ইরাক প্রবাসী সুনামগঞ্জের আলফাত নূরের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত
নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক
বায়ান্ন টিভি
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানহানীকর মিথ্যা তথ্য প্রকাশ,ইরাক প্রবাসী সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাঁশতলা গ্রামের আলফাত নুরের বিরুদ্ধে শাহপরান (রহঃ) সাইবার পিটিশন মামলা নং ৮৯,২০২১ খ্রিঃ,ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ ইং এর ২৫,২৬,২৯,৩৫ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত।
মামলা সূত্রে জানা যায় মোঃ আলফাত মিয়া একজন প্রবাসী, দীর্ঘ ৬ বছর যাবত প্রবাসে আছেন। পূর্বে তিনি অভিযোগকারী আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা,আসক ফাউন্ডেশনের সিলেট বিভাগের সভাপতি রাকিব আল মাহমুদ’এর হাত ধরেই সংগঠনের সাথে যুক্ত হন। সংগঠন এর নাম দিয়ে অনেক অপকর্মের সাথেও যুক্ত হয়ে পড়েন আলফাত।রয়েছে জাল সার্টিফিকেট দিয়ে সংগঠন সদস্য হওয়ার অভিযোগ ও এছাড়াও আলফাতের বিরুদ্ধে কয়লা ব্যবসার কথা বলে মামলার বাদী রকিব আল মাহমুদের থেকে নেওয়া অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ সহ বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
এসব অপকর্মের তথ্য আসতে থাকলে এক পর্যায়ে সংগঠনের পদ হারান আলফাত।শুরু করেন সংগঠনের সিলেট বিভাগের সভাপতি রাকিব আল মাহমুদ’র বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার। একপর্যায়ে বাধ্য হয়েই আইনের দারস্থ হন সংগঠনটির সিলেট বিভাগের সভাপতি রাকিব আল মাহমুদ।
বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে জেলা ও দায়রা জজ, সাইবার ট্রাইবুনাল সিলেটে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহপরান (রহঃ) থানার এস আই আই মোঃ সুহেল রানা। গত ১৫ ই ফেব্রুয়ারী সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের মাননীয় বিচারক ( জেলা ও দায়রা জজ) , মোঃ আবুল কাশেম মহোদয় প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে আলফাতের বিরুদ্ধে সমন দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন
এই বিষয়ে ভুক্তভোগী আসক ফাউন্ডেশনের সিলেট বিভাগের সভাপতি রাকিব আল মাহমুদের সাথে কথা বললে তিনি জানান,
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসলে খুব সহজেই মিথ্যাচার করা সম্ভব, এতে করে অনেকেই বিষয়টি বুঝতে পারেন না সঠিক কি না,ফলে আমদের মতো মানুষেরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে হয়। আমি মনে করি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এক্ষেত্রে অনেকটা নিরাপত্তা দিবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্য কোন মানুষকে হেয় করা ও মিথ্যাচার করা এবং আমার মতো আর কারো যাতে এভাবে মানহীন না ঘটে এই জন্য এর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি কামনা করছি।