সিলেট বিয়ানীবাজারের ঘুম জাগানিয়া প্রভাষক সামাদ

প্রকাশিত: ৬:৫১ অপরাহ্ণ, মে ১৯, ২০২০ 1,047 views
শেয়ার করুন

সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার ঘুমজাগানিয়া এক তরুণ প্রভাষক আব্দুস সামাদ। পুরো নাম মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ আজাদ। নামটি সিলেটের একজন বরেন্য মানুষের। যে মা্নুষ নামকে অমর করেছেন দেশবাসির কাছে। ঠিক সেভাবে প্রভাষক সামাদ তাঁর কাজের মাধ্যমে জাগরণ এনেছেন এলাকার যুবসমাজের কাছে। বিয়ানীবাজার উপজেলা সদরের সুপাতলাস্থ ওসমানি স্টেডিয়ামের কাছেই প্রভাষক সামাদের বাড়ি। তাঁর চাচা আরব আমিরাত প্রবাসি এবং মাহমুদ সিএনজি ফিরিং স্টেশনের মালিক লুৎপুর রহমান। মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ আজাদ বর্তমানে আছিরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন এর আগে খণ্ডকালীন প্রভাষক ছিলেন বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের।

কবি নজরুলের ভাষায় ‘আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে’। সকাল হবার প্রত্যয়ে জেগেছেন সামাদ, জাগিয়েছেন এলাকাবাসিকে। করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন এলাকাবাসির মুখে হাসি ফুটাবার স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। পরম যত্নে সে স্বপ্নকে বুকে আগলে বড়োও করেছেন। একসময় ভাবলেন সহায়তা করতে নিজের কাছে যে টাকা আছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল তাই সহায়তা নিলেন নিজের পরিবার, স্বজন এবং বন্ধুদের। ফান্ডে জমা হলো ৫ লক্ষের অধিক টাকা। তাঁর উদ্যোগ এবং আত্মীয় স্বজনদের সাড়া দেয়াতে অনুকে মুখে হাসি ফুটাতে পেরেছেন তিনি। ছুটছেন দিনের পর দিন। নিজ এলাকায় দৃষ্টান্ত হয়েছেন সামাদ। তিনি মনে করেন—জাগরণ এভাবেই হতে হয। এলাকার তরুণরা সচেতন হলেই সমাজ বদল হওয়া সহজ।

জানা যায়- প্রথম দিকে অর্থাৎ মার্চ মাসের শেষদিকে সতর্কতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা শুরু হয়। এতে বিভিন্ন কলোনি কলোনি ঘুরে তাদেরকে সচেতন করার চেষ্টা করেন তিনি।

শ্রমজীবী রিকশাচালক, পরিবহন শ্রমিক, কলোনীর বাসিন্দাদের মধ্যে মাস্ক এবং ডেটল সাবান বিতরণ করেন শুরুর দিকেই। করোনাভাইরাস নিয়ে লিখতে থাকেন স্থানিয় পোর্টালে। পারিবারিকভাবে তাঁরা প্রায় ৪৬০ টি পরিবারে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন এবং এই ধারা অব্যাহত আছে। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় জীবাণুনাশক স্প্রে ছিটিয়ে মানুষজনকে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টায় এখনো আছেন তিনি।

সেইসাথে মহান আল্লাহ রাব্বুলের দয়া পেতে স্থানীয় দারুস সুন্নাহ মুরাদগঞ্জ মাদ্রাসায় মহান আল্লার সাহায্য কামনায় দুআ মাহফিলের আয়োজন করেন সামাদ। বিয়ানীবাজার পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রায় ৩৫০ পরিবারে নগদ অর্থ সহায়তা করেন। বর্তমানে বিভিন্ন এলাকায় ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

প্রভাষক সামাদরাই বাংলাদেশ। এরা জাগাতে জানে। এরা জাগতে জানে। প্রভাষক সামাদকে দেখে সচেতন হোক দেশের তরুণ গোষ্ঠি।