বিদেশী পর্যটকদের পাশাপাশি আমাদেরকে টার্গেট করতে হবে বিদেশে দীর্ঘদিন ধরে বসবাসকারী অভিবাসীদেরকেও
জাহাঙ্গীর কবীর বাপপি জাহাঙ্গীর কবীর বাপপি
সাংবাদিক, আবুধাবী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় সকালে দুবাই ওয়ার্ল্ড এক্সপোতে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন সফর করেন এবং এখানে “মুজিবের বাংলাদেশে ভ্রমণ করুন এবং অনাবিষ্কৃত বাংলাদেশকে আবিষ্কার করুন” শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখেন।বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এর সিইও জাবেদ আহমেদের পরিচালনায় এবং বাংলাদেশ পর্যটন ও সিভিল অ্যাভিয়েশন মন্ত্রণালয়ের সচিব হোসেন মোকাম্মেল এর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন কনফারেন্স হলে আয়োজিত সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দুবাইয়ের কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন।এতে আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফরও বক্তব্য রাখেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন এতে বলেন,” একটি উদীয়মান জাতি হিসেবে বহু চ্যালেঞ্জ ও সীমাবদ্ধতার মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও বিশ্বের কাছে আমরা অনেক দিক দিয়ে অনুম্মোচিত রয়ে গেছি।” মন্ত্রী বলেন,”স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষের সমাপ্তি লগ্নে শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় আমরা এগিয়ে যাচ্ছি যার জন্য ত্রিশ লাখ শহীদ আত্মাহুতি দিয়েছেন”।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,”বিগত এক দশকে আমাদের অর্জিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে টেকসই ভিতের উপর দাঁড় করাতে হলে কেবল রেমিট্যান্স, গার্মেন্টস,পাট,চামড়া,ফার্মাসি
আমাদের নদীমাতৃক দেশ,ষড়ঋতুর বৈচিত্র্য, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত,সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট,সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, নৃতাত্ত্বিক বৈচিত্র্য ট্যুরিজমের ক্ষেত্রে অপার সম্ভাবনা বয়ে আনতে পারে।এজন্য কেবল সঠিক ব্র্যান্ডিং চাই।”
সেমিনারে মন্ত্রী আরো বলেন,”বাংলাদেশের ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম সেক্টরের প্রবৃদ্ধি আগের চে এখন ঊর্ধমূখি।২০১৯ সালে এই সেক্টরটি জিডিপিতে ৪.৪% অবদান রাখত।ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম কাউন্সিল ধারণা করেছে যে ২০২৩ সাল নাগাদ বাংলাদেশের ট্যুরিজম সেক্টর ১৭ লক্ষ কর্মসংস্থান করবে যা মোট জনশক্তির ৪.২ শতাংশ।ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের রিপোর্টে প্রকাশ ট্যুরিস্টদের ৯৭% দেশের অভ্যন্তরের।তাই আমাদেরকে বিদেশী ট্যুরিস্টদের পাশাপাশি টার্গেট করতে হবে বিদেশে দীর্ঘদিন ধরে বসবাসকারী অভিবাসীদেরকেও।” তিনি রবিবার সকালে দুবাইয়ে গালফ ফুড এক্সপোতে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন সফর করেন।


