কাঁঠালকাণ্ডে অপরপক্ষের মামলা: আসামী ১১৩
উভয়পক্ষের ৩ মামলায় আসামী ২শ ৭৬
ইয়াকুব শাহরিয়ার, ইয়াকুব শাহরিয়ার,
নিজস্ব প্রতিবেদক
শান্তিগঞ্জের হাসনাবাজ গ্রামে কাঁঠাল নিলামকে কেন্দ্র সংঘর্ষে ৩জন নিহত হওয়ার ঘটনায় ১শ ৩৩জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছে গ্রামের মালদার আলীর পক্ষ। বুধবার (১৯ জুলাই) সকালে নিহত মালদার আলী পক্ষের নিহত শাহজাহান মিয়ার ভাতিজা মৃত আবদুল করিমের ছেলে সৈয়দ হোসেন প্রতিপক্ষ দ্বীন ইসলাম পক্ষের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। এ নিয়ে কাঁঠালকাণ্ডে ঘটনায় উভয়পক্ষের ৩টি মামলা দায়ের করা হলো। ৩টি মামলায় ২শ ৭৬জনকে আসামী করা হয়।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ৭ জুলাই শুক্রবার হাসনাবাজ জামে মসজিদে জুমা’র নামাজের পর মসজিদ প্রাঙ্গণে একটি কাঁঠাল নিলামকে কেন্দ্র করে দ্বীন ইসলাম পক্ষের অভিযুক্ত আনার উদ্দিন ও মালদার আলীর পক্ষের সাক্ষী শেখ ফরিদের মধ্যে বাক্-বিতন্ডা শুরু হলে মসজিদে উপস্থিত মুসল্লিরা তাদেরকে নিভৃত করেন। তখন দ্বীন ইসলাম পক্ষের অভিযুক্ত আনার উদ্দিন মালদার পক্ষের লোকজনদেরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় এবং মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে চলে যায়। এই ঘটনার জেরে ১০ জুলাই সোমবার সকাল ১১ টায় উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের হাসনাবাজ গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে সংঘর্ষের ঘটনায় দ্বীন ইসলাম পক্ষের মারপিটে মালদার আলীর পক্ষের আবদুল বাসিরের ছেলে শাহজাহান মিয়া (৪৫) আহত হন। তাকর কৈতক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার পরীক্ষা করে মৃত ঘোষনা করেন।
এঘটনার ৯দিন পর মালদার আলীর পক্ষে বুধবার সকালে নিহত শাহজাহান মিয়ার ভাতিজা মৃত আব্দুল করিমের ছেলে সৈয়দ হোসেন বাদী হয়ে দ্বীন ইসলাম পক্ষের প্রধান দ্বীন ইসলামকে প্রধান অভিযুক্ত করে ১শ ১৩ জনকে আসামী করে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ চৌধুরী মালদার আলীর পক্ষে হত্যা মামলার দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন এবং তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, একই ঘটনায় দ্বীন ইসলাম পক্ষের দু’জন নিহত হওয়ায় গত রোববার সন্ধ্যায় মালদার আলীর পক্ষের ১শ ৬৩ জনকে আসামী করে শান্তিগঞ্জ থানায় দু’টি মামলা দায়ের করেন দ্বীন ইসলাম পক্ষের নিহত বাবুল মিয়ার ভাই ফারুক আহমদ।