করোনা জয় করে আজ হতে হাসপাতালে ফিরলেন আবাসিক চিকিৎসক  রাজিব দে 

কাউছার আলম কাউছার আলম

পটিয়া, দক্ষিণ চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: ১:২৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৮, ২০২০ 830 views
শেয়ার করুন
করোনাকে জয় করে হাসপাতালে ফিরলেন    পটিয়া  উপজেলা স্বাস্থ্য  কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও)  ডা. রাজিব দে। শুরু থেকেই তিনি পটিয়ায়    করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। পটিয়া স্বাস্থ্য   কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা যায়,  গত ২ এপ্রিল হতে পটিয়ায়   করোনা সংক্রমণের প্রথম থেকেই ফ্রন্টলাইনের এ চিকিৎসক  রোগিদের দিন রাত  সেবা দিচ্ছিলেন । এক পর্যায়ে তিনি গত ৫  জুলাই  করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন। এরপর তিনি হোম আইসোলেশনে   থেকে চিকিৎসা নেন। পরে ১৬ জুলাই ওনার রিপোর্ট নেগেটিভ আসলে তিনি আজ থেকে কাজে যোগ দেন। 
ডাক্তার রাজিব দে জানান, করোনাকে ভয় না পেয়ে মনে সাহস যুগিয়ে রাখলেই সম্ভব করোনা জয় করা। আর যদি করোনাকে ভয় পেয়ে যায় তাহলেই বিপত্তি। করোনা পজিটিভ রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যাপারে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, করোনা রোগীদের নরমালি প্রোটিন জাতীয় খাবার দাবার খেতে হবে, ভিটামিনসি জাতীয় খাবার, মৌসুমি ফলমূল বেশি করে খেতে হবে। যদি শারীরিক কন্ডিশন খারাপের দিকে যায় তাহলে সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ কিংবা হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।
এদিকে ডাক্তার রাজিব দে’র পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিনি সহ পরিবারের আরো আট সদস্যের ও করোনায় আক্রান্ত হন। তাদের মধ্যে রাজিব দে’র বাবা, মা, শাশুড়ি, ছোট ভাই ও তার স্ত্রী, ছোট ভাইয়ের শাশুড়ী ও চাচাত ভাই। তবে ইতোমধ্যে পরিবারের ৬ জনের দ্বিতীয় দফায় নমুনা রির্পোটে নেগেটিভ আসলেও ডাক্তার রাজিব দে’র বাবা ও মায়ের ৩য় দফায়ও নমুনা রির্পোট পজিটিভ আসে। তারা দু’জনের শারিরীক কন্ডিশনও তেমন ভালো না। তারাও বাসায় আলাদা হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন।
সদ্য করোনামুক্ত পটিয়া  উপজেলা স্বাস্থ্য  কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার   ডাক্তার রাজিব দে  বলেন, সৃষ্টিকর্তার   অশেষ রহমত ও সকলের দোয়ায় আমি সুস্থ হয়েছি। আমার সিনিয়র চিকিৎসকরা প্রতিনিয়ত আমার খোঁজ নিয়েছেন। তাদের পরামর্শ মতো ওষুধ সেবন করেছি। গত  ১৬ জুলাই আমার নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে।  আমি আজ হতে হাসপাতালের কাজে যোগ দিয়েছি।
তিনি বলেন, যারা করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের অবশ্যই প্রতি ঘন্টা অন্তর শরীরের অক্সিজেনের পরিমাপ করা জরুরী। কারণে যেকোন সময় অক্সিজেন সেচ্যুরেশন কমে যেতে পারে।
অবশ্যই আমাদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। তাছাড়া এই রোগের এখনও কোন ওষুধ আবিস্কার হয়নি। তাই আমাদের প্রতি ঘন্টা পর হাত ধুতে হবে। যদি সঠিক নিয়মে মাস্ক ব্যবহার করি তাহলে করোনা সংক্রমণের হার শূণ্যের কোঠায় নেমে আসবে।