কুষ্টিয়ায় মোবাইল কোর্টে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড
সুজন কুমার কর্মকার সুজন কুমার কর্মকার
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে কুষ্টিয়ায় মোবাইল কোর্টের ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
৮ জুলাই বুধবার হরিনারায়ণপুর বাজারে অবৈধ গুড়ের কারখানায়, কুুুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইসাহাক আলী এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইসাহাক আলী জানান, রাতে খবর পাই গুড় তৈরির একটি কারখানায় পঁচা গুড়, চিনি, আটা ও বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান দিয়ে ভেজাল গুড় উৎপাদন করছে।
রাতেই টিম প্রস্তুত করে সূর্যের আলো ফোটার আগেই টিম নিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া শহর থেকে বেশ খানিকটা দূরে হরিনারায়ণপুর বাজারে অবৈধ গুড়ের কারখানায় উপস্থিত হলাম।
এটা নিছক গুড়ের কারখানা নয়, মানুষকে ঠকানো এবং মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলার কারখানা বানিয়েছে তারা।
গিয়েই দেখলাম সামনে চিনির বস্তা; কিন্তু জাল করছে গুড়! আর থরে থরে সাজানো পাটালিগুড়! অর্থাৎ বস্তা বস্তা চিনি হয়ে যাচ্ছে গুড়! বাজারে গুড়ের চেয়ে চিনির দাম কম। অধিক লাভের আশায় অসাধু ব্যবসায়ীরা এই কাজ করে।
কারখানার পাশে গোপন গোডাউনে গিয়ে চোখ কপালে উঠার মতো অবস্থা! গুড়ের কারখানায় চিনির গোডাউন! ১২৫ বস্তা চিনি, ১৫ বস্তা আটা ও ৩৪+ কোলা গুড় একটি ঘুটঘুটে অন্ধকার কক্ষে রাখা হয়েছে!
গুড়ের কোলা/মটকিতে লাইট মেরে উঁকি দিয়ে দেখলাম সাদা পোকা কিলবিল করছে ! কয়েকটি কোলাতে গুড়ের উপর ফাঙগাস পড়ে গেছে।
কারখানাটিতে এই সকল পঁচা গুড়, চিনি, আটা ও অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান যুক্ত করে জালিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ভেজাল গুড়, যা ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে।
কারখানাটির মালিককে ১,০০,০০০ টাকার অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। পঁচা গুড় উপস্থিত জনসাধারণের সামনে প্রকাশ্যে ধ্বংস করা হয়। চিনি ও উৎপাদিত গুড় জব্দ করা হয়। মান্যবর জেলা প্রশাসক, কুষ্টিয়া মোঃ আসলাম হোসেন স্যারের নির্দেশনায় কুষ্টিয়াতে ভেজাল বিরোধী অভিযান আরও জোরদার করা হবে। অভিযানটিতে সহযোগিতা করেছেন, প্রসিকিউটর হিসেবে কুষ্টিয়া সদর স্যানিটারি ইন্সপেক্টর সুলতানা রেবেকা নাসরিন, র্যাব-১২ এবং জেলা আনসারের এর সদস্যগণ।
______________
সুজন কুমার কর্মকার
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি