কাতারে কর্মহীন প্রবাসীরা রেমিটেন্সের উপর ব্যাপক প্রভাব

প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে আতঙ্ক

প্রকাশিত: ৪:২২ অপরাহ্ণ, মে ১০, ২০২০ 583 views
শেয়ার করুন

করোনা ভাইরাসের কারণে কাতারে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে।সেই সাথে করোনা মহামারীর কারণে বন্ধ রয়েছে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড। বিশেষ করে কনস্ট্রাকশন, শিল্প-কলকারখানা ছোট বড় শপিং মল ও সেলুল।এসব বন্ধ থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে মধ্যপ্রাচ্যের লাখো প্রবাসী‌।

এসব দেশে কর্মরত প্রবাসীরা বাংলাদেশের মোট রেমিটেন্সের প্রায় অর্ধেকেরও বেশি যোগান দিয়ে থাকে। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের এসব প্রবাসীরা মাস শেষে বেতন পাওয়ার সাথে সাথেই দেশে থাকা প্রিয়জনদের নিকট পাঠাতেন কষ্টার্জিত অর্থ।

কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে কর্ম হারিয়ে অনেকটা মানবেতর জীবন যাপন করছে বেশিরভাগ প্রবাসী।ফলে ব্যাপক শঙ্কার সাথে সাথে চাকরি হারিয়ে রমজান মাসে খাদ্য ও অর্থনীতি সংকটে ভোগার পাশাপাশি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে প্রবাসীরা বাংলাদেশিরা।তাই চলমান সংকট দ্রুততম সময়ে শেষ না হলে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রেরণের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলে জানান কাতার প্রবাসী।

ইতি মধ্যে কাতার সরকার গাড়িতে দুইজনের অধিক না বসা ও মাক্স বাধ্যতামূলক করেছে। জাতীয় মসজিদে কিছু সংখ্যক লোক নিয়ে তারাবীহ নামাজ পড়ানো হচ্ছে সেই সাথে মসজিদে গনজামায়েত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ তাই পবিত্র রমজান মাসে যার যার বাসায় নামাজ আদায় করার আহ্বান জানিয়েছেন কাতার ধর্ম মন্ত্রণালয়।

কাতারে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে করোনা ভাইরাসের আকান্তের সংখ্যা ,সব মিলিয়ে ২১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।তারমধ্যে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৮ হাজারের অধিক।যদিও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন আড়াই হাজারের অধিক।আর দূতাবাসের তথ্য অনুসারে ৫ শতাধিকের অধিক বাংলাদেশি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছে।

এপর্যন্ত ১৩ জন মারা গেলেও তাদের মধ্যে ৪ জন বাংলাদেশি।ফলে ব্যাপক শঙ্কার সাথে সাথে চাকরি হারিয়ে রমজান মাসে খাদ্য ও অর্থনীতি সংকটে ভোগার পাশাপাশি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে প্রবাসীরা বাংলাদেশিরা।তাই চলমান সংকট দ্রুততম সময়ে শেষ না হলে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রেরণের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলে জানান প্রবাসীরা।

অন্যদিকে গ্রাম বাংলা রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী শাহ মোহাম্মদ ইমরান খন্দকার জানান, বৈশ্বিক মহারারি করোনা ভাইরাসের কারণে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি বাংলাদেশি মালিকানাধীন রেস্টুরেন্টগুলো।করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে হোটেলে বসে খাওয়া দাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।ফলে পার্সেল দেয়ার অনুমতি থাকলেও তাতে তেমন সাড়া নেই। এতে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে বাংলাদেশি রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা।

তাছাড়া বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক সংগঠনের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশীদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণে অনেক কোম্পানি এগিয়ে আসলেও কিন্তু চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।তাই চলমান এই সংকটে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতা ও গোপালগঞ্জ সমিতির সভাপতি মোঃ হাসিবুর রহমান।