মানুষের সাথে যেন সবকিছু বদলায়

প্রকাশিত: ৫:২১ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২৪, ২০২০ 546 views
শেয়ার করুন

 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কোন ভাবেই যে কোন ধরনের দুর্নীতির দায় এড়াতে পারে না।সব কিছুই চলে কর্তাব্যক্তি দের যোগসাজশে।আর এ সব দুর্নীতি কিন্তু নতুন কিছু নয়।সব সময়ই চলে আসছিল। বিশ্বায়নের যুগে করোনা মহামারী যে ভাবে আমাদের উপর ষ্টিম রোলার চালিয়েছে ঠিক তেমনি ভাবে দুর্নীতি নামক ষ্টিম রোলার ও চালিয়েছিল জেকেজি ও রিজেন্ট। তাদের এই দুর্নীতি ও প্রতারনা সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের যোগসাজশেই হয়েছিল। আর সাথে ছিল করোনা মামা শাহেদ ও করোনা খালা সাবরিনা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক যে কোনো সময় আলোচনায় আসবেন তাতে কোন সন্দেহ নেই। দুর্নীতি সমুলে উৎপাটন করতে না পারলে ব্যাক্তির ওলটপালট এ এই খাতের পুনর্গঠন করা বা ডাকাত মুক্ত করা সম্ভব কিনা একটু চিন্তার বিষয়। তাই সকল ডাকাত দের হাত থেকে এ অধিদপ্তর কে রক্ষা করতে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পদক্ষেপ ও গ্ৰহন করা জরুরি। কিছু দিন আগে জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে যে ১১ সদস্যের যে কমিটি গঠন করা হয়েছে তা যেন ১৮ কোটি মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে। আশাবাদি না হয়ে ও কোন উপায় নেই, কারণ আশা নিয়ে আমাদের সকলের বাঁচতে হবে।

দেশের ১৮ মানুষের মধ্যে থেকে ঐ ১১ জন চৌকস মানুষ পারবে স্বাস্থ খাতের সকল অব্যবস্থাপনা দূর করে,এর নেপথ্যে যে সকল মাফিয়া জড়িত সকল কে আইনের আওতায় এনে এবং তৎসংশ্লীষ্ট সকল কে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্ৰহনের সুপারিশ করবেন এবং সরকার তা বাস্তবায়নের ব্যবস্থা গ্ৰহন করবেন।

মানুষের যে কয়টি মৌলিক অধিকার আছে তার মধ্যে স্বাস্থ্য সেবা একটি। দুর্নীতি করে শ্তধু টাকা অপচয় করেনি,স্বাস্থ সেবা প্রাপ্তি থেকে ও বঞ্চিত হচ্ছে করা হচ্ছে জনসাধারণ কে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এর অধীনে দেশে প্রায় ১৫০০০ হাজারের ও বেশি হাসপাতাল এবং ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দুর্নীতি ও এ মন্ত্রালয়ের দায়ভার থেকে মুক্ত নয়।

এর মধ্যে আবার ভর্তি বাণিজ্য তেমন মেডিকেল,ডেন্টাল কলেজ সহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে গ্ৰেফতার কৃত জসিম বাহিনীর তান্ডব।প্রায় ৩ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র ও ৩ কোটি টাকার চেক এবং তার সহযোগীর কাছ থেকে আরো ১ কোটি টাকা (প্রায়) উদ্ধারের মধ্যে দিয়ে বুঝতে বাকি রইল না যে এ খাতের দুর্নীতি কতটা লাভজনক।কারণ লাইসেন্স কিন্তু দেওয়ার মালিক অধিদপ্তর। কথায় আছে অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে———————তব ঘৃণা তারে——– সমদহে।

এই মাফিয়া চক্রের ১৪টি প্রতিষ্টান কে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে কিছু দিন আগে।তারা এই চক্রকে সহায়তা করেছে তাদের ও আইনের আওতায় আনা সময়ের দাবি। নতুন পরিচালক ডিজি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক অধ্যাপক ডাঃ আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

করোনা ভাইরাস এর দাপট এবং সাথে সাবেক ডিজি আবুল কালাম আজাদ সাহেবের খাওয়া দাওয়া,কেনা বেচা সহ অন্যান্য খাতে নজির বিহীন দুর্নীতির কারণে সমালোচনার মুখে গত ২১ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার মাধ্যমে দুর্নীতির সমাপ্তি ঘটে। এখন দেশের ১৮ কোটি মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে নতুন মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম চেয়ে থাকা ছাড়া আর কিছু নেই। তবে মানুষের দ্বারাই সব অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়। মানুষের অসাধ্য এই পৃথিবীতে কিছুই নাই।

এখন দেখার বিষয়, কারণ আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাহেব ও বলেছেন এতে কেউ ছাড়া পাবে না। এই মন্ত্রালয়ের সাথে সাথে যেন সকল উৎস খুঁজে অপরাধী কে আইনের আওতায় আনা হয়।

সাদিক,
লন্ডন, ২৪০৭২০২০।

jeem@gmail.com