দ্বিতীয় সার্বজনীন গোলাপগঞ্জ উৎসবে খন্দকার ফরিদ উদ্দিনকে মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান

নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক

বায়ান্ন টিভি

প্রকাশিত: ১:০৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২ 229 views
শেয়ার করুন

৪ সেপ্টেম্বর রবিবার পূর্ব লন্ডনের ব্রাডি আর্ট সেন্টারে অনুষ্ঠিত হল গোলাপগঞ্জবাসীদের প্রাণের উৎসব দ্বিতীয় সার্বজনীন গোলাপগঞ্জ উৎসব ২০২২।

দিনব্যাপী এই অনুষ্টানে গোলাপগজ্ঞের কৃতী সন্তান জনাব খন্দকার ফরিদ উদ্দিনকে মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান করা হয়। মরণোত্তর সম্মাননা গ্রহণ করেন মরহুমের ছেলে খন্দকার মহি উদ্দিন। প্রদক প্রদান করেন দ্বিতীয় সার্বজনীন গোলাপগঞ্জ উৎস উদযাপন কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মো: দিলওয়ার হোসেন ও বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তি আব্দুল হাই। বাবার কৃতকর্মের স্বীকৃতি নিজ এলাকার পক্ষ থেকে পেয়ে গর্বিত সন্তান খন্দকার মহি উদ্দিন।

খন্দকার ফরিদ উদ্দিন: ১৯৪১ সালের ২ জানুয়ারি গোলাপগঞ্জ থানার গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের চৌঘরী গ্রামে জন্মগ্রহণ  করে। তার পিতার নাম মোহাম্মদ আব্দুন নূর ও মায়ের নাম লতিফা খাতুন। ফরিদ উদ্দিন ১৯৬৩ সালের ১ অক্টোবার জব ভাউচারে ইংল্যান্ডে যান এবং ক্যাটারিং ব্যবসায়ের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। লন্ডন যাবার আগে টেইলারিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। লন্ডনে আসার পরে তিনি একই পেশায় এবং ১৯৬৮ সালে নিজস্ব গার্মেন্টস্ ফেক্টরি চালু করে অতি অল্পকালের মধ্যে একজন ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠালাভ করেন।
ফরিদ উদ্দিন ইংল্যান্ডে আসায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় তথা বর্ণবাদ-বিরোধী আন্দোলন, ইমিগ্রেশন, হাউজিং-সমস্যা ইত্যাদি আন্দোলনে প্রবাসী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি ৬-দফা আন্দোলন, ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনেও একজন দেশপ্রেমিক স্বাধীনতাকামী নাগরিক হিসেবে স্বাধীনতার পক্ষে আওয়ামী লীগ দলীয় সদস্য হিসেবে কাজ করেন।
১৯৭৭ সামরিক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রবাসীদের দ্বৈত নাগরিকত্ব প্রদান, বাংলাদেশে পূর্ণ গণতন্ত্র চালু, দেশে প্রেরিত অর্থের ন্যায্য-মূল্য প্রদান ও সিলেট বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে রূপান্তর ইত্যাদি দাবিগুলো ক্রমান্বয়ে পূরণের অঙ্গিকার করে তার হাতকে শক্তিশালী করার আহবান জানান। তখন ফরিদ উদ্দিন তার রাজনৈতিক সহযোগিরা বিএনপিতে যোগ দেন। কিন্তু পরবর্তীকালে শুধু দ্বৈত-নাগরিকত্ব ছাড়া অন্যান্য দাবিগুলো বিএনপি সরকার বাস্তবায়িত না করায় ১৯৮১ সালে তিনি তৃতীয় বারে মতো দল বদল জাতীয় পার্টি যুক্তরাজ্য শাখায় যোগদান করেন।
ফরিদ উদ্দিন ১৯৮২ সাল থেকে ‘বাংলাদেশ সেন্টারে’র অন্যতম ট্রাস্ট্রি এবং ট্রেজারার, ‘বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ইন ইউকে’র ট্রেজারার, ‘গোলাপগঞ্জ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ইন ইউকে’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং ‘গ্রেটার লন্ডন ক্যাটারার্স এসোসিয়েশনে’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা-সহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। খন্দকার ফরিদ উদ্দিন ২০২০ সালের ১ এপ্রিল লন্ডনে ইন্তেকাল করেন।