্রতিনিধি বা রাজনৈতিক নেত্রীবৃন্দ,দেশী,বিদেশী বিভিন্ন কমিউনিটির নেত্রীবৃন্দকে ধন্যবাদ না জানালে নিজেকে অপরাধী মনে হবে।অন্যদিকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে গুটিকয়েক জনগনের ত্রান তহবিলের মাল আত্মসাৎ করতে মগ্ন ,তাদেরকে অনুরোধ করে বলি, বাংলা দেশের সরকারের উজ্জ্বল ভাবমুর্তি কে বুলন্টিত করবেন না ।
আপনাদের মত গুটিকয়েকের জন্য , জননেত্রী শেখ হাসিনার অক্লান্ত পরিশ্রম,অনেক নির্ঘুম রাত যেন আপনাদের কারনে কলন্কের চাপ যেন বয়ে না আনে।জাতীর ক্রান্তি কালে জনগনের আস্থা কুড়েনিক্ষিপ্ত হবেন না,। জাতির স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে নিজ স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েন না।কারন দুঃখি,মেহনতি মানুষ আপনাদেরকে ক্ষমা করবে না।তাই বঙ্গবন্ধু যথার্থই বলেছেন—
মুখে হাসি, বুকে বল।
তেজে ভরা মন,
মানুষ হইতে হবে মানুষ যখন।
সুতরাং বিবেকই জাতির কান্ড্রারী তৈরি করে,ধন-সম্পদ নয়।আর সমাজের বিবেকবান ব্যাক্তিই হলো প্রকৃত মানুষ।সে স্ব-সম্মান ও জনগনের সম্মান একই ভাবে চিন্তা করে।কারন ,এই সমাজ ই তার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।