সিলেটের বিয়ানীবাজারের উদীয়মান হিরো

প্রকাশিত: ১:১১ অপরাহ্ণ, জুন ১১, ২০২০ 1,165 views
শেয়ার করুন

বর্তমান আধুনিক বিশ্বের ডিজিটাল যুগের সফটওয়্যারের বদৌলতে কঠিনতম কাজগুলো সহজ হয়ে উঠেছে। হাজার ও কোটি মাইলের দুরত্ব কিংবা বিশ্বের এ প্রান্তের ঘটে যাওয়া ঘটনা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে অন্য প্রান্তে ছড়িয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রতিটি মিনিটের নিত্য নতুন খবর।

অফিস সময়ের ফাঁকে ট্রাভেলিংয়ের অলস সময়ে বিশ্বের কম বেশি সবাই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহারে ব্যাস্তময় সময় অতবাহিত করতে দেখা যায় অহরহ। ভালো-মন্দ মিলে মিশে সবই এখন হাতের মুঠোয়।

বিশ্বের এক প্রান্তে ছোট্র একটি দেশ বাংলাদেশ । তারই অন্য প্রান্তে সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলা । এ উপজেলার এক জনপ্রতিনিধি দেশের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন নিজের মেধা আর যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে। করোনা ভাইরাসের এই মহাদূর্যোগের সময় কয়েকজন ডাক্তারদেরকে সঙ্গে নিয়ে করোনা পজেটিভ ব্যক্তিদের বাড়িতে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কাজে ব্যস্ততম সময় পার করতে দেখা যাচ্ছে । বর্তমান সামাজিক মিডিয়া তাঁর উজ্জ্বল প্রমাণ । বর্তমান বিয়ানীবাজার পৌরশহরের হিরো-জনগনের ভোটে নির্বাচিত পৌর মেয়র মোঃ আব্দুস শুকুর ।

অনেকের সাথে যোগাযোগ করলে জানা যায়, মেয়র আব্দুস শুকুর স্হানীয় ডাক্তারদের অনুপ্রেরণা, সাহস ও মনোবলের যোগানদাতা। তিঁনি সঙ্গে সঙ্গ না দিলে হয়তো এই ডাক্তারদের মনোবল হারিয়ে যেত। বিয়ানীবাজারের উদীয়মান ডাক্তারের মধ্যে আরেক হিরো ডা. আবু ইসহাক আজাদ । আজাদ ও তার দল ইতি মধ্যে অনেক প্রশংসা কুড়িঁয়েছেন।সকল ভয়কে জয় করেছেন। দেশের সবকটি জেলা উপজেলার মধ্যে বিয়ানীবাজারই সর্বক্ষেত্রে উর্ধে। এখানকার জনপ্রতিনিধি ডাক্তার এই বৈশ্বিক মাহামারি তাঁরই উজ্জ্বল দিষ্টান্তর ।

জনপ্রতিনিধি ( মেয়র )বিঙপ্তি কিংবা কাউন্সিলাদের মাধ্যমে দু-চার দিন মাইকিং করে শহরের জনগনকে সচেতনতার পরামর্শ দিয়ে বিরত থাকার কথা।অথচ বিরত না থেকে নিজে করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে গিয়ে পরামর্শ অব্যাহত দিয়ে যাচ্ছেন বলে যানাগেছে ।

এদিকে ডা. আবু ইসহাক আজাদ তাঁর দল-বল নিয়ে শহর থেকে উপজেলা পর্যন্ত রোগীদের দরজায় – দরজায় কড়া নাড়ছেন। তা যেন নতুন এক ইতিহাসের সৃষ্টি । আজাদ চেম্বার কিংবা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বসে না থেকে দায়িত্ব পালনে যথেষ্ট দায়িত্বশীল ভুমিকায় দেখা যাচ্ছে।

জনস্বার্থের জন্য তোষামুদি করা ভালো তবে অন্যের পদ -পদবির পাওয়ার পর- তোষামুদি করা থেকে বিরত থাকা সচেতন নাগরিকের দায়িত্ববোধ । এই বিপর্যয়ের সময়ে জনগনকে সচেতন করার লক্ষ্যে জুড়ালো ভুমিকায় যারা রয়েছেন । তাঁরাই প্রশংসার দাবীদার।

সৃষ্টির সেরা জিব – মানুষ,মানুষের নামের মুল্য অনেক বেশি। তাইতো নামের পরিচয় ঘটে কাজের মাধ্যমে ।কাজ এবং নাম দু-টি অতঃপত ভাবে জড়ি।নিজের দোষগুন নিজে বিবেচনা করে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার নামই জিবন।
সুতোর লাটিম ছাড়িয়ে দিয়ে-গুড়ি উটতে দেওয়া – যেমন বোকামি, তেমনি যোগ্য নেতৃত্ব ছাড়া জনগনের খেদমত করা অকল্পনীয় ।বিয়ানীবাজারবাসী মহামারি করোনা ভাইরাসের সময় যোগ্য নেতৃত্বের যোগ্য প্রমান স্ব-চোক্ষে দেখতেছেন।

লেখকঃ যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক ও বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সদস্য।