সিরাজগঞ্জে বাড়ছে নদী ভাংগন

ইউনুস আলী শাওন ইউনুস আলী শাওন

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৪:৫০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৯, ২০২০ 640 views
শেয়ার করুন

তিনদিন পানি বাড়ার পর সিরাজগঞ্জ ও কাজিপুর পয়েন্টে আবারও কমতে শুরু করেছে যমুনা নদীর পানি। তবে নদীভাঙন ও মানুষের রোগ বেড়েছে।

৯ আগস্ট সকালে যমুনার পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৬৬ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে, কাজিপুর পয়েন্টে রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৫১ মিটার। যা গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ২৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রনজিৎ কুমার সরকার জানান, গত ৩ দিন বাড়ার পর আবারও পানি কমতে শুরু করছে। তবে চতুর্থ দফায় যমুনার পানি দ্রুত কমতে থাকায় বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে বন্যাকবলিত মানুষেরা আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছে।

এদিকে, ঘরবাড়ি থেকে পানি না নামায় দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে বানবাসি মানুষদের। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও বিভিন্ন উঁচু জায়গায় আশ্রয় নেওয়া মানুষ গবাদি পশুর সাথে গাদাগাদি করে বসবাস করায় দেখা দিয়েছে নানা রোগবালাই। ডায়রিয়া, জ্বর, চর্মসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগে ভুগতে দেখা গেছে অনেককেই। একদিকে যেমন আয় রোজগার নেই, অন্যদিকে পানিবন্দি থাকায় সঠিকভাবে চিকিৎসাও করাতে পারছে না। এতে রোগ-বালাই নিয়েই তাদের কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে। এছাড়াও বিশুদ্ধ পানির অভাবে অনেকেই পেটের পীড়ায় ভুগছেন।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহিম বলেন, প্রথম দফায় পানি বাড়ে ২৬ জুন, দ্বিতীয় দফায় ২০ জুলাই, তৃতীয় দফায় ২৩ জুলাই, চতুর্থ দফায় ৩১ জুলাই থেকে পর্যায়ক্রমে যমুনা নদীতে পানি আসায় জেলার ৭টি উপজেলার ৬৪টি ইউনিয়নে নিম্নাঞ্চলের ১ লাখ ১৮ হাজার পরিবারের ৫ লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। বন্যাকবলিতদের জন্য ৫৬৩.৫ মেট্রিক টন চাল, ৫৮৯০ প্যাকেট শুকনো খাবার ছাড়াও নগদ ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, বন্যাকবলিত প্রতিটি ইউনিয়নে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। বাঁধে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের ওষুধ ও স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে।