এসডিজি সফলতায় প্রধানমন্ত্রীকে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মাননা

লুৎফুর রহমান লুৎফুর রহমান

সম্পাদক ও সিইও, বায়ান্ন টিভি

প্রকাশিত: ১:৩২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১ 327 views
শেয়ার করুন

 

এসডিজি বাস্তবায়নে বিস্ময়কর সফলতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মাননা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল মাস্টার্স অব ডেভেলপমেন্ট। সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল মাস্টার্স অব ডেভেলপমেন্ট প্রাকটিস  এসডিজির লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা শুনতে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানায়। এ অনুষ্ঠানে তাকে এ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। 

জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ব্যস্ত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম দিন কেটেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। জলবায়ু তহবিলের শত বিলিয়ন ডলার পরিশোধের তাগাদা আর এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ কেমন করে সফল হলো তা তুলে ধরে আলাদা আলাদা ফোরামে ভাষণ দেন তিনি। তবে, সবখানেই তার ছিল এক কথা- সবদেশে সবার জন্য সমান ভ্যাকসিন। সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতিসংঘ ভবনে জাতির জনকের নামে একটি বেন্চ উতসর্গ ও প্রাংগনে একটি গাছের চারা রোপন করেন।

১৯৭৪ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে স্বাধীন বাংলাদেশের নেতা হিসাবে  শান্তির বাণী শুনিয়েছিলেন বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ৪৭ বছর পর সেই আংগিনায় হানি লোকাস্ট গাছের চারা রোপন করলেন তার কন্যা শেখ হাসিনা। পিতার নামে এসময় বেন্চ উতসর্গ করে জানালেন সম্মাননা।

স্থানীয় সময় সোমবার সকালে তার আগে জলবায়ু সংকট নিয়ে বিশ্বনেতাদের সাথে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস ও যুক্তরাজ্যের প্রদানমন্ত্রী বরিস জনসনসহ উপস্থিত সুধীর সামনে শেখ হাসিনা ছয়টি প্রস্তাব রাখেন।

কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল মাস্টার্স অব ডেভেলপমেন্ট প্রাকটিস  এসডিজির লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা শুনতে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানায়। ভার্চুয়ালি সেই সভায় যুক্ত হয়ে তিনি বলেন কেমন করে দারিদ্রের হার ৩১.৫ শতাংশ থেকে কমে ২০ এর ঘরে এসেছে, মানুষের গড় আয়ু বেড়ে হয়েছে ৭৩ আর মেয়েদের অবৈতনিক শিক্ষা আর নারীর ক্ষমতায়নের সূত্রটাই বা কোথায়।

কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনেও প্রধানমন্ত্রী মহামারি মোকাবেলায় সবদেশের সব মানুষের জন্য ভ্যাকসিনের সমান সুযোগের অধিকারের কথা বলেন।

আয়োজকরা এসময় শেখ হাসিনাকে প্রভাবশালী বিশ্বনেতা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের নেতৃত্ব আর ৫০ বছরের উন্নয়ন তাদের জন্য নতুন গবেষণার ক্ষেত্র তৈরি করেছে।