বন্ধ হতে যাচ্ছে টাওয়ার হ্যামলেটস এর ডে সেন্টার সমুহ

বেকার হবেন শত শত কর্মকর্তা - কর্মচারী: বঞ্চিত হবেন সরকার ঘোষিত ফার্লো থেকে

এম এ জামান এম এ জামান

বায়ান্ন টিভি

প্রকাশিত: ১:২৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ২, ২০২০ 1,076 views
শেয়ার করুন

 

লন্ডন বারা অব টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের ফান্ড বন্ধের হটকারি সিদ্ধান্তের কারনে বারায় লার্নিং ডিজেবল সার্ভিস ইউজারদের সেবা প্রদানকারী ডে সেন্টার গুলো বন্ধ হতে চলেছে। ফলশ্রুতিতে চাকুরি হারেবেন শত শত কর্মকর্তা – কর্মচারী। ঘোষণাটি এমন সময় আসলো, যখন সরকার ঘোষিত ফারলো বা বেতনের ৮০% পাবার সময় সীমা পার হয়ে যায়।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায় টাওয়ার হামলেটস কাউন্সিল গত ৩০ জুন সার্ভিস প্রোভাইডদের নিয়ে কাউন্সিলে এক মিটিং আয়োজন করে কোন কনসালটেশন ও কারন দর্শানো ব্যাতিরেখে এবং যুক্তিযুক্ত সময় না দিয়ে আগামী ১৭ জুলাই থেকে বর্তমান ব্লক ফান্ডিং বন্ধের ঘোষণা দেয়। এ সময় কাউন্সিলের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন লার্নিং ডিজেভিলিটিজ এন্ড অটিজমের সিনিয়র জয়েন্ট কমিশনিং ম্যানেজার ডায়ানা ব্রানহার্ট।

উল্লেখ্য টাওয়ার হ্যামলেটস এর সবকটি ডে সেন্টার কোভিড-১৯ মহামারীর কারনে মার্চের শেষ সপ্তাহে বন্ধের নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি সবগুলো সেন্টারকে ব্লক কন্ট্রাকের আওতায় নিয়ে আসে। সেন্টার গোলোর সব এমপ্লয়ীদের স্টেন্ডবাই রাখা হয়। সার্ভিস ইউজারদের কল্যাণে সোস্যাল সার্ভিসের গাইড লাইন অনুকরণ করে সেন্টার গুলো আউটরিচ ও ভিডিও কলের মাধ্যমে সেবা অব্যাহত রেখেছে।

এদিকে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের লার্নিং ডিজেবেলিটিজ এন্ড অটিজম এর সিনিয়র জয়েন্ট কমিশনিং ম্যানেজার ডায়ানা ব্রানহার্ট গত ৩০ জুন মঙ্গলবার দুপুরে ডে সেন্টারের প্রভাইডারদের সাথে মিটিং আয়োজন করে জানিয়ে দেন ১৭ জুলাইয়ের পর ব্লক কনট্রাক্ট আর থাকছেনা। শুধু  আউটরিচ এবং ভিডিও কল বা ফোন কলের মাধ্যমে যে সেবা প্রদান করা হবে তার জন্য স্পট কন্ট্রাক্ট দেয়া হবে।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায় বর্তমানে করোনা প্যান্ডামিকের কারনে সবকটি ডে সেন্টার বন্ধ রয়েছে। যে সমস্ত সার্ভিস ইউজাররা সার্ভিস চান শুধু  মাত্র তারা ১ ঘন্টার আউট ডোর এক্টিভির সুযোগ পান। এক ঘন্টার বেশি কেউ চাইলেও ইউজার সেইফটির কথা বলে দেয়া হচ্ছে না। ফোন কল অথবা ভিডিও কলের মাধ্যমে আরো কিছু সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এই হিসেবে একজন সার্ভিস ইউজার সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৫ ঘন্টা সেবা পান। আর কাউন্সিল একে স্পট কন্ট্রাক্ট হিসেবে পে করবে। অথচ একজন সার্ভিস ইউজার স্বাভাবিক সময়ে সপ্তাহে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ ঘন্টা পেয়ে থাকে।

লকেল গভর্নমেন্টের এসব সংকোচন ফর্মুলা এই কোভিড ১৯ সংকট সময়ে বাস্তবায়িত হলে আর্থিক কারনে বন্ধ হয়ে যাবে লার্নিং ডিজেবল মানুষের সেবায় নিয়োজিত প্রায় সবকটি ডে সেন্টার। চাকুরি হারাবে শত শত মানুষ, বঞ্চিত হবে সরকারের ফার্লো সুবিধা থেকে।