বিমানে যাত্রীর মৃত্যু: তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ
লুৎফুর রহমান লুৎফুর রহমান
সম্পাদক ও সিইও, বায়ান্ন টিভি
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে সিলেট থেকে লন্ডন যাওয়ার পথে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক শোয়াইবুর রহমান চৌধুরীর মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সচিবকে সাত দিনের মধ্যে ৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। কমিটিতে দুজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাত্রীর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে।
আকাশপথে পরিবহন (মন্ট্রিল কনভেনশন) আইন ২০২০ এবং বিমান দুর্ঘটনা ও মারাত্মক ঘটনার তদন্ত বিধিমালা ২০২৩ অনুযায়ী যাত্রীর ক্ষেত্রে আইনের বিধান পালন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আইন অনুযায়ী শুয়াইবুর রহমান চৌধুরীর পরিবারকে কেন ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না, আদালত তাও জানতে চেয়েছেন। এ ছাড়া যাত্রী অসুস্থ থাকা অবস্থায় নিকটবর্তী বিমানবন্দরে অবতরণ না করার কারণে পাইলটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সেটিও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চেয়ারম্যান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সিইও এবং পাইলট ফজল মাহমুদকে চার সপ্তাহে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)-এর করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তাকে সহযোগিতা করেন সঞ্জয় মন্ডল। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সারওয়ার আহাদ চৌধুরী, একলাস উদ্দিন ভূঁইয়া ও রিপন বাড়ৈ। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
শুনানিতে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, যাত্রী অসুস্থ হওয়ার খবর পেয়েও পাইলট যাত্রীর জীবন রক্ষার জন্য কোনো রকম পদক্ষেপ নেননি। যা আইনবহির্ভূত। এই দায়িত্ব অবহেলার কারণে মৃতের পরিবার আইনত ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী। কিন্তু বিমান বাংলাদেশ যাত্রী মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে কোনো তদন্ত করেনি এবং ক্ষতিপূরণ দেয়নি।


