সিলেটের বিয়ানীবাজার, কাজিরবাজার রাস্তার বেহালদশা, উন্নয়ন চেয়ে খোলাচিঠি

মাহবুব জয়নুল মাহবুব জয়নুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২:৪১ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৬, ২০২২ 271 views
শেয়ার করুন

বরাবর , প্রিয় অভিবাবক, মাননীয় এমপি মহোদয়, শ্রদ্ধেয় নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি, সিলেট -৬

পত্রের শুরুতে সালাম ও হাজার ফুলের শুভেচ্ছা। আশা করি ভালো আছেন। আমি আপনার নির্বাচিত এলাকার একজন সচেতন নাগরিক ও মুড়িয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের একজন বাসিন্দা।

 

মাননীয় এমপি মহোদ্বয় আমাদের এলাকার জন্য সমস্যার একটি বিষয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি: আমরা মুড়িয়া ইউনিয়নের ঘুঙ্গাদিয়া কাজির বাজার এর যাতায়াতের জন্য একমাত্র রাস্তা কাজিরবাজার থেকে শহীদটিল্লা পর্যন্ত যে রাস্তাটি আছে। এই একটিমাত্র রাস্তা দিয়েই আমাদের কে বাজারে যেতে হয়।কেবল এই রাস্তার উপর নির্ভরশীল স্কুল,কলেজ অফিস, ব্যাংক, মাদ্রাসা, হাসপাতাল আমাদের যাতায়াত বর্তমানে তুলা ছবিটি । আমাদের এই একমাত্র চলাচলের রাস্তাটি বর্তমানে ভীষণ রকম বেহাল অবস্থায় রয়েছে।

 

এই একমাত্র ভরসার রাস্তাটি বর্তমানে আমাদের চলাচলের জন্য একেবারেই অনুপযোগী, ফলে আমাদের চলাচলে ভীষণ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আর এই পরিস্থিতিতে চরম সমস্যায় পড়েছি আমাদের কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে, এই রাস্তা দিয়ে কোনো প্রকার গাড়ি চলাচল করতে অনীহা প্রকাশ করে , এমন কি এই রাস্তা দিয়ে কোনো গাড়ি আসতে চায় না।

 

রাস্তার এই দুরাবস্থা কারণে গ্রামের কোনও মানুষ যদি অসুস্থ হয়ে যায় তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে কষ্ট হয়। কাজির বাজার থেকে শহীদটিল্লা পর্যন্ত রাস্তাটি কয়েক বছর থেকে আজ পর্যন্ত উন্নয়ন হয়নি । ফলে এই ভাঙ্গাচোরা ও জরাজীর্ণ রাস্তা দিয়ে এলাকার মানুষকে নিদারুণ কষ্টের মধ্যে চলাচল করতে হচ্ছে। বিশেষ করে বর্ষাকালে রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গায় খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এ সময়ে জনগণের দুর্ভোগ চরমে ওঠে। রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় গর্ত থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। এখানে চলাচলকারী গাড়ী সময় মত।আসে না অনেক সময় স্কুল কলেজ।পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীরা পায়ে হেটে চলাচল করতে হয়।

 

গন্তব্য পৌছাতে, লোকজনদের বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হয়। বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় বাধ্য হয়ে লোকজনকে কষ্ট করে প্রতিদিন চলাচল করতে হচ্ছে। শুধু এটুকু রাস্তার কারণে এলাকার জনজীবন অন্য এলাকা থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের এই দাবিটি আজও পূরণ হয়নি। আমাদের গ্রাম একটি কৃষিনির্ভর গ্রাম। উন্নয়নের এই যুগে পাকা রাস্তা না থাকায় আমরা সবদিক থেকে অনেক পিছিয়ে আছি। নির্বাচন এলে স্থানীয় সরকার ও সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীরা এলাকায় এলে এলাকাবাসী দাবি জানায়, তখন প্রত্যেক প্রার্থী রাস্তার উন্নয়ন করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নিয়ে যায় কিন্তু রাস্তার উন্নয়ন হয় না।

 

আমাদের গ্রামের এই সামান্য পরিমাণের রাস্তা (কাজিরবাজার থেকে শহীদটিল্লা পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা, এই অংশটি পাকা করা হলে জনগণের মারাত্মক দুর্ভোগ অনায়াসেই লাঘব হয় এবং এলাকাটি সম্পূর্ণভাবে পাকা রাস্তার নেটওয়ার্কের আওতায় চলে আসে।

এলাকার জনগণের পক্ষ থেকে আপনার কাছে এই খোলা চিঠির মাধ্যমে বিনিত নিবেদন যে, এই দুর্ভোগের রাস্তাটি সংস্কার ও পাকা করে আমাদের সকলকে কৃতজ্ঞ করবেন ।

উক্ত রাস্তাটুকু পাকা করলে অত্র এলাকার জনগণের অনেক উপকার হয়। জননেত্রীর উন্নয়নে পরিপূর্ণ সফলতা আনতে আমাদের রাস্তাটুকুও যাতে অংশীদার হতে পারে সেজন্য আপনার কাছে সদয় মিনতি করছি। সড়কটি গ্রামবাসীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অত্যন্ত জনগুরুত্বপুর্ণ। প্রতিদিন শত শত লোক এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। সরকারপ্রধান ও এমপি মহোদয় ও সংশ্লিষ্টদের কাছে এলাকাবাসীর দাবি, রাস্তাটির সার্বিক উন্নয়নসহ অবিলম্বে পাকা করা হোক।

বর্তমান সরকারে আমলে যা উন্নতি চোখে পরেছে তা অতীতে আর কোন সরকার করেছে বলে আমার জানা নেই।

দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে আজীবন কাজ করে তথা আমাদের অভিবাক হিসাবে আমাদের সমস্যার কথাগুলো বিবেচনা করে আমাদের রাস্তাটার কাজের জন্য সকল ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করিবেন, সেই আশা রাখি।

 

বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে রাস্তাটি নির্মাণ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বিনীত অনুরোধ করা হলো। পরিশেষে, আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি এবং আমরা যেন দীর্ঘকাল আপনাকে আমাদের মাঝে পাই, সেই কামনাও থাকবে। পত্রে অসাবধানতাবশত যে কোনো ভুলভ্রান্তি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন বলে আশা পোষণ করি।

 

ইতি:: জাহেদ হুসেন নানু গ্রামবাসীর পক্ষে
ধন্যবাদ সবাইকে আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে পড়ার জন্য