ভিসা নিয়ে তথ্য ভিত্তিহীন দাবী আবুধাবীস্থ দূতাবাসের

প্রকাশিত: ২:৪৬ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৫ 32 views
শেয়ার করুন

 

 

 

🌿বাংলাদেশের ওপর আনুষ্ঠানিক আমিরাতের ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ সংক্রান্ত সংবাদকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে দূতাবাসের বিবৃতি

গেল সপ্তাহান্তে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারির একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে। যদিও সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস নিশ্চিত করেছে যে এই খবরটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। দূতাবাস জানিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
এই মিথ্যা খবরের উৎস হলো ‘uaevisaonline.com’ নামের একটি ভুয়া ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটটি নিজেদের একটি ভিসা প্রসেসিং সেন্টার হিসেবে পরিচয় দিলেও দূতাবাসের তদন্তে এর প্রতারণার বিষয়টি সামনে এসেছে।
এ বিষয়ে দূতাবাসের তদন্তে দেখা গেছে, ‘uaevisaonline.com’ ওয়েবসাইটটি একাধিক দেশের ঠিকানা ব্যবহার করে থাকে। এর নিবন্ধকের ঠিকানা যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে, কারিগরি যোগাযোগের নম্বর যুক্তরাজ্যে এবং কোম্পানির যোগাযোগের নম্বর ভারতে অবস্থিত।
ওয়েবসাইটটিতে দুবাইয়ে যে প্রধান কার্যালয়ের ঠিকানা দেওয়া হয়েছে, দূতাবাসের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে সেই ঠিকানায় কোনো ভবন বা বাসার অস্তিত্ব নেই। এছাড়া, এই কোম্পানির বিরুদ্ধে গ্রাহক প্রতারণার একাধিক অভিযোগও দূতাবাসের কাছে এসেছে। অনেক গ্রাহক আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
দূতাবাস বাংলাদেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত সকল বাংলাদেশি নাগরিককে এই ধরনের ভিত্তিহীন সংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। একই সঙ্গে সকলকে যেকোনো তথ্য বা সংবাদ প্রচার এবং শেয়ার করার আগে এর সত্যতা যাচাই করার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য ভিসা সেবা প্রতিষ্ঠানটির নিউজ ফিডে বলা হয়,বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, লিবিয়া, ইয়েমেন, সোমালিয়া, লেবানন, ক্যামেরুন, সুদান ও উগান্ডা এই ৯টি দেশকে ২০২৬ সালে ভিসা নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রাখা হয়েছে।
শনিবার ২০ সেপ্টেম্বর ‘ইউএই ভিসা অনলাইন’ এর পোস্টে আরো বলা হয়,কর্তৃপক্ষের সার্কুলার অনুযায়ী, নির্দিষ্ট দেশগুলোর নাগরিকরা বর্তমানে ইউএই টুরিস্ট ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে পারছেন না।
তবে তারা বলেছেন তাদের এই তথ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষের কোন যোগসূত্র নেই।
উল্লেখ্য ২০১২ সালের মধ্য অগাস্ট থেকে ইউএইতে বাংলাদেশের সব ধরণের ওয়ার্ক ভিসা বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘ ১৩ বছর ভিসা বন্ধ থাকলেও ইনভেস্টর ভিসায় এবং করোনা পরবর্তীকালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য খুলে দেয়া ভিজিট ভিসায় বিপুল পরিমাণ বাংলাদেশি আবার এদেশে আসেন এবং অনেকেই স্পন্সর খুঁজে নিয়ে তাদের অবস্থান নিয়মিত করেন। বর্তমানে আমিরাতের শ্রম বাজারে ১০ থেকে ১২ লক্ষ বাংলাদেশী রয়েছেন। এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম রেমিটেন্স প্রেরণকারী একক দেশ।