আবুধাবীস্থ দূতাবাসে শেখ রাসেল দিবস পালন

প্রকাশিত: ১:০১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০২১ 733 views
শেয়ার করুন

বাংলাদেশ দূতাবাস, আবুধাবিতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল-এঁর ৫৭তম জন্মবার্ষিকী উৎসবমুখর পরিবেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় যাতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছাত্র ছাত্রী অংশগ্রহণ করে।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই শেখ রাসেল-এঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন মান্যবর রাষ্ট্রদূত মোঃ আবু জাফরসহ দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, উপস্থিত কমিউনিটি নেতৃবৃন্দও আলাদাভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে সন্মাননা জ্ঞাপন করেন। এ দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ। এছাড়া, এ দিনের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় যেখানে জনতা ব্যাংক লিঃ ও বাংলাদেশ বিমানের কর্মকর্তাবৃন্দ, বাংলাদেশ স্কুলের উপদেষ্টাসহ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার স্থানীয় প্রতিনিধিবৃন্দ এবং বাংলাদেশি কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।

পরবর্তীতে, শেখ রাসেল-এঁর উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। আবুধাবিস্থ বাংলাদেশ স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ এবং প্রবাসী বাংলাদেশী নেতৃবৃন্দ স্মৃতিচারণ বিষয়ক আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। অতঃপর, দিবসটি উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিতব্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন মান্যবর রাষ্ট্রদূত মহোদয়। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং বিশেষ স্থান অধিকারীদের সন্মাননা সনদ ও পুরষ্কার প্রদান করার পাশাপাশি প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীকে স্মারক উপহার প্রদান করা হয়। পুরষ্কার বিতরণ শেষে মান্যবর রাষ্ট্রদূত শিশু-কিশোরদের সাথে নিয়ে শেখ রাসেল-এঁর ৫৮তম জন্মদিনের কেক কাটেন।

সমাপনী বক্তব্যে মান্যবর রাষ্ট্রদূত বলেন, ছয় দফা প্রণয়ন, ঊনসত্তরের গণআন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং মহান স্বাধীনতা অর্জনের পর দেশগঠনের প্রচেষ্টা-এতোসব কর্মমুখর সময়ের মধ্যে জন্ম ও বেড়ে ওঠা শিশুটির নাম শেখ রাসেল যার শৈশব বাঙালি জাতির জন্মলগ্নের গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলো জুড়ে ডানা মেলেছে । বাল্যকালেই যে মহানুভবতা ও কোমল হৃদয়ের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছিল তাঁর যাবতীয় কর্মকাণ্ডে, বেড়ে ওঠার সুযোগ পেলে হয়তো সে আজ বিশ্বব্যাপী কোনো মানবদরদী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতো, হয়তো হতে পারতো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে একজন অগ্রপথিক। সেজন্য, শিশু রাসেলের জীবন সম্পর্কে শিশু-কিশোরদের কাছে তুলে ধরতে প্রতি বছর তাঁর জন্মদিনকে “শেখ রাসেল দিবস” হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। পৃথিবীর আর একটি স্বপ্নকুঁড়িও যেনো বর্বরতার শিকার হয়ে অকালে ঝরে না যায়, একটি শিশুও যেন নৃশংসতার শিকার না হয়, সেজন্য সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান তিনি। মান্যবর রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা এবং ১৫ই আগস্টের সকল শহীদের বিদেহী আত্মার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
সবশেষে, শেখ রাসেল-এঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয় ও উপস্থিত সকলকে আপ্যায়নের মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রম সমাপ্ত হয়।