আওয়ামীলীগের শাসনামলে আন্দোলনে যাওয়ায় মামলা খেয়েছেন এবং কারাবরণ করেছেন এমন নেতাকর্মীদের ভুলেননি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। লন্ডনে থেকেও শান্তিগঞ্জ-জগন্নাথপুরের ত্যাগী নেতাকর্মীদের কথা চিন্তা করে আনন্দে ঈদ উদ্যাপনের জন্যে সাম্প্রতিক আন্দোলনে দুই উপজেলার ২৮ কারাবরণকারী নেতাকর্মীদের পরিবারে পাঠিয়েছেন ঈদ উপহারের ঝুড়ি। পাঞ্জাবি, শাড়ি, চকলেটসহ নানা ধরণের উপহার আছে এই ঝুড়িতে। ত্যাগী নেতাকর্মীদের পরিবারের প্রায় সকল সদস্যদের জন্য প্যাকেজ আকারে এসব উপহার সামগ্রী পাঠিয়েছেন তিনি। প্রতিটি উপহার সামগ্রী পৌঁছে দিতে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন কেন্দ্রিয় বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমদ।
শান্তিগঞ্জ-জগন্নাথপুর উপজেলা বিএনপি সূত্রে জানা যায়, দলের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে যেসব নেতাকর্মীরা সাম্প্রতিক সময়ে কারাবরণ করেছেন শুধুমাত্র তাদের এবং তাদের পরিবারের জন্য বিশেষ এই ঈদ উপহার পাঠিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং এতে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন কেন্দ্রিয় বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমদ। শান্তিগঞ্জ উপজেলায় ১৭টি ও জগন্নাথপুর উপজেলায় ১১টি পরিবারে গিয়েছে এসব উপহার। শান্তিগঞ্জ থেকে যারা এই উপহার সামগ্রী পেয়েছেন তারা হলেন কেন্দ্রিয় যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আনছার উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির প্রথম যুগ্ম-আহ্বায়ক রওশন খান সাগর, সদস্য নূরুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হিফজুর রহমান চৌধুরী দিদার, সাবেক সহ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শাহ আলম, পশ্চিম পাগলা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাস্টার শফিকুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের সভাপতি সুহেল মিয়া, যুবদল নেতা শহিদুল ইসলাম মুন্সি, সালেহ্ আহমদ তানভীর, উপজেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ওবায়দুল করিম মাসুম, সদস্য সচিব শাহাদাৎ হোসেন কামরান, উপজেলা ছাত্রদল নেতা আবু তাহের ইমন, দরগাপাশা ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা সিদ্দিকুর রহমান পাপ্পু, জায়েদ আলম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক সদস্য ইয়াহিয়া পারভেজ, জেলা প্রজন্মদলের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক শব্দেন নূর আহমদ সাগর। এদিকে, জগন্নাথপুর উপজেলা থেকে উপহার পাওয়া ত্যাগী নেতাকর্মীরা হচ্ছেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আবদুস সোবহান, সদস্য সাদিকুর রহমান নান্নু, বিএনপি নেতা লিটন মিয়া মেম্বার, আশরাফুল হক সুমন, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাজি নিজাম উদ্দিন, হাবিল মিয়া, আশারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মালেক খান, সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মদব্বির হোসেন চৌধুরী রবিন, পৌর স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক নূরুল আমীন, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা নিজাম উদ্দিন ও পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন।
পুরষ্কার পেয়ে খুবই উচ্ছ্বাসিত কারাবরণকারী ত্যাগী নেতাকর্মীরা। এই প্রতিবেদকের কথা হয় এমন কয়েকজন নেতাকর্মীদের সাথে। জগন্নাথপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আবদুস সোবহান, শান্তিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ওবায়দুল করিম মাসুম ও সুনামগঞ্জ জেলা প্রজন্মদলের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা যখন আন্দোলনে গিয়েছিলাম তখন এসব চিন্তা করে যাইনি। এখন দল মূল্যায়ণ করছে এই ভেবে খুবই আনন্দিত ও গর্ববোধ হচ্ছে। সবচেয়ে আনন্দের খরব হচ্ছে, আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের কথা ভুলেননি। আমরা যখন কারাগারে ছিলাম তখনও তিনি আমাদের পরিবারে উপহার সামগ্রী পাঠিয়েছিলেন। এ থেকে প্রতীয়মাণ হয় যে, একদম তৃণমূলের নেতাকর্মীদের প্রতিও দল দায়িত্বশীল আচরণ করে। দল যখন মূল্যায়ণ করে তখন কষ্টের কথা আর মনে থাকে না। মাঠে কাজ করতে আরো উজ্জীবিত হই। কয়ছর এম আহমদের তত্ত্বাবধানে আমরা এই উপহার সামগ্রী পেয়েছি। তারেক রহমান ও কয়ছর এম আহমদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা। দল আমাদের যে উপহার দিয়েছে আমরা এটাকে শুধুমাত্র উপহার ভাবছি না, বলতে পারেন এটি আমাদের জন্য একটি রাজনৈতিক স্বীকৃতি। আমরা চরমভাবে উজ্জীবিত হয়েছি। দলের জন্য এভাবেই সব সময় কাজ করে যেতে চাই।
সম্প্রতি, ইংল্যান্ডে পৌঁছেছেন কয়ছর এম আহমদ। মুঠোফোনে তিনি বলেন, আমাদের দলের নেতা, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে এই কাজটি আমরা করছি। এর আগে যারা শেখ হাসিনার সাজানো মামলায় কারাগারে ছিলেন তাদের বাড়িতেও উপহার সামগ্রী পাঠানো হয়েছিলো। আমার দল তৃণমূলের একজন সাধারণ কর্মীকেও সর্বোচ্চ মূল্যায়ণ করে। এতে ত্যাগী নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হবেন। যারা অতীতে ত্যাগ স্বীকার করেছেন আমরা তাদেরকে সব সময় সামনের সারিতে দেখতে চাই। সক্রিয় দেখতে চাই। কর্মী মূল্যায়নের এই ধারা অব্যাহত থাকবে।