নীলফামারীতে কুকুরের কামড়ে শিশুসহ আহত ৭৫

প্রকাশিত: ১১:৩২ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১০, ২০২১ 588 views
শেয়ার করুন
নীলফামারী জেলাজুড়ে ভয়াবহ মাত্রায় বেড়েছে চলেছে বেওয়ারিশ কুকুরের উৎপাত। কখন বেওয়ারিশ কুকুর কামড় দেয় এ নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে জেলাবাসী। কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে মঙ্গলবারসহ গত চার দিনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ৭৫ জন। তারা সকলেই জলাতঙ্ক থেকে রক্ষা পেতে র‌্যাবিস ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন।
 
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কুকুরের সংখ্যা বেড়ে গেলে সাধারণত সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলো তা নিধন করত। কিন্তু উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২০১২ সাল থেকে সারা দেশে কুকুর নিধন বন্ধ রয়েছে। ফলে নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় বেড়েছে কুকুরের কামড়ে আক্রান্তের সংখ্যাও। তাই কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত উদ্যোগ দরকার।
 
নীলফামারী জেনারেল হাসপাতাল সুত্র জানা যায়, কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে গতকাল হাসপাতালে র‌্যাবিস ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন ২২জন। এর আগের দুইদিনে কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে একই ভাবে চিকিৎসা ও ভ্যাকসিন গ্রহন করেন ৫৩ জন। মাত্র চার দিনের ব্যবধানে কুকুরের কামড়ের শিকার হয়েছেন ৭৫ জন। এছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে ৩৮৮ ও ফেব্রুয়ারী মাসে ২৮৬ জন কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে এ হাসপাতালে র‌্যাবিস ভ্যাকসিন গ্রহন করেছে। আহতরা সকলেই জেলার ৬ উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা।
 
এদিকে সৈয়দপুর উপজেলা শহরে গত দু’দিনে কুকুরের কামড়ে ১৭ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। এদের মধ্যে দুই শিশুর মুখমন্ডল ও গলা মারাত্বক ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। শিশু দুইজন হলো সাহেবপাড়া রেলওয়ে হাসপাতালের পিছনের এলাকার কামালের দুই ছেলে ইসমাইল (৭) ও মিস্ত্রিপাড়ার রাজুর ছেলে হাসান (৬)। একটি কালো রঙের কুকুরই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
 
নীলফামারীর জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মেজবাহুর রহমান জানান, সরকারিভাবে কুকুর কামড়ের র‌্যাবিস ভ্যাকসিন বিনামুল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রতিদিন অসংখ্য কুকুর কামড়ের রোগী হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কুকুরের কামড়ে আহতদের এ ভ্যাকসিন চারদফায় প্রয়োগ করা হয়। যেদিন ভ্যাকসিন নিবে তার ৩দিন পর দ্বিতীয় ডোজ, ৭ দিন পর তৃতীয় ডোজ ও ২৮ দিনে চতুর্থ বা শেষ ডোজ।
 
এব্যাপারে নীলফামারী পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশে সারা দেশে কুকুর নিধন বন্ধ আছে। সেহেতু বিকল্প কিছু চিন্তা করতে হবে। যেমন কুকুর বন্ধ্যাকরণের টিকা দেয়া। এতে কুকুরের বংশ বিস্তারের সংখ্যা কমবে।এ ছাড়া কুকুরকে জলাতঙ্ক থেকে নিরাপদ করতে ডগ ভ্যাক্সিনেশন বা ব্যাপক হারে কুকুরের টিকাদান কার্যক্রম গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। সরকারি ভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রয়োজন বলে মনে করনে তিনি।