দত্তক নিয়েছিল বিদেশি দম্পতি, ২৩ বছর পর মায়ের দেখা পেল মেয়ে

প্রকাশিত: ৩:৩৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২ 779 views
শেয়ার করুন

 

অভাবের সংসারে মেয়েকে লালন-পালনের সামর্থ্য ছিল না ভারতের তামিলনাড়ুক আমুধা’র। নিরুপায় হয়ে মেয়ে আমুধাভাল্লি’কে নেদারল্যান্ডসের এক দম্পতির কাছে দত্তক দিয়েছিলেন। তার পর কেটে গেছে ২৩টি বছর।

এতো বছর পর মেয়ের সঙ্গে আমুধার পুনর্মিলন। মেয়ের সঙ্গে দেখা হওয়ার মুহূর্তে কালক্ষেপণ না করেই জড়িয়ে ধরেন মা আমুধা। মেয়েও মাকে সমানহারে শক্ত করে আঁকড়ে ধরে রাখেন।  

আমুধা বলেছেন, মেয়ে বহু বছর পর আমাকে দেখতে এসেছে। আমি যে কী পরিমাণ খুশি হয়েছি, সেটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আনন্দে আমি কেঁদে ফেলেছি।

অভাবের কারণে মেয়েকে দত্তক দিতে বাধ্য হয়েছিলেন সেই সময়। আমুধা বলেন, আমি তার (মেয়ের) ব্যাপারে অনেক কিছু ভেবে ভেবে কেঁদেছি। আমি জানতামও না যে, সে বেঁচে আছে কি না। কিন্তু আমি তার সম্পর্কে সব সময় ভালো চিন্তা করেছি।

আমুধাভাল্লিকে নেদারল্যান্ডসের যে দম্পতি দত্তক নিয়েছিল, সেখানেই তিনি বেড়ে উঠেছেন। আমুধাভাল্লি বলেছেন, আমার কিছু নথি দেখার সময় দত্তক নেওয়ার বিষয়টি প্রথম জানতে পারি।

তবে তার দত্তক নেওয়া পরিবার প্রথমে চায়নি যে, আমুধাভাল্লি তার সত্যিকারের মা-বাবাকে খুঁজে বের করুক এবং তাদের সঙ্গে দেখা করুক। তবে আমুধাভাল্লি তাদের রাজি করিয়ে ভারতে বেড়াতে আসেন।

ভারতে এসে মাকে খুঁজে পেয়েছেন ওই তরুণী। আমুধা বলেছেন, মেয়ের সঙ্গে দেখা হয়ে তিনি বেজাই খুশি। খুশির কারণে তার ঘুমই আসছে না।

আমুধা আরো বলেছেন, প্রথমে তাকে দেখেই দৌড়ে গেছি এবং জড়িয়ে ধরেছি। আমার চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়েছে। তার মুখটা দেখেই আবারও জড়িয়ে ধরেছি।

তিনি আরো বলেন, রাতের বেলা সে (মেয়ে) কাঁদতে শুরু করেছে। আমি তার ভাষা জানি না। সে কারণে আমি তার চোখ মুছে দিয়ে জড়িয়ে ধরে রাখি।

তরুণী আমুধাভাল্লি চান, মায়ের সঙ্গে নিয়মিত দেখা করবেন এবং তার সঙ্গে মন খুলে কথা বলার জন্য তামিল ভাষা শেখারও পরিকল্পনা করছেন।
সূত্র: বিবিসি।