সিলেট বিভাগে কোভিভ-১৯ আক্রান্ত রোগীদের প্লাজমা জোগাড় করে দিচ্ছে ” ইমাজেন্সি প্লাজমা কালেকশন টিম”
সিলেটের ৬৪ জন কোভিভ-১৯ আক্রান্ত রোগীকে প্লাজমাদাতা জোগাড় করে দিলো ইমাজেন্সি প্লাজমা কালেকশন টিম সিলেট।
চারদিক করোনা মহামারীর ছোবলে যেখানে আজ বিশ্ব থমকে গেছে। সেখানে এগিয়ে এসেছেন মানবতার তরে অন্ধকারে আলোর খোঁজে এক ঝাক ঝলমলে, আকাশের তারার মতো সিলেটের কিছু তরুন সেচ্চাসেবীরা।
তারা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে “ভয় নয় সচেতনতা হোক আমাদের মূল চালিকাশক্তি” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সহযোগিতায়। “প্লাজমা কালেকশন টিম সিলেট” নামে একটি সেচ্চাসেবী টিম গঠন করে কোভিভ-১৯ আক্রান্ত রোগীদের পাশে দাড়িয়েছে।
সিলেট বিভাগের একমাত্র অফলাইনে এবং অনলাইন ভিত্তিক টিম যারা নিরলসভাবে পরিশ্রম করে এখন পর্যন্ত শুধু সিলেট বিভাগের ৬৪ জন কোভিভ-১৯ আক্রান্ত আইসিউতে ভর্তি হওয়া রোগিকে প্লাজমাদাতা জোগাড় করে দিতে সক্ষম হয়েছিল। এছাড়াও সিলেটের একমাত্র প্লাজমাদাতা এই টিমের টিম লিডার, আবু মুসা মোস্তুফা। যিনি কোভিভ-১৯ থেকে সুস্থ হয়ে সবার দোয়ায় এবং ভালবাসায় ৪ বার প্লাজমা দান করতে সক্ষম হয়েছেন। এবং প্রতিবারই তিনি ৪০০ এমএল করে মোট, (১৬০০এমএল) প্লাজমা দিয়ে ৬ জন কোভিভ-১৯ আক্রান্ত আইসিউ তে ভর্তি রোগীর জীবন বাঁচাতে এগিয়ে এসেছেন।
সিলেট বিভাগের কোভিভ-১৯ থেকে সুস্থ হওয়া ডাক্তার, সেচ্চাসেবীরা সহ সব ধরনের মানুষেরা যারা প্লাজমা দিতে সক্ষম হয়েছেন। তারা এই টিমের মাধ্যমে সিলেট প্লাজমা দিতে পেরেছেন বলে প্লাজমাদাতারা নিজেদের ভাগ্যবান মনে করেন।
উল্লেখ্য যে, এই টিম সিলেট বিভাগের বিভিন্ন উপজেলা থেকে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে প্লাজমাদাতাদের লিষ্ট সংগ্রহ করে এবং তাদের কে বিভিন্ন উৎসাহমূলক দিক নির্দেশনা দিয়ে প্লাজমা দিতে উদ্ভুদ্ধ করা হয়েছে।।উক্ত টিমে একমাত্র উপদেষ্টা হিসেবে আছে মাউন্ট এডোরা হসপিটালের- ডাঃ সৌরভ দেব রাজ।
এছাড়াও টিমের মধ্য যে সকল সদস্যরা নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন , তাদের মধ্য অন্যতম হচ্ছেন প্রধান -;সমম্বয়ক: মুক্তার হোসেন মান্না, সহ -সমম্বয়ক এনাম উদ্দিন। সিলেট বিভাগের একমাত্র ৪ বার প্লাজমাদাতা” আবু মুসা মোস্তফা, মুহিবুর রহমান সুয়েব, রবিউল ইসলাম রবি, তানিম খান, জইনুদ্দিন জয়, মুক্তার আহমেদ রাসেল, শামীম আর রহমান, হোসাইন আহমেদ কাউসার, মুনতাসীর ওমর, সহ প্রমুখ।

