শান্তিগঞ্জে মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় 

প্রকাশিত: ১:৫১ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৮, ২০২৩ 381 views
শেয়ার করুন
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যতার মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে পবিত্র শবে বরাত। মহিমান্বিত এ রজনীকে উপলক্ষ করে শান্তিগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের মসজিদে মসজিদে ধর্মপ্রাণ  মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। তবে রাত বাড়ার সাথে সাথে এ ভিড় কিছুটা কমলেও মধ্যরাতব্যাপী কিছু মুসল্লিদেরকে ইবাদত করতে দেখা যায়। এর আগে রাতটিকে উপলক্ষে মঙ্গলবার দিন থেকেই নানান প্রস্তুতি ছিলো মুসল্লিদের।
জানা যায়, শবে বরাতকে কেন্দ্র করে দিন থেকেই ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের আলাদা প্রস্তুতি ছিলো। উপজেলার প্রতিটি বাজারে অস্থায়ীভাবে একাধিক মোমবাতি, গোলাপজল, টুপি ও আতরের দোকান বসেছিলো। এসব দোকানে ক্রেতাদের ভিড়ও ছিলো চোখে পড়ার মতো। মাগরিব ও এশার নামাজে মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ছিলো উপজেলা প্রতিটি মসজিদে। ইউনিয়নগুলোর কেন্দ্রিয় মসজিদে ছিলো বেশি মুসল্লিদের উপস্থিতি। মসজিদগুলোর পরিচালনা কমিটি, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খতিবগণদের আলাদা প্রস্তুতি ছিলো এ ভাগ্য রজনীকে ঘিরে। প্রতিটি মসজিদে মাগরিব ও এশা’র নামাজের পর খতিবগণের বয়ানে মুখরিত ছিলো সমস্ত উপজেলার মসজিদ প্রাঙ্গন। এখানে মহিমান্বিত এ রজনীর তাৎপর্য ও দ্বীন ইসলামের সুমহান-আদর্শিক বানীর কথা তুলে ধরেন ইমাম ও খতিবগণ। কান্দিগাঁও কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ, পাগলা বড় জামে মসজিদ, শান্তিগঞ্জ বাজার জামে মসজিদসহ  উপজেলার শিমুলবাক, জয়কলস, পাথারিয়ার, পশ্চিম বীরগাঁও, পূর্ব বীরগাঁও, পূর্ব পাগলা, দরগাপাশা ও পশ্চিম পাগলার অন্তত শতাধিত মসজিদে মুসল্লিদের ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতো।
উপজেলার পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের  কান্দিগাঁও কেন্দ্রিয় জামে মসজিদের ইমাম হাফিজ মাও. আনোয়ার হোসেন বলেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) পবিত্র শবে বরাতে রাত জেগে ইবাদত করার কথা বলেছেন এবং বলেছেন বেশি বেশি মোনাজাত কবুল হয়। কারণ আল্লাহ্ সর্ব নিম্ন আসমানে অবস্থান করেন। এ রাতকে ভাগ্য রজনী বলে উল্ল্যেখ করেছেন এবং তিনি নিজেই পরের দিন রোজা রাখতেন। এ রাত ইসলাম ধর্মে একটি তাৎপর্যপূর্ণ রাত। তাই রাতটিকে অতি গুরুত্বসহকারে আমরা পালন করে থাকি।