সেকিল চৌধুরীকে নিউ ইয়র্ক স্টেট এসেম্বলির সম্মাননা

নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক

বায়ান্ন টিভি

প্রকাশিত: ৯:৫৩ অপরাহ্ণ, মে ২৩, ২০২২ 573 views
শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে নিউ ইয়র্কে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সেন্টার ফর এনআরবি চেয়ারপারসন এম এস সেকিল চৌধুরীকে নিউ ইয়র্ক স্টেট এসেম্বলি কর্তৃক সম্মানসূচক সাইটেশন প্রদান করা হয়। বিশ্বব্যাপী প্রবাসী বাংলাদেশি ও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান কমিউনিটির উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়। নিউ ইয়র্ক স্টেট এসেম্বলির পক্ষে এসেম্বলিওমেন মিস জেনিফার এই সম্মাননা হস্তান্তর করেন। গত ৭ই মে নিউ ইয়র্কের একটি অভিজাত হোটেলে ইউএস বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সম্মাননা স্মারকটি সেকিল চৌধুরীর হাতে তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে নিজ নিজ ক্ষেত্রে অবদানের জন্য অন্যান্যের মধ্যে নিউজার্সি স্টেটের কাউন্সিলমেন ডক্টর নুরুন্নবী ও নিউ ইয়র্ক নিউ ডেমোক্রেটিক ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট মোরশেদ আলমকেও সম্মাননা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে লিটন আহমদকে প্রেসিডেন্ট লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন ভিডিও বার্তার মাধ্যমে যুক্ত হন এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, বিডা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, নিউ ইয়র্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলাম ও জাতিসংঘে আমেরিকার স্বাস্থ্য বিষয়ক রাষ্ট্রদূত ডক্টর কারেতনায়া সহ আমেরিকা ও বাংলাদেশের প্রশাসন ও নীতিনির্ধারক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সেন্টার ফর এনআরবি চেয়ারপারসন এম এস সেকিল চৌধুরীকে নিউইয়র্ক স্টেট এসেম্বলি প্রদত্ত সাইটেশনে বলা হয়, দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী মানবিক কার্যক্রম, আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতা স্থাপনে ভুমিকা, প্রবাসী বাংলাদেশীদের অবদান ও দেশে-বিদেশে তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়াস এবং শান্তি সম্প্রীতি বিকাশে সেকিল চৌধুরী যে অনন্য অবদান রাখছেন তার জন্য তাকে এই সম্মাননা প্রদান করা হলো ।
সম্মাননার জবাবে সেকিল চৌধুরী  নিউ ইয়র্ক স্টেট এসেম্বলির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং আমেরিকার জনগণ ও সরকারকে বাংলাদেশের প্রতি বন্ধুত্বের সম্পর্ক এভাবে এগিয়ে নেয়ার প্রয়াসকে ধন্যবাদ জানান । তিনি বলেন, দুটো বন্ধু রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক ছোটখাটো ত্রুটি বিচ্যুতির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না, দুই জাতির অনন্য সম্পর্কের মধ্য দিয়ে এই সম্পর্ক এগিয়ে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে তা আরও ব্যাপকতা লাভ করবে বলে তিনি আশা করেন । তিনি বলেন, সেন্টার ফর এনআরবি আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিভিল সোসাইটি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি আমেরিকা-বাংলাদেশের সম্পর্ক সম্প্রসারণে ও দুই দেশের নাগরিকদের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। এটি দু দেশের সরকারকে তাদের কার্যক্রমে ইতিবাচক সহায়তা করছে। তিনি আমেরিকায় বসবাসকারী বাংলাদেশি আমেরিকানদের মূল ধারার রাজনীতি, বিভিন্ন সামাজিক, আর্থিক ও সেবামূলক কার্যক্রমে অবদানের বিষয়টি বিস্তারিতভাবে অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করেন।