একজন দ্বারকেশ স্যার: আলোর বাতিঘর

আহমদ শফি আহমদ শফি

বিয়ানীবাজার, সিলেট

প্রকাশিত: ৬:৪২ অপরাহ্ণ, জুন ১৮, ২০২০ 618 views
শেয়ার করুন

খুব স্বল্প দিনের আমাদের এই ক্ষণস্থায়ী জীবন।এই নশ্বর পৃথিবীতে চলার পথে আমাদের জীবনে এমন কিছু মানুষের আগমন ঘটে যাদের সান্নিধ্যে জীবন এক অশেষ পরিপূর্ণতা লাভ করে।জীবন হয় অালোকিত।অাজ বলব এমন ই একজন মানুষের কথা যিনি আমার চক্ষে দেখা একজন মহামানব। হ্যাঁ আমি বলছি অামার পরম পূজনীয় ব্যক্তিত্ব,শ্রদ্ধাস্পদ শিক্ষাগুরু বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের মাননীয় অধ্যক্ষ অধ্যাপক দ্বারকেশ চন্দ্র নাথ স্যারের কথা।

কলেজ জীবনের প্রথম দিন থেকে অাজ অবধি যার কাছ থেকে পেয়েছি অনুপ্রেরণা।পেয়েছি পিতৃসম ভালোবাসা।স্যার ছিলেন এমন একজন মানুষ যিনি হৃদয় দিয়ে ভালোবাসতেন তাঁর কর্মকে,ভালোবাসতেন তাঁর প্রিয় প্রতিষ্ঠানকে এবং তাঁর সন্তানসম ছাত্র-ছাত্রীদের।অামি অামার ব্যক্তিগত জীবনে এবং শিক্ষা জীবনে হৃদয় উজাড় করা ভালোবাসা পেয়েছি স্যারের কাছ থেকে। হ্যাঁ,বলতে গেলে অনেক বেশিই পেয়েছি।এমন কোনও বিষয় নেই,এমন কোনও কাজ নেই যার জন্য স্যারের কাছে গিয়ে খালি হাতে ফিরে অাসতে হয়েছে।কর্মযজ্ঞ ই ছিল যার প্রধান ব্রত।স্যারের হাত ধরে অামাদের কলেজ অাজ সফলতার শীর্ষে অবস্থান করছে।

আর সবচেয়ে বড় কথা হল স্যার নিজেও ছিলেন এই কলেজের একজন ছাত্র। এজন্য কলেজের প্রতিটি ইট,কাঠ,পাথরের প্রতিও স্যারের ছিল অালাদা একটা টান।তাই তো শত অসুস্থতার পর ও স্যার ছুটে অাসেন তাঁর প্রাণপ্রিয় বিদ্যাপীটে।স্যারের পদচারণায় ধন্য হয় এই কলেজের মাটি।

শুনছি যে এই মাসের ২৮ তারিখে স্যার কর্মজীবন থেকে অবসরে চলে যাবেন।খবরটা শুনে অনেক মর্মাহত হয়েছি।অাপনাকে খুব বেশি মিস করব স্যার।অাপনার হাতে সাজানো এই কলেজের প্রতিটি ধূলিকণা অাপনাকে মিস করবে।জীবনে চলার পথে অনেক বেশি ভালোবাসা পেয়েছি অাপনার কাছ থেকে। পেয়েছি মূল্যবান দিকনির্দেশনা। অাপনার অবদান মনের মনিকোঠায় চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।হয়তো ক্যাম্পাসে গেলে অার অাপনাকে দেখতে পাবো না।কিন্তু অাপনার সান্নিধ্যে কাটানো স্মৃতিমুহূর্ত গুলো খুব মনে পড়বে।অামি মনে প্রাণে একথা বিশ্বাস করি যে অামাদের প্রতি অাপনার ভালোবাসা সারা জীবন ধরে অটুট থাকবে।অাপনার উদাহরণ অাপনি নিজেই স্যার।অাপনাকে নিয়ে লিখতে গেলে লিখা কখনও শেষ হবার নয়।অাপনি ছিলেন অামাদের মধ্যে একটি অালোকোজ্জ্বল প্রদীপ হয়ে যার দীপ্ত অালোয় অামাদের মধ্যকার সমস্ত অন্ধকার নিমিষেই দূর হয়ে যেত।হয়তো অাপনার মতো অার কেউ কিছুদিন পর পর ফোন দিয়ে খুঁজ খবর জানতে চাইবে না,হয়তো কেউ অার ফোন করে অফিসে ডেকে নিয়ে হাতে বই,ম্যাগাজিন তুলে দিবে না।এই মুহূর্ত গুলো খুব মিস করব।দীর্ঘদিনের কর্মজীবন শেষে অাপনি অবসর জীবনে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন।অাপনার অবসর জীবন সুখী হোক।সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি যাতে অাপনি হাজার বছর বেঁচে থাকেন অামাদের মাঝে।অাপনার সুস্বাস্থ্য,দীর্ঘায়ু এবং সর্বাঙ্গীণ সফলতা কামনা করি।অামাদের অাশির্বাদ করবেন স্যার যাতে অাপনার পদরেণু মাথায় নিয়ে,অাপনার দেখানো পথে হয় অামাদের অগ্রযাত্রা।।