পোষা প্রাণীর আচরণ দেখে বুঝে নিতে হয় সে কখন আপনার সঙ্গে খেলতে চাইছে

প্রকাশিত: ১২:৩৪ পূর্বাহ্ণ, জুন ৩০, ২০২১ 380 views
পোষা প্রাণীর আচরণ দেখে বুঝে নিতে হয় সে কখন আপনার সঙ্গে খেলতে চাইছে
শেয়ার করুন

পোষা প্রাণীদের মধ্যে জনপ্রিয় কুকুর ও বিড়াল। তাদের মনের ভাব বুঝে নিতে হয় আচরণ দেখে। যেমন বিড়াল দেখার সঙ্গে সঙ্গে তাকে ধরতে বা আদর করতে যাবেন না। কারণ তারা সাধারণত অপরিচিত কারও স্পর্শ পছন্দ করে না। বিরক্ত হয়। বিড়ালকে ধরা বা আদর করার আগে তার সঙ্গে একটা সম্পর্ক তৈরি করে নেওয়া দরকার, যাতে সে আপনাকে নিরাপদ ভাবে। রাজধানীর কেন্দ্রীয় ভেটেরিনারি হাসপাতালের প্রাণী চিকিৎসক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘পোষা প্রাণীদের আচরণগত গঠন শুরু হয় তাদের জন্মের ৮ সপ্তাহ পর থেকে। ১৬ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত এই এই প্রক্রিয়া চলে। এর মধ্যেই পালনকারী ব্যক্তি পোষা প্রাণীকে তাঁর মতো শিখিয়ে নিতে পারেন। তবে এর বাইরেও অনেক কিছু তাদের মধ্যে স্বভাবতই থাকে, যা দেখে বুঝে নিতে হয় সে কী চাইছে।’

 

বিড়াল-কুকুরের কয়েকটি আচরণের কারণ!!!

 

বাক্সে লুকিয়ে পড়া:

 

বাসায় নতুন কোনো জিনিস আসার পর কার্টন বা বাক্সটা হয়তো কোথাও পড়ে রয়েছে। কিছু সময় পরই আপনি আপনার প্রিয় বিড়ালকে সেই বাক্সের মধ্যে আবিষ্কার করবেন। বিড়ালের অনেক স্বভাবের মধ্যে এটিও একটি যে তারা ছোট কোনো জায়গায় ঢুকে থাকতে পছন্দ করে। কারণ তারা ভয় পায় এবং তারা লুকিয়ে থাকে। বিশেষ করে বাসায় নতুন কারও আনাগোনা দেখলে তারা নিরাপদ মনে করে না।

 

মনোযোগ আকর্ষণ:

 

আপনি খুব জরুরি কাজ করছেন। অনেকক্ষণ ধরে আপনি আপনার বিড়ালকে সময় দিতে পারছেন না। কিছুক্ষণ পর আবিষ্কার করলেন আপনার বিড়াল কাগজপত্রের স্তূপের ওপর বসে আছে। এই ঘটনার সঙ্গে আমরা অনেকেই পরিচিত। এমনটা করার মানে হচ্ছে আপনার বিড়াল এখন আপনার সময় চায়। আদর ও খেলাধুলা করতে চায়। তার এই স্তূপের ওপরে বসে থাকা মানে আপনার মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা।

 

হঠাৎ ঘেউ ঘেউ:

 

কুকুরের ক্ষেত্রে আচরণগুলো কিন্তু ভিন্ন। বিশ্বস্ত প্রাণী হিসেবে কুকুরের খ্যাতি আছে। এই কারণে হয়তো তারা প্রভুর প্রতি খুব অধিকারপ্রবণতা দেখায়। আপনার বাসায় নতুন কাউকে দেখলে সে ঘেউ ঘেউ আওয়াজ করতে থাকে। অধিকারপ্রবণতার কারণে তারা শুরুতে কাউকে আপনার সঙ্গে সহ্য করতে পারে না। মাঝরাতে কুকুরের চিৎকার মানে আপনাকে একটু চোখকাল খুলতে হবে। বাড়িতে চোর-ডাকাতের আনাগোনা কিন্তু একেবারে উড়িয়ে দেবেন না।

 

আপনার দিকে তাকিয়ে থাকলে:

 

কুকুর যদি কিছু করার আগে আপনার দিকে তাকিয়ে থাকে, তাহলে বুঝতে হবে ও আপনার অনুমতির অপেক্ষায় আছে। আপনি অনুমতি দিলে সে কাজটা করবে।

 

পা দিয়ে খোঁড়াখুঁড়ি:

 

অনেক সময়ই দেখবেন আপনার কুকুর তার পা দিয়ে কিছু খোঁড়ার চেষ্টা করছে। মাটি বা বালুতে খুঁড়ে থাকলে সেটার কারণ তারা কিছু লুকোতে চায়। লুকিয়ে রাখা জিনিস খুঁজতে চায়। তবে ঘরের মধ্যে বিছানা, কম্বলে আঁচড় কাটতে থাকলে বুঝতে হবে তারা আসলে ঘুমানোর জন্য ঠান্ডা আরামদায়ক জায়গা চায়। আর সেটা নিশ্চিত করতেই বিছানায় বা লেপ-কম্বলের ওপর আঁচড় দিতে থাকে।

 

অচেনা নিশ্বাস:

 

সাধারণত কুকুর দুর্গন্ধময় শ্বাস ছাড়ে না। তাই কখনো যদি আপনার মনে হয় আপনার এই পোষা প্রাণীর শ্বাসে কোনো উৎকট গন্ধ হচ্ছে, তাহলে সেটা আমলে নেওয়া দরকার। তার নিশ্বাসে যদি মিষ্টি গন্ধ পান, তাহলে তার ডায়াবেটিস পরীক্ষা করে নিতে পরেন। কারণ, হঠাৎ কুকুরের নিশ্বাসে মিষ্টি ঘ্রাণ মানে তার ডায়াবেটিস হতে পারে। আবার নিশ্বাসে যদি কটু গন্ধ থাকে, তাহলে তার মুখের ভেতরটা ভালো করে পরীক্ষা করে দেখা জরুরি। নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে মুখের ভেতর। লিভারের জটিলতা, কিডনির সমস্যা হলেও কুকুরের মুখে গন্ধ হতে পারে।

 

হাসিমুখ:

 

যদি খেয়াল করেন যে আপনার পোষা কুকুর হঠাৎ মুখ হা করে দাঁত প্রসারিত করে দিয়েছে, তাহলে বুঝবেন সে ফুরফুরে মেজাজে আছে। সেই সঙ্গে এটাও বুঝে নিতে হবে, সে এখন আপনার সময় চায়। খেলাধুলা বা আদর করে তার একান্ত সময়টুকুকে আরও ভালো করে দিতে পারেন তখন।

 

ঘুরতে থাকলে:

 

আপনার পোষা প্রাণী লেজ নাড়ছে আর আপনার চারপাশে ঘুরছে, এটা দেখে ভালো লাগবে সেটাই স্বাভাবিক। সাধারণত তারা মাঝেমধ্যে এটা করে আপনার সঙ্গে সখ্য বাড়াতে চায়।

 

সোফায় কিংবা পালংকে উঠে বসলে:

 

আমাদের পোষা প্রাণীটি আমাদের পরিবারের অংশ, তবে এর মতো, আমাদের অবশ্যই তাদের উপর সীমাবদ্ধতা রাখতে হবে। অনেক অনুষ্ঠানে, আমাদের কুকুর পালঙ্কে উঠে যায় আমাদের অনুমতি ব্যতীত এটিকে আপনার উপভোগের স্থান করে তোলে এবং আমাদের নয়। তবে আপনি কীভাবে জানেন তা এড়ানো যায়।

থেকে কুকুর প্রতিরোধ করুন এটি একটি কঠিন জিনিস হতে পারে, বিশেষত যেহেতু তারা এটি অভ্যাস হিসাবে অর্জন করেছে। তবে এটি প্রয়োজনীয় ধ্রুব হতে এবং পছন্দসই ফলাফল অর্জনের জন্য একটি নির্দিষ্ট উপায়ে কাজ করুন। আপনার চেয়ারটি আপনার জন্য আবার একটি জায়গা হয়ে ওঠার জন্য এখানে কিছু গাইডলাইন রয়েছে।

 

সেখানে আছে ইতিবাচক শক্তিশালী করা আমরা না থাকলেও আমরা যে আচরণটি পুনরাবৃত্তি করতে চাই। এজন্য আমাদের সোফার কাছে একটি আরামদায়ক জায়গা রাখতে হবে, যা তারা তাদের স্থান হিসাবে বোঝে। যদি এটি উপরে যায় তবে এটি নীচে রাখুন এবং আপনার বিছানায় রাখুন। এটি আপনাকে যতবার প্রয়োজন ততবার করতে হবে। যখন আমরা দেখতে পাচ্ছি যে এটি এখনও তার জায়গায় থেকে যায়, তখন আমাদের অবশ্যই এটির প্রতিদান বা খেলনা দিয়ে পুরস্কৃত করতে হবে।

আপনাকে অবিচ্ছিন্ন থাকতে হবে এবং এটি প্রতিদিনই করতে হবে, যাতে তারা এটির সাথে মিলিত হয় এবং আমরা সেখানে না থাকলেও সর্বদা এটি করে। উপরন্তু, আমাদের পোষা বিছানা অবশ্যই খুব আরামদায়ক হতে হবে, যাতে তারা আর্মচেয়ার পছন্দ না করে। অবশেষে, আপনি যে শুধু করতে ভুলবেন না তাকে ভালবাসা দাও যখন তারা পালঙ্কে উঠেনি।