সিলেটের হবিগঞ্জে বর্জ্যের দূষণে মারা যাচ্ছে মহাসড়কের পাশের শতাধিক গাছ

লুৎফুর রহমান লুৎফুর রহমান

সম্পাদক ও সিইও, বায়ান্ন টিভি

প্রকাশিত: ১০:১৩ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৮, ২০২১ 312 views
শেয়ার করুন

 

 

কখনও ভ্যানে, কখনও ড্রাম ট্রাকে করে ময়লা-আবর্জনা এনে ফেলা হচ্ছে মহাসড়কে পাশে। এতে পথচারী ও যানবাহনের যাত্রীদের দুর্গন্ধ সহ্য করে ওই এলাকা পার হতে হয়। শুধু তা-ই নয়, সড়কের পাশের গাছের গােড়ায় রাখা ময়লায় ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে আগুন। সম্প্রতি হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার ঢাকা সিলেট মহাসড়কের পাশে নতুন খানা ভবনের বিপরীত এলাকায় দেখা।

 

যায় এ দৃশ্য। স্থানীয় লােকজন বলছেন, এভাবে বজ্যে আগুন দেওয়ায় মরে গেছে। মূল্যবান গাছ।

 

স্থানীয় ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আ স ম আফজল আলী বলেন, শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভায় ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট কোনাে জায়গা নেই। বছরের পর বছর এলাকার সব বর্জ্য ভ্যান ও ড্রাম ট্রাক দিয়ে মহাসড়কের পাশে ফেলা হয়। পরে আগুন দিয়ে ওই বর্জ্য পােড়ানাে হয়। এ কারণে বহু গাছ মরে গেছে।

 

পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার নিযুক্ত শ্রমিকেরা প্রতিদিন বাসাবাড়ি ও বাজার থেকে ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করেন। বর্জ্য ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় মহাসড়কের ওই স্থানে এবং আরও কয়েকটি স্থাপে ফেলা হয়।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে শায়েস্তাগঞ্জ নতুন থানা ভবনের বিপরীতে ফেলা বর্জ্যের দূষণে মারা যাচ্ছে মহাসড়কের পাশের শতাধিক গাছ। অনেক গাছের ডালে পাতা নেই। গাছ শুকিয়ে গেছে। এসব মৃত গাছ রাতের আধারে কেটে নিয়ে যাচ্ছে দুর্বিত্তরা। হবিগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাে. সজিব আহমেদ জানান, সড়ক বিভাগের জায়গাতে পৌরসভার বর্জ্য ফেলার কোন সুযােগ নেই। আমরা এই বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবাে।

 

শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার মেয়র এম.এফ আহমেদ অলি জানান, এক মাস হয়েছে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। পৌরসভার বজ্য কোথায় ফেলা হয় আমার জানা নেই। তবে আগামী দুই মাসের মধ্যে ডাম্পিং স্টেশন নির্মানের কাজ শুরু করব শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান হবে।

 

বনবিভাগের লােকজন জানান, ধারনা করা হচ্ছে বজ্যের কারনেই গাছ গুলাে মারা যাচ্ছে। যারা গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।