মরুভূমির মরুদ্যান থেকে বলছি: আওয়ামী শক্তি একতার প্রয়োজন

প্রকাশিত: ৫:৫৭ অপরাহ্ণ, জুন ২৬, ২০২০ 768 views
শেয়ার করুন

স্বাধীনতা বিরুধী দালাল(ছাগু)শব্দের ব্যবহারটা অযাচিত ভাবে এত বেশী হচ্ছে,যার সুবাদে স্বাধীনতা বিরুধীসহ (ছাগু) তাদের সন্তান শাবকরা এই শব্দের প্রয়োগ থেকে সহজেই পার পেয়ে যাচ্ছে।এবং আমাদের মধ্যে কাঁদা চুরাচুরি দেখে তারা তাদের কুৎসিত দাঁত কেলীয়ে হাসি দিয়ে পাশবিক সুখ নিচ্ছে,যার সুযোগটা অনেকাংশে করে দিচ্ছি আমরা, যেমন-আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারন করি, মুক্তিযোদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করি,বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদে আস্হা রাখি,সেই আমরাই পান থেকে চুন খসলেই(সামান্য মতোবিরুধ হলেই) একে অপরকে দালাল বা ছাগু ট্যাগ দিয়ে বসি।জাগো হে বাহে কুন্ঠে সবাই।

 

বিগত দুইদিন যাবত প্রবাসী একজন সাংবাদিকের একটা অনভিপ্রেত অনাকাংক্ষিত অযাচিত লেখা নিয়ে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির মধ্যে সামাজিক গণমাধ্যমে কাঁদা চূরাচুরি হচ্ছে,একে অপরকে কটাক্ষ করে রণসাজে ফেসবুক তপ্ত হয়ে আছে,একদম মুখোমুখি অবস্হা,যেমন বিগল বাঁজলেই যোদ্ধ বেঁধে যাবে।সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হচ্ছে,আফসোস আর পরিতাপের বিষয় হচ্ছে এই রণক্ষেত্রে পক্ষবিপক্ষের রণধ্বনি কিন্তু একটাই -জয় বাংলা।আমায় তুমি করিলে বঁধ,থামবে বলো কার রথ?নিয়তি তুমি আমাদের সুমতি দাও,সুবুদ্ধি দাও।নচেৎ চায়ের কাপে ডুব দিয়ে আমার জীবনের জবনীকাতের সাধ্য দাও।

আর এই যোদ্ধটা বাঁধিয়েছেন প্রবাসী ঐ সাংবাদিক যার বিতর্কিত কল্পনা প্রসূত লেখার মধ্যে দিয়ে,তিনি তার মনগড়া মনের মাধুরী দিয়ে সাজানো গল্পে একজন প্রবীন রাজনীতিবিদের ব্যক্তিগত বিষয় জনোসম্মুখে যেভাবে উলঙ্গন করেছেন,যেভাবে সমালোচনা করেছেন তা সাংবাদিকতার রিতিনীতির সুস্পষ্ট লঙ্গন।উনি একজন সিনিয়র সাংবাদিক,মুক্তিযোদ্ধের স্বপক্ষের সাংবাদিকতায় উনার যতেষ্ট ভুমিকা আছে কোন সন্দেহ নেই।কিন্তু ভূল মানুষের হয়,এই লেখায় উনি ভুল করেছেন।ইনিয়ে বিনিয়ে উনার ভুলকে ডিফেন্ড না করে ভুল স্বিকার করে এই লেখাটা প্রত্যাহার করে নেয়াই হবে উত্তম।আশা করি তাই করবেন।কারন যোগ্যরাই ভূল স্বিকার করার যোগ্যতা রাখে।

এই টপিক নিয়ে চট্টলবীর মহিউদ্দিন চৌধরীর অনুসারী হিসেবে সারা বাংলাদেশের সিম্পিতি পাওয়া সাবেক বালক ছাত্রনেতা বাড়াবারী করেছে।সে জৈনিক সাংবাদিককে ডিফেন্ড করতে গিয়ে ঢালাও ভাবে সবাইকে নগ্ন আক্রমন করেছে।ছাগল বলেছে।যা দৃষ্টতা নয় চরম বেয়াদবী।সে জনকন্ঠ পড়ার সবক দেয়!জনকন্ঠ করলেই কি শুদ্ধ আওয়ামীলীগার বলে বিবেচিত হবে?পাঠ না করলে অশুদ্ধ?একেমন জাজমেন্ট?তার পরেও বালকের কাছে প্রশ্ন-জীবনে কয়টা জনকন্ঠ পাঠ করেছ?রাজনীতির উপর কয়টা বই পড়েছ?তোমার মতো সিম্পিতিক বিশাল ছাত্রনেতা হতে না পারলেও সুযোগ হলে তোমাকে আমার ব্যক্তিগত লাইব্রেরি ভিজিট করার সুযোগ দেব আর তখন তোমার কাছে জানতে চাইবো কে কয়টা বই বা জনকন্ঠ পড়ে আওয়ামীলীগ করো?রজনী ধীরে ধীরে।

আমরা যারা জৈনিক সাংবাদিককে এই একটা লেখার উপর ভর করে তুলোধনু করছি,জামাত বিএনপির চর বলে ট্যাগ দিচ্ছি।এটা কি অন্যায় নয়?আমরাই কি নিজের বিবেককে একবার প্রশ্ন করতে পারিনা-আমরা কি অন্তরোষে ঠিক করছি?কোথাও না কোথাও আমাদের বাড়াবারি হচ্ছে নাতো?মানুষ মাত্রই ভুল হয়।তাই বলে উনার একটা ভূলের জন্য মুক্তিযোদ্ধর স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে উনার সমস্ত কন্ট্রিবিউটকে অস্বিকার করা উচিত হবে কি?আওয়ামী ঘরনার সাংবাদিক বলে অস্বিকার করা যাবে কি?জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজাকারের তালিকা তৈরী করার কৃতিত্ব থেকে বন্চিত করা যাবে কি?অন্তত নিজেকে একবার প্রশ্ন করুন,ভাবুন।তার পর বিষাদাগার করুন।

জয় বাংলা,জয় বঙ্গবন্ধু।