প্রিয় নেতার এমন দ্বিচারিতার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন খোঁদ শাহীনুর পাশা চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ কর্মী সমর্থকেরা। তারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও স্ট্যাটাস পোস্ট করে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। তারা বলছেন, কোনো ব্যক্তি দলের বাইরে গিয়ে নীতিবহির্ভূত কাজ করলে তার দায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম নেবে না। কেন্দ্রিয় কমিটির পক্ষ থেকে শাহীনূর পাশার সকল পদ স্থগিত করায় খুশি হয়েছেন অনেকে। খুশি বিএনপির নেতাকর্মীরাও।
মাহমুদুল হাসানের নামের একজন শাহীনুর পাশা চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে তার ফেসবুকে পোস্টে লিখেছেন, ‘লোকটাকে এমনিতেই আমার অপছন্দ ছিল। আলেমদের মান-সম্মান নিয়ে এমন খেলা করা উনাদের মতো লোকেরই সাজে।’
জমিয়তের আরেক নেতা মাও. খলিলুর রহমান তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘শাহীনুর পাশা দালালি করবেন সেটা আমি আগেই বুঝতে পেরেছিলাম। তার সমালোচনা করায় কিছু কর্মী সমর্থকেরা আমার বিষোদগার করেছিলেন। তারা কি আমার চেয়েও বেশি বেইমান ও প্রতারক পাশাকে চিনতেন….?’
সুনামগঞ্জ জেলা জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মাও. তৈয়িবুর রহমান বলেন, একজন ব্যক্তি হিসেবে শাহীনুর পাশা প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতেই পারেন। আমি বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবেই দেখছি। তবে, দলের শৃঙ্খলার বাইরে যাওয়া কোনো ভাবেই উচিত নয়। যেহেতু দল করি, দলের সিদ্ধান্তের সাথে আমরা একমত।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা জমিয়তের সভাপতি শাহীনুর পাশা চৌধুরী তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেন, ‘গতরাতে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সাথে ইসলামী ৯ টি দলের সাক্ষাতে জমিয়তের নামটিও মিডিয়ায় এসেছে। আর তাতে আমার শুভাকাঙ্ক্ষী এবং জমিয়ত প্রেমিদের মনে কষ্ট পেয়েছেন। এটা আমার প্রিয় দল জমিয়তের প্রতিনিধিত্ব নয়, সাক্ষাতকারটি আমার ব্যক্তিগত। যার সহযেগিতায় গিয়েছি, তিনিই আমাকে ১ দিন আগে বলেছেন, জমিয়ত নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল। সুতরাং ওখানে আমি জমিয়ত নেতা হিসেবে যাইনি। আমার মামলাগুলো উড্র করার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে গিয়েছিলাম। দেশের সুপ্রীম অথরিটির কাছে যে কেউ সুযোগ পেলে তার আবদার পেশ করার জন্য যাওয়ার অধিকার রয়েছে। এরপরেও যারা কষ্ট পেয়েছেন, তাদের প্রতি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।’
উল্লেখ্য, সুনামগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামীলীগের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুস সামাদ আজাদের মৃত্যুর পর ২০০৫ সালের উপনির্বাচনে চারদলীয় জোট থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। যদিও তার এই বিজয় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিলো সে সময়। এর পর চৌদ্দ মাসের জন্য এমপি হয়েছিলেন মাও. শাহীনুর পাশা চৌধুরী।