সিলেটে পর্যটন খাতে প্রতিদিন ক্ষতি ৩ কোটি টাকা
লুৎফুর রহমান লুৎফুর রহমান
সম্পাদক ও সিইও, বায়ান্ন টিভি
প্রবাসীবহুল অঞ্চল হিসেবে পরিচিত সিলেট। পাশাপাশি এ অঞ্চলের মানুষের বিনিয়োগে অনাগ্রহের বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত। তবে গত এক-দেড় দশকে এ অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন এনেছে পর্যটন খাত। এ খাতে বিনিয়োগে এগিয়ে এসেছেন বেসরকারি উদ্যোক্তারা। এরই ধারাবাহিকতায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট।
পর্যটন নগরী হিসেবে পরিচিত সিলেটে গত এক দশকে পর্যটক সমাগম বেড়েছে। ছুটির দিনগুলোয় কোনো হোটেল-মোটেলের কক্ষ খালি পাওয়া যেত না। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পর্যটন খাত।
সাধারণ ছুটি শেষে ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্যান্য খাত কিছুটা সচল হলেও পর্যটন খাতে এখনো বিরাজ করছে স্থবিরতা। হোটেল-মোটেল বন্ধ, পর্যটনকেন্দ্রগুলো ফাঁকা, নেই পর্যটকদের আনাগোনা। কবে এ খাত আবার সচল হবে, তাও বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা। ফলে ঘোর অন্ধকার দেখছেন উদ্যোক্তারা।
উদ্যোক্তাদের মতো বিপাকে পড়েছেন পর্যটন খাতের কর্মীরাও। এরই মধ্যে অনেকেরই চাকরি চলে গেছে। আর বেশির ভাগকেই ছুটি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ছুটিকালীন বেতনও পাচ্ছেন না তারা। এ অবস্থায় হোটেল-মোটেলের অনেক উদ্যোক্তাই ব্যবসা গুটিয়ে নেয়ার কথা ভাবছেন।
সিলেটের বিভিন্ন হোটেলে কাজ করা কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মার্চ থেকেই ছুটিতে রয়েছেন তারা। মার্চের বেতন পেলেও এপ্রিল থেকে বেতন পাচ্ছেন না। সিলেটের পর্যটন খাতের ৯০ শতাংশ কর্মীই এভাবে এপ্রিল থেকে বেতনহীন অবস্থায় রয়েছেন।
সিলেটের হোটেল-মোটেল মালিকরা বলছেন, প্রতিদিন কেবল সিলেটের হোটেল-মোটেল খাতে প্রায় ৩ কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে।