বাংলাদেশ দূতাবাস আবুধাবী ও বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল দুবাই সমীপে

প্রকাশিত: ৩:২৫ অপরাহ্ণ, মে ১৩, ২০২০ 1,156 views
শেয়ার করুন
বিশ্বব্যাপী প্রাণনাশক করোনা ভাইরাস কোভিড ১৯ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত এর কোন প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি। মারাত্মক এই ভাইরাস নিয়ে সবাই আতঙ্কিত। দেশের মানুষ প্রবাসীদেরকে নিয়ে আর প্রবাসের মানুষ দেশের মানুষকে নিয়ে উৎকন্ঠায় আছে। এমন পরিস্থিতিতে কর্মহীন প্রবাসীরা মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে।
 
বর্তমান সরকার প্রবাসী বান্ধব সরকার, এই দুর্যোগে আমিরাত প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশ দূতাবাস আবুধাবী ও কনসাল জেনারেল দুবাই মান্যবর ইকবাল হোসেন খান সাহেবের তৎপরতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এক কোটি টাকা আমিরাতে অসহায় প্রবাসীদের জন্য উপহার হিসেবে পাঠিয়েছেন। অসহায় প্রবাসীদের জন্য উপহার প্রেরণ করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। দূতাবাস ও কনস্যুলেট থেকে এই উপহার অসহায় প্রবাসীদের মধ্যে বিতরনের কাজ চলমান।
 
কিন্তু ফেইসবুক মিডিয়ায় লক্ষ্য করছি এই উপহার সামগ্রী বিতরন নিয়ে অনেকে মিথ্যা ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করছে, আবার অনেকেই প্রতিদিন নতুন নতুন গুজব রটাচ্ছে। আর অনেকেই এই গুজব ভাইরাসের মত ছড়িয়ে দিচ্ছে। আবার অনেকেই মনগড়া গল্প প্রচার করছে।
 
সরকারের এই মানবিক কর্মসূচীকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে একটি কুচক্রী মহল পরিকল্পিত ভাবে দূতাবাস ও কনস্যুলেটের বিরুদ্ধে বিতরণ প্রক্রিয়া নিয়ে মিথ্যাচার করছে। তাদের উদ্দেশ্য সাধারন প্রবাসীদের মধ্যে সরকারের প্রতি নীতিবাচক ধারণা সৃষ্টি করা, যাতে দূতাবাস ও কনস্যুলেটের প্রতি জনরোষ সৃষ্টি হয়। এটা মূলত সরকার বিরোধীদের এজেন্ডা, আর বাস্তবায়নে নেমেছেন কিছু আওয়ামী নামদারী নব্য হাইব্রীড লীগার। এদেরকে দমন করতে হবে তা নাহলে তারা এই কর্মসূচীকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে থাকবে। তাদেরকে রুখতে হলে সরকারপন্থী সংগঠনগুলোকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিতরণ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কতৃক অনুমোদিত বৈধ সংগঠন সংযুক্ত আরব আমিরাত ছাত্রলীগকে প্রধান্য দেয়ায় অনুরোধ জানাচ্ছি।
 
ছাত্রলীগকে সরকারী সকল জনমূখী কার্যক্রম বাস্তবায়নে সম্পৃক্ত করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ আছে। দেশের পাশাপাশি বহির্বিশ্বের অন্যান্য দেশে ছাত্রলীগ দূতাবাস ও কনস্যুলেটের সাথে একযোগে কোভিড ১৯ এর দূর্যোগ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিতরণে কাজ করছে। অন্যান্য সংগঠনের মত এই কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থাকাটা আমাদের অধিকার।
 
কয়েকজনের চেষ্টায় একটি মানবিক কার্যক্রমকে সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। সকল সংগঠনের অংশগ্রহন নিশ্চিত হলে এই কর্মসূচী নিয়ে কোন প্রশ্ন উঠবে না। আর কোন ষড়যন্ত্রকারী প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিতরণ নিয়ে ব্লেইম গেইম করার সাহস করবে না। আর যদি কোন কুচক্রী মহল বিতর্কিত করার চেষ্টা করে তাহলে সবাই তাদেরকে দাঁতভাঙ্গা জবাব দিবে। তাই আওয়ামীলীগ সরকারের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনকে সম্পৃক্ত করা জরুরী।
 
আমাদের সংগঠন জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সকল গনমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়নে দূতাবাস ও কনস্যুলেটের সাথে কাজ করতে প্রস্তুত।
 
বিগত বছরগুলোতে আমরা অনলাইনে প্রচার ও ইনডোরে প্রোগ্রাম করে বসে থাকিনি, আমরা সাধারণ প্রবাসীদের পাশে থাকার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি।
 
আমরা প্রবাসে আমাদের ঘাম বিক্রিত উপার্জনের টাকা দিয়ে দলীয় ও রাষ্ট্রীয় সকল দিবস পালন করি। সরকারের সকল উন্নয়নের ও অগ্রগতির খবর একযোগে ঐক্যবদ্ধভাবে আমিরাত ছাত্রলীগের শত শত নেতাকর্মী প্রচার করি। আর এতে আমাদের সংগঠন মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। কঠোর সমালোচকরাও এখন এই সংগঠনের প্রশংসা করেন, এটি আমাদের সংগঠনের বিশাল অর্জন, আমরা ভবিষ্যতেও এই সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে চাই।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আদর্শ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, বিশ্বের নির্যাতিত নিপীড়িত জনতার বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
 
আমরা সরকারের জনকল্যাণমূখী গৃহীত প্রতিটি পদক্ষেপ অনলাইনে প্রচারে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছি। পাশাপাশি জনতার ন্যায্য দাবী আদায়ে আমরা সোচ্চার থেকেছি। যখনই কোন অপশক্তি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে উন্নয়ন ও অগ্রগতি বাধাগ্রস্থ করার অপচেষ্টা করেছে তখনই আমরা ডিজিটাল গন যোগাযোগের মাধ্যমে গর্জে উঠেছি। মৌলবাদ সন্ত্রাস দুর্নীতি অপপ্রচার গুজব ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের সংগঠন সব সময় সামনে থেকে অবস্থান নিয়েছে। অনলাইনে ইতিহাস বিকৃতি রোধে আমাদের সংগঠন আপোষহীন লড়াই করেছে।
 
সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় মাধ্যমগুলো তার সাক্ষী। সত্য প্রচারে আমাদের সংগঠন নির্ভীক দুঃসাহসী এই দাবী আমরা করতেই পারি। ভবিষ্যতেও আমাদের সত্যের কলম থেমে থাকবে না, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও খেলাধুলা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের প্রতিটি অর্জনকে আমরা গুরুত্ব সহকারে প্রচার করেছি। ডিজিটাল প্রচার প্রচারনার যুগে ছাত্রলীগ শ্রেষ্ঠ সংগঠন। এ দাবী করার অধিকার আমরা রাখি। অনলাইন অফলাইনে বিগত দিনের কার্যক্রমই এর জলন্ত প্রমাণ।
 
যারা এক সময় সংযুক্ত আরব আমিরাত ছাত্রলীগকে অবহেলার চোখে দেখতো ঠাট্টা বিদ্রুপ করতো তারাই এখন আমাদের সংগঠনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ, আমাদের সংগঠনকে উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করে, এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি কি হতে পারে। সংযুক্ত আরব আমিরাত ছাত্রলীগই একমাত্র কেন্দ্র অনুমোদিত বৈধ সংগঠন যার মধ্যে কোন গ্রপিং নেই। আমিরাত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দিক নির্দেশনার আমিরাতের প্রতিটি প্রদেশে শাখা কমিটি কার্যক্রম পরিচালনা করে। আমাদের সংগঠনে কোন বিভক্তি নেই। কমিটি পাল্টা কমিটি বিদ্রোহী কমিটি করার কোন নজীর আমাদের সংগঠনের নেই।
 
আমরা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সফল রাষ্ট্রনায়ক দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে বদ্ধ পরিকর। আমাদের এই সংগ্রাম আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। জাতির জনকের স্বপ্নের সুখী সমৃদ্ধ স্বনির্ভর সোনার বাংলা বিনির্মানে জাতির জনকের কন্যা, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নেত্রী, গনতন্ত্রের মানসকন্যা, মাদার অব হিউম্যানিটি, বিশ্বনেত্রী, বিদ্যানন্দিনী, দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করাই আমাদের প্রাণের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সংযুক্ত আরব আমিরাত শাখার দীপ্ত শপথ।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু
 
 
লেখকঃ দেলোয়ার এইচ খাঁন,
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সংযুক্ত আরব আমিরাত শাখা।
——————————————————————————————–
সম্পাদকীয় নোট: মতামতের জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ি নয। এটি মতামত প্রকাশকারির একান্ত দায়।