নড়াইলে শিশুদের সঙ্গে অন্যরকম ভালোবাসা দিবস পালন

ফরহাদ খান ফরহাদ খান

বায়ান্ন, নড়াইল

প্রকাশিত: ৯:০৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২১ 492 views
শেয়ার করুন
নড়াইলে এতিম ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের শিশুদের সঙ্গে ব্যতিক্রমী ভালোবাসা দিবস পালন করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্বপ্নের খোঁজে ফাউন্ডেশন’।
 
১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস এবং সংগঠনের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল থেকেই বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়। এর মধ্যে সকাল ১০টার দিকে শহরের রূপগঞ্জ এলাকা থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রা শেষে পুরাতন বাস টার্মিনাল এলাকায় বঙ্গবন্ধু চত্বরে আলোচনা সভা, কেককাটা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুরষ্কার ও খাবার বিতরণের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রায় ১০০ শিশু অংশগ্রহণ করে। এসব অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পেরে ভীষণ খুশি শিশুরা।
 
স্বপ্নের খোঁজে ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা মোঃ ফয়সাল মুস্তারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নড়াইল পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র আঞ্জুমান আরা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মির্জা গালিব সতেজ।
 
এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন-নড়াইল পৌরসভার কাউন্সিলর ইপি রানী অধিকারী, শরফুল আলম লিটু, কাজী জহিরুল হক জহির, আনিসুর রহমান আনিস, মোহাম্মদ বাবলু, স্বপ্নের খোঁজে ফাউন্ডেশনের সদস্য এস এম শাহ পরান, শাহরিয়ার রোহান রাজ, সোহাগ ফরাজি, শাকিল আহম্মেদ, এস এম শামীম হোসেন, শেখ সাদী, হাসিব, মর্ম, আপন জনি, ঐশিক, সৌরভসহ সংগঠনের সদস্যরা।
 
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মির্জা গালিব সতেজ পড়ালেখার পাশাপাশি ২০১৭ সাল থেকে স্বপ্নের খোঁজে ফাউন্ডেশনের ব্যানারে অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
 
লেখাপড়ার টাকা জমিয়ে এবং বাবা-মাসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের অনুপ্রেরণায় করোনা সংকটে চালসহ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, বিনামূল্যে সবজি বাজার, জীবানুনাশক স্প্রে, মাস্ক, গরিব কৃষকের ধানকর্তন, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, ইফতার ও ঈদে নতুন পোশাক বিতরণ ছাড়াও বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করেছেন স্বপ্নের খোঁজে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মির্জা গালিব সতেজ।
 
পরিবারের সহযোগিতায় করোনাযুদ্ধে অসহায় মানুষের জন্য প্রায় দুই লাখ টাকা ব্যয় করেছেন তিনি। মানবসেবাই তার একমাত্র নেশা বলে জানিয়েছেন সতেজ। এছাড়া তার বন্ধুরা এসব কাজে তাকে সহযোগিতা করেন। ভালো কাজ করে বিভিন্ন পেশার মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তারা।