জনগনের মৌলিক বিষয়ে ঐক্যৈর প্রয়োজন

প্রকাশিত: ১:৩৯ অপরাহ্ণ, জুন ৪, ২০২০ 1,062 views
শেয়ার করুন

বাংলাদেশ দেশের জনগনের দুইটি ঐক্য না থাকলে দেশের জনগনের মৌলিক ঐক্যের সম্ভব না। আমারা মানুষ জাতি হিসাবে সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত।তাই আমাদের মননে ,মেধায়, চিন্তায় ,শিক্ষায় পরিপূর্ণ থাকার কথা। কিন্তু বৈচিত্র্যময় রং ,রূপের মহিমার পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের মনের যে পরিবর্তন যে কিভাবে হয়, যা সে নিজেই বোধ হয় জানে না। মানুষ যে কখন অকৃতজ্ঞ হয়, হয়তো নিজের স্বার্থে বা নিজে অন্যের স্বার্থের ব্যবহারের স্বীকার হয়,এতে সামাজিক ভাবে বা রাজনৈতিক ভাবে হউক। আজকের

আলোচনায় দুইটি দিক হলো গনতান্ত্রিক দেশের সার্বভৌমত্ব ও বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
গনতান্ত্রিক বাংলাদেশের মানুষ হিসাবে অসংখ্য সমস্যা থাকবে, আগামীতে ও সমস্যা আসবে। কিন্তু হাজার ও সমস্যা যেমন রয়েছে, সম্ভবনা প্রচুর। দেশের জাতীয় ঐক্য যদি রক্ষা করতে হয় ,এই দুটি জায়গায় আমাদের ঐক্যবন্ধ হতে হবে তা বিকল্প নেই।দেশের বিভিন্ন দলের ভিন্ন নীতি ,আর্দশ, উদ্দেশ্য থাকতে পারে।কারন দেশের গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জন গানের মত প্রকাশের মাধ্যমে স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে হলে,ভোটের প্রয়োজন ।স্বাধিনদেশের জনগনের দুইটি মৌলিক বিষয়কে সবকিছুর উপরে রেখে তার ইচ্ছা অনুযায়ী পছন্দের সরকার গঠন করবে। আব্রাহাম লিংকন ভাষায় “Democracy is the government of the people by the people and for the peoples”.
জাতির পিতা ও সার্বভৌমত্বএই দুটি বিষয় রাজনৈতিক ভাবে না ভেবে, নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে আসা দরকার।কারন স্বাধিনতা আর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-স্বাধিনদেশের জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একই সূতায় গাঁথা। এখানে একটি অস্বীকার করলে স্বাধিন দেশের মৌলিক কাঠামো ধ্বংসের সামিল এবং কাঠামোগত সুন্দর্য হারায়, সরকার ও দেশ অবমাননার মত দায়িত্বহীন কাজ। তাই আমাদের উচিত দেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতির জনককে স্ব স্ব জায়গা থেকে সবাইকে প্রতিজ্ঞাবন্ধ হয়া উচিৎ।যদি আমরা যদি দেখি ,৫২ ভাষা আন্দোলন ,৬৯ গন অভ্যত্রান,৬৬ ৬দফা আন্দোলন,৭০ নির্বাচন, বাঙ্গালী অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলা,জন প্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করা ,এসব কিছুর পরিনয় আমাদের ৭১ মুক্তিযুদ্ধ । সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্ঠে বজ্র ধ্বনি, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, একবারের সংগ্ৰাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে৩০ লক্ষ শহীদের রক্তে র বিনিময়ে, হাজার হাজার মা বোনের ইজ্জতের অর্জিত হয়েছিল আমাদের স্বাধীনতা নামক সোনার হরিণটি। ভাই হারিয়েছিল বোন,মা হারিয়ে ছেলে,স্ত্রি বিধবা হয়েছিল স্বামী হারিয়ে,চারিদিকে মিশিগান আর মরটারের আওয়াজ আকাশ বাতাস প্রকম্পিত ,অনাহারি শিশুর কান্নায় আকাশ ভারি হয়েছিল।যার প্রমান অনেক মা অভাবের কারনে , নিরাপত্তার অভাবে তার বুকের মানিক,নিজ গর্বে ধারন করা সন্তান অনেক বিদেশীর কাছে দত্তক দিয়ে দিয়েছিল । জানি না এ সব শিশু বেঁচে আছে কি না আজ কেউ জানে না ।তবে জাতির পিতা বেঁচে থাকলে হয়ত করতেন,কারন এ জাতি কে তিনি নিজের জীবনের চাইতেও বেশি ভাল বাসতেন। আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনার শরীরে জাতির পিতার রক্ত বহমান ,আশা করব মমতাময়ী জননেত্রী শেখ হাসিনা এই দত্তক নেওয়া খোঁজ নিবেন।
মুসলিম হিসেবে আমাদের করনীয় কি আমরা বেমালুম ভুলে যাই ,যা আমাদের কর্মেই এর প্রমান মিলে।কাজী নজরুল ইসলামের যখন নির্বাচনে দাঁড়ালেন তখনও মুসলমান নামধারী প্রেতাত্মা -কবি ইসলাম বিরোধী বলে অপপ্রচার চালিয়ে,খানা-পিনাহীন একই ঘরে আটকিয়ে রেখে নির্বাচনে ফেল করিয়ে দেয়।যদিও ,কম ভোট পাওয়ার কারনে পরবর্তীতে কবির প্রার্থীতা বাতিল হয়।আমরা সেই জাতি, কবি ইসলামী সংগীত গেয়ে ও প্রমান করতে ব্যর্থ হন।কবি মরার পর আজ ও দেখি বিভিন্ন ইসলামী দল তাদের প্রেরনা হিসাবে টানাটানি করছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দেশ স্বাধীন করে দিয়ে, দেশের দায়িত্ব ভার হাতে নিয়ে দেশ পুনঃ গঠনের কাজ চেষ্টা করতেই মীর জাফরের দল ৭৫ এর১৫ আগষ্ঠ সহ পরিবারের হত্যা করে , বাঙ্গালীর ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়ের সূচনা করেছিল , ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য।একই মীর জাফরের দল ক্ষমতা পাকাপুক্ত করতে জাতীয় চার নেতাকে জেলার ভীতর হত্যা করেছিল।একই ধারায় ,তাদের প্রেতাত্মা শেখ হাসিনাকে ১৯ বার প্রান নাশের চেষ্টা,শত মৃত্যুর হুমকি, আবার একই আগষ্ঠ মাসে( ২১ আগষ্ঠ) জননেত্রী শেখ হাসিনার উপর গ্ৰেনেড করে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দেওয়ার চেষ্টা করে,যদিও অনেক নেতা -নেত্রী নিহত হয়েছেন,অনেক এখনো বেঁচে আছেন,পুঙ্গত্র বরন করে।আমি নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। এখানে ও ক্ষমতা চিরস্থায়ী কুক্ষিগত করার লক্ষ্যে ও উদ্দেশ্য ছিল।তাই রাখে আল্লাহ মারে কে। হয়ত শেখ হাসিনার ধরেই এ দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে ,ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকার হিসেবে মানুষের সামনে তুলে ধরবেন বলেই আল্লাহ পাক উনাকে বাঁচিয়ে রেখেছে।
সুতরাং মানুষ কে হত্যা বা কুৎসা রটনা না করে,ভালটি প্রকাশ করা আর মন্দ টি ঠেকে রাখতে হয়।যা আমাদের ইসলামের নির্দেশ।কথায় বলে- কু জনে কু যশ গায় ,সু-যশ ঢাকিয়া,আর সুজনের সু-যশ গায় কু -যশ ঢাকিয়া ।অন্যের ভাল দেখলে মন খুশ রাখা মুমিন এর লক্ষন মনে রাখবেন।

তাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মত মানুষ এক দিনে জম্ম হয়নি।জেল,জুলম,আর জাতির অধিকার আন্দোলনে সারা জীবন বাজি রেখে জাতির জনকে পরিনত হয়েছেন।
আবার কবি নির্মলেন্দু গুণের ভাষায় ও জাতির জনকের অবদান আর অবস্থান স্পষ্ট ফুটে উঠে – কবির ভাষায়
শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে
রবীন্দ্রনাথের দীপ্ত পায়ে হেঁটে,
অতঃপর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন।
তখন পলকে, দারুন জলকে তরীতে উঠিল জল,হ্নদয় লাগিলো ধূলা,গনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার,সকল দুয়ার খুলা।
কে রোধে তাহার বজ্র ,গন সূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর অমর কবিতা খানি।
এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম।
এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধিনতার সংগ্ৰাম।

আজ তৃনমুল আওয়ামীলীগরা দিশা হারা,অন্য দল থেকে ছিটকে আসা নেতা কর্মীদের কারনে।এরা হয়তো আরো একটি ২১ আগষ্ঠ ছক তৈরি করছে।তাই এদের থেকে সাবধানতা বান্চনীয়,২০০৯ সালের আগে অন্য দল থেকে আসা নেতাকর্মী যেমন পরে আসলেও এদের থেকে সাবধান থাকা জরুরী।

তেমনি জাতি হিসেবে দেশের সার্বভৌমত্ব ও বঙ্গবন্দুকে জাতির জনক হিসাবে, হিংসা বিদ্বেষ পোষণ করা মোটেও সু রাজনীতির পরিচয় বহন করে না। জাতির ঐক্যের কেন্দ্র বিন্দুতে মোটেই আঘাত করা সমোচীন নয়।এ থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।