পাগলায় স্কুলের সামনে গতিরোধক স্থাপনের আবেদন

প্রকাশিত: ৫:৫৭ অপরাহ্ণ, জুন ২০, ২০২৩ 583 views
শেয়ার করুন
শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের পাগলা সরকারি মডেল হাইস্কুল এন্ড কলেজ, পাগলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাইজিং সান কিন্ডার গার্টেন ও পাগলা উপ-স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের সামনে সুনামগঞ্জ -সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে যানবাহন গতিরোধক (স্পিডব্রেকার) বা জেব্রা ক্রসিং স্থাপনের সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর আবেদন করেছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীবৃন্দ ও ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ (বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা) এর আওতাভুক্ত পশ্চিম পাগলা শিশু শিখন কেন্দ্রের সদস্যবৃন্দ। মঙ্গলবার বিকাল ২টায় শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনোয়ার উজ্ জামানের মাধ্যমে এ আবেদন করেন তারা। শিক্ষার্থীদের পক্ষে আবেদন পত্রে স্বাক্ষর করেন পাগলা সরকারি মডেল হাইস্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী অন্না সূত্রধর। শিক্ষার্থীদের এ আবেদন পত্রে সুপারিশ করেছেন পাগলা সরকারি মডেল হাইস্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ রমিজ উদ্দিন ও পাগলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিখিল মজুমদার।
এসময় একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সজিব মিয়া, শাবনূর বেগম, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী কাকলী সূত্রধর, তাহমিনা বেগম অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী সালমা বেগম, নজিবুল ইসলাম, হেনা বেগম ও ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী প্রীতি বেগমসহ তিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
আবেদন পত্রে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাগলা এলাকার পাগলা সরকারি মডেল হাইস্কুল এন্ড কলেজের সামনে ব্যস্ততম সড়কটিতে একটি স্পিডবেকার বা গতিরোধক বসানো জরুরি। কারণ এই প্রতিষ্ঠানের আশপাশে পাগলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাইজিং সান কিন্ডার গার্টেন, পাগলা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র অবস্থিত। এই চারটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের রাস্তা হওয়ার জন্য কোনো নিরাপদ ব্যবস্থা নেই। ফলে গাড়ীর বেপরোয়া গতির কারণে সড়ক পারাপারে প্রতিনিয়ত তাদেরকে থাকতে হয় ঝুঁকির মুখে। এছাড়াও একটি কিন্ডার গার্টেন ও প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকাতে অনেক শিশুদের রাস্তা পারাপারে গুরুতর আহত এবং মৃত্যুঝুঁকির সম্ভাবনা রয়েছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা অসুস্থ রোগীদের রয়েছে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হওয়ার আশংকা।
এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা আকমল হোসেন,  আবিদুর রহমান টিপু, শাহ সারোয়ার উজ্জল, দেলোয়ার হোসেন বলেন, সুনামগঞ্জ থেকে সিলেট যাওয়ার উদ্দেশ্যে যখন কোনো যানবাহন পাগলা মাদ্রাসার সামনে আসেন তখন থেকেই তাদের মাঝে একটি ভয়ঙ্কর প্রতিযোগিতা আমরা দেখতে পাই। বেপরোয়া গতিতে কার আগে কে পাগলা বাজারে প্রবেশ করবে সেই প্রতিযোগিতানথাকে চালকদের মাঝে। এখানে ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের হাজারো মানুষ সড়কের এ অংশ অনিরাপদ। তাই শিক্ষার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উপযুক্ত স্থানে গতিরোধক বা স্পিডবেকার বসানোর জোর দাবি করছি আমরাও।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পাগলা সরকারি মডেল হাইস্কুল এন্ড কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আনোয়ার উজ্ জামান বলেন, আবদন পত্রটা আমি পেয়েছি। আমি সওজে চিঠি দেবো এবং ফোনেও কথা বলবো। যতদ্রুত সম্ভব এটি করানোর চেষ্টা করবো।