আলহাজ আব্দুল করিম পুনরায় সিআইপি নির্বাচিত

লুৎফুর রহমান লুৎফুর রহমান

সম্পাদক ও সিইও, বায়ান্ন টিভি

প্রকাশিত: ৬:৩৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১, ২০২৪ 365 views
শেয়ার করুন

 

সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসি এনআরবি ব্যাংকের পরিচালক, বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল দুবাইয়ের কোষাধ্যক্ষ ও সিলেট বিভাগ উন্নয়ন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি ইউএইর সভাপতি আলহাজ আব্দুল করিম পুনরায় সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন। ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় বৈদেশিক শ্রম ও প্রবাসিকল্যাণ মন্ত্রী ইমরোন আহমদ এমপি ২০২২ সালের জন্য ক্রম ধারায় তৃতীয় সিআইপি হওয়ায় তাঁর হাতে সম্মাননা স্মারক তোলে দেন। এর আগেও তিনি সিআইপি হবার গৌরব অর্জন করেন। এছাড়া প্রায় দশবারের মতো বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিটেন্স এওয়ার্ড লাভ করেন তিনি।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, দানবীর, সমাজ সেবক,শিক্ষানুরাগী,ধর্মপ্রাণ এক ব্যাক্তি আলহাজ্ব আব্দুল করিম (সি আই পি)
যিনি মৌলভীবাজার নয় গোটা সিলেটের গর্ব এবং বাংলাদেশের এক সম্পদ। আরব বিশ্বে ব্যাবসা বাণিজ্যে বাংলাদেশের মূখ উজ্জলকারী তিনি। উনার মাধ্যমে আরব আমিরাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে শতাধিক বাংলাদেশী মানুষের।

আরব আমিরাতে গোল্ডেন ভিসা নিয়ে সম্মানের সহিত বসবাসকারী এই বাংলাদেশী দানবীর, ধার্মিক, সৎ ব্যবসায়ী আলহাজ্ব আব্দুল করিম ১৯৬০ সালের পহেলা ফ্রেবরুয়ারী মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সুজানগর গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। পিতা মরহুম মফিজ আলী সহজ সরল ধার্মিক এক মানুষ ছিলেন।

আলহাজ্ব আব্দুল করিম সাহেব নিজ মেধা ও প্ররিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে একজন সৎ ব্যাবসায়ী হিসেবে দেশে বিদেশে নিজেকে প্রতিষ্টিত করেন। উনাকে নিয়ে আরব আমিরাতে বাংলাদেশীরা গর্ব করেন। নিজ জন্ম এলাকা বড়লেখায় উনার অবদান অপরিসীম। মসজিদ,মাদরাসা,স্কুল, কলেজ,সমাজিক সংঘটনে উনার অবদান অনেক। বড়লেখা সহ মৌলভীবাজারেরে বিভিন্ন এলাকা এমনকি দেশ এবং দেশের বাহিরে উনার অর্থায়নে প্রচুর খেদমত হয়েছে। যা উনার মহৎ হৃদয় এবং দেশ ও জাতীর ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ ।

১৯৮২ সালে তিনি আরব আমিরাতে প্রবাসী হোন। নিজ এলাকার ঐতিহ্যবাহী আগর আতরেরে সুঘ্রাণ বিশ্ব বাসীর কাছে পৌছে দিতে শুরু করেন আগর আতরেরে ব্যবসা। অতি অল্প সময়েই তিনি আরব বিশ্বে সুনামধন্য ব্যাবসায়ী হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেন।

“হাসান শাহীন আহমেদ পারফিউম” নামে উনার ব্যাবসা বিশ্বের বহুদেশে সুনামের সাথে ব্যবসা করে যাচ্ছে। উনার কারখানায় শতাধিক শ্রমিক কাজ করেন। শুধু আগর আতর নয় তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে ব্যাবসা করেন।

উনার ১৩ টি এল সি লাইসেন্স রয়েছে। এসবের মাধ্যমে তিনি প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে তুলছেন। এসবের ফলশ্রুতিতে তিনি ১০ বার সেরা রেমিট্যান্স এওয়ার্ড পেয়েছেন।
বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের উপস্হিতিতে উনার হাতে এই পুরুষ্কার তুলে দেয়া হয়।
ব্যাবসায়ী পরিচয়ে তিনি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বেশ পরিচিত।

বিভিন্ন দায়িত্ব : ব্যবসায়ীক ব্যাস্ততার পাশাপাশি তিনি বেশ কয়েকটি ব্যাবসায়ী ও সামাজিক সংঘটনের দায়িত্বশীল।
উনার দায়িত্ববোধ অনেক বেশী। কাজের প্রতি দায়িত্ববান।
“সিলেট বিভাগ উন্নয়ন পরিষদ আরব আমিরাতের” তিনি সভাপতি। এ দায়িত্ব তিনি বহু বছর ধরে পালন করছেন। “বড়লেখা সমাজ কল্যান পরিষদের” তিনি সভাপতি। এছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি প্রতিষ্টান ও সংঘটনের সভাপতি ও উপদেষ্টা হিসেবে আছেন।
উনার দান এবং সহযোগিতায় এসব সংস্থা ও সংঘটন সুচারুভাবে পরিচালিত হচ্ছে।

মসজিদ মাদরাসায় খেদমত: তিনি একজন ধার্মিক খোদাভীরু মানুষ। নামাজী পরহেজগার একজন আবেদ তিনি। দেশের খ্যাতিমান আলেম বুযুর্গ ব্যাক্তিদের সাথে উনার বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক।
সব সময় মসজিদ মাদরাসার খেদমতে নিজেকে নিয়োজিত রাখার চেষ্টা করেন।
বড়লাখে ডিমাই এলাকায় নিজে প্রতিষ্টিত করেন হাজী আব্দুল করিম হাফিজিয়া মাদরাসা।
অনেক উন্নত পরিবেশ ও সুযোগ সুবিধা সম্পন্য এ মাদরাসার সকল খরচ ও ব্যায়ভার তিনি নিজে বহন করেন। সকল ছাত্রদের বিনামূল্য শিক্ষা লাভের সুযোগ করে দিয়েছেন তিনি।
এছাড়াও বৃহত্তর সিলেটের বিভিন্ন মাদারাসায় তিনি নিয়মিত বড় অংকের অর্থ সহয়তা করে থাকেন। অনেক মাদরাসার ভবন সহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নে তিনি ভূমিকা রেখেছেন।
প্রতি বছর তিনি বেশ কয়েকটি মাদরাসায় অর্থ সহয়তা করে থাকেন এসব তিনি বহু বছর ধরে নিয়মিত করে যাচ্ছেন। অনেকটা আড়ালে থেকে তিনি এসব মাদরাসায় খেদমত করেন তিনি।
কোন লোক দেখানো দান সদকাহ তিনি করেন না।

মসজিদের খেদমত:
ডিমাই স্কুল টিলা সুরম্য বিশাল মসজিদটি উনার সিংহভাগ অর্থে নির্মিত হয়েছে।
এছাড়া বড়লেখা উপজেলার অসংখ্য মসজিদে তিনি অর্থ সহয়তা বড় অংকে দান করেছেন।
সিলেট সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় এমনকি দেশের বাহিরেও তিনি মসজিদে অর্থ সহায়তা করেছেন।
মসজিদ নির্মানে উনাকে সানন্দ্যে সহয়তা করতে দেখা যায়।

সমাজসেবা ও দুঃস্থদের সহয়তা:
সমাজের বিভন্ন সমস্যা ও দুর্যোগে উনাকে অনেক খেদমত করতে দেখা গেছে।প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সামাজিক সংঘন উনার কাছে ভীর জমায় অর্থ সংগ্রহের জন্য। তিনিও কাউকে খালি দেন না। এলাকার গরীব দুঃস্থ মানুষ উনার কাছ থেকে কি পরিমান অর্থ সহয়তা পেয়েছে তা বলে শেষ করা যাবে না।
আলহাজ্ব আব্দুল করিম সাহেবের মাধ্যামে অনেক মানুষের ঘর নির্মান হয়েছে অনেক গরীবের বিবাহ হয়েছে। আর খাদ্যা ঔষুধ এসব তিনি প্রচুর বন্টন করেছেন।
তিনি দেশে আসলে এলাকার গরীব দুঃস্থদের মাঝে আনন্দ শুরু হয়। তিনিও গরীবদের হৃদয় থেকে ভালবাসেন তাদের খোঁজ খবর নেন বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।

উনার অনেক বড় গুন হল মানুষকে শিক্ষিত করে তোলার প্রচেষ্টা। অনেক স্কুল কলেজ মাদরাসা নির্মানে সহযোগিতা ছাড়াও অনেক ছাত্র শিক্ষা অর্জনে অর্থ সহয়তা দিয়ে যাচ্ছেন নিয়মিত। তিনি বলেন কোন ছাত্র যদি অর্থের অভাবে শিক্ষা অর্জন করতে না পারে তবে তিনি তার ব্যায়ভার বহন করবেন।
বর্তমান সময়ে এমন কথা বলা অনেক বড় মহৎ হৃদয়ের পরিচয়দান।

হজ্ব: তিনি পবিত্র হজ্ব আদায় করেছেন। বেশ কয়েকটি দেশ সফর করেছেন।

তিনি উনার পরিবার সহ আরব আমিরাতে নিজের বাসায় বসবাস করছে। দেশে আসলে বড়লেখা পৌর শহরে নিজ বাসায় বসবাস করেন।
উনার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে।
এক ছেলে ও এক মেয়ে ডাক্তার আরেক ছেলে কানাডা প্রবাসী সফল ব্যাবসায়ী হিসেবে সুপরিচিত।
সন্তানদের তিনি সুশিক্ষিত ও আদর্শবান হিসেবে প্রতিষ্টিত করেছেন।
উনার ছেলে সন্তানরা উনার আদর্শে আদর্শিত।
সমাজসেবক দানবীর হিসেবে নিজেদের তৈরী করেছেন।
উনার ডাক্তার ছেলে আরব আমিরাতের সুপরিচিত একজন চিকিৎসক। করোনার সময় যখন সবাই সব ছেড়ে পালিয়েছিল। তখন তিনি হাজার হাজার মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন এবং মানবিক সহয়তা দিয়ে দৃষ্টান্ত স্হাপন করেছেন।

আলহাজ্ব আব্দুল করিম সাহেব আমাদের এক আদর্শ। সমাজের জন্য অনুপ্রেরণা। শিক্ষা, চিকিৎসা সেবায় উনার অবদান অনস্বীকার্য। দেশ জাতীর উন্নয়নে উনার মত মহৎ হৃদয়ের মানুষ আমাদের মাঝে দীর্ঘদিন বেচেঁ থাকুন এই দোআ করি। উনার দান সদকাহ সব কিছু যেন আল্লাহ কবুল করেন। ব্যবসায় বরকত দান করেন।