দুপুরে ভাত খেতে চাই

প্রকাশিত: ৯:৩৮ অপরাহ্ণ, জুন ৩, ২০২০ 621 views
শেয়ার করুন

১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট পৃথিবীর ইতিহাসের সব চেয়ে ঘৃন্যতম ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সাম্রাজ্যবাদের পা চাটা গোলাম খুনী মুস্তাক জিয়া ডালিম চক্র সর্ব কালের সর্ব শ্রেষ্ট বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে তাঁর স্বপরিবারে হত্যার পর বাংলাদেশ উন্নয়নের বদলে অবনতির চরম পর্যায়ে তলিয়ে যেতে থাকে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের হত্যা করা এবং তাদের উপর জেল-জুলুম ও অত্যাচার -নির্যাতন চলতে থাকে ।

এসব কথা সবার ই জানা যে , আওয়ামীলীগের ২১ হাজার নেতা কর্মী কে হত্যা করা হয় – শেখ হাসিনার জীবনের উপর বার বার হামলা করা হয় এবং বার বার ই এক অদৃশ্য শক্তি শেখ হাসিনার জীবন বাঁচিয়ে দেন -এখানে উল্লেখ্য যে পৃথিবীর ইতিহাস যতটুকু (এক – ইতিহাস গ্রন্থ পড়ে আর দুই ধর্ম গ্রন্থ পড়ে ) আমার জানামতে এমন কোন নেতা নেই যে -তার জীবনের উপর এ পর্যন্ত ২৩ বার হামলা হয়েছে আর ২৩ বার ই তাঁর জীবন রক্ষা পেয়েছেন , তাঁকে বাঁচাতে তাঁর কর্মীরা স্বেচ্ছায় জীবন দিয়ে রক্ষা করেছেন তাদের প্রানপ্রিয় নেত্রী কে । দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসে দেশ তখন খাদ্য ঘাটতির এক চরম দুঃসময় অতিক্রম করছে ,শূন্য প্রায় রিজার্ভ উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।

  • যাক আমি শিরোনামে চলে আসি স্লোগানের মতো সমস্বরে উচ্চারণ ” আমরা দুপুরে ভাত খেতে চাই !!!!১৯৯৬ সালে প্রথম বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে জাতির জনকের সুযোগ্যা কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সেনা সদর দপ্তরে সেনাবাহিনীর দরবার হলে গিয়ে সেনা বাহিনীর নিকট জানতে চান তাদের কোন দাবী দাওয়া আছে কি না তখন সমস্বরে উচ্চারিত হয় – “আমরা দুপুরে ভাত খেতে চাই” । কথাটি শুনে আবেগাপ্লুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুবই মর্মাহত করে তিনি তাঁর চুখে জল ধরে রাখতে পারেন নি ।

তিনি সেদিন ই প্রথম জানতে পারেন যে সেনাবাহীনির সদস্যরা একবেলা অর্থাৎ রাতে ভাত খেয়ে থাকেন আর দুপুরে রুটি এ প্রথা শুরু থেকেই এরকম চলে আসছে অথচ দুইবার তাদের মিলিটারী জিয়া ও এরশাদ সরকার ছিলো ক্ষমতায় ।
সেনাবাহিনীর এই সংবাদ শুনে মানবিক প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষণিক তাদের দাবী পূরণ করতে পারেন নি তবে তিনি চেষ্টা করবেন বলে জানান কারণ তখন বাংলাদেশ খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিলো , বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানী করে অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করা হতো ।
আর আমদানী করতে টাকার দরকার এদিকে রিজার্ভ ও যথেষ্ট নেই তাই উভয়সংকটে পড়ে দুপুরে ভাত খাওয়ার সেনাবাহিনীর দাবী তাৎক্ষণিক পূরণ করতে না পেরে তখন থেকে মানবতার মা শেখ হাসিনা তিনি নিজে দুপুরে ভাত খাওয়া ছেড়ে দেন এবং খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতা কিভাবে অর্জন করা যায় এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করে নিরলস ভাবে কৃষির উন্নয়নে কাজ করতে থাকেন এবং মাত্র দুই বছরের মাথায় ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ প্রথম বারের মতো খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে ।

তারপর ১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারো সেনানীবাবাসে দরবার হলে সেনাবাহিনীর সাথে মিলিত হন এবং সেই দিন থেকে সেনাবাহিনী কে নিয়ে দুপুরের ভাত খাওয়ার মধ্যে দিয়ে নিজে ও দুপুরের ভাত খাওয়া শুরু করেন । সেই থেকে রেওয়াজ হলো সেনা সদস্যরা দুবেলা ভাত খেতে পারবেন ।