উপজেলার উন্নয়ন করার সুযোগ চাইলেন অভি মান্নান

প্রকাশিত: ২:১৭ পূর্বাহ্ণ, জুন ৪, ২০২৪ 136 views
বক্তব্য রাখৈন সাদাত মান্নান অভি
শেয়ার করুন

আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। সোমবার ছিলো প্রচারণার শেষ দিন। এদিন উপজেলার শান্তিগঞ্জ বাজারের ‘মান্নান চত্বরে’ জনসভা করেছেন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী, সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান পুত্র, অর্থনীতিবিদ সাদাত মান্নান অভি (আনারস)। সোমবার বিকাল ৪ টায় এ জনসভা করেন অভি মান্নান। জনসভায় সভাপতিত্ব করেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আবদুল হেকিম।

উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নূর হোসেন ও উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক সেলিম রেজার যৌথ পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখ্ত পলিন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সাদাত মান্নান অভি একজন পরিচ্ছন্ন ও উচ্চ শিক্ষিত মানুষ। একজন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ। তিনি জানেন, কীভাবে মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন করতে হয়। তার যেমন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আছে, তেমনি পারিবারিকভাবেও তিনি দেশ ও দশের উন্নয়নের শিক্ষা পেয়েছেন। আমরা সবাই জানি, তার বাবা একজন সফল মন্ত্রী ছিলেন। তিনি সুনামগঞ্জে জেলার সম্পূর্ণ দৃশ্য পাল্টে দিয়েছেন। আমরা আরেকজন যোগ্য উত্তসূরি পেতে যাচ্ছি। সুতরাং আগামী ৫ তারিখ সারাদিন সাদাত মান্নান অভিকে আনারস প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে এম এ মান্নান মহোদয়ের মতো উপজেলার উন্নয়নে ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার সুযোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।’

আনারস প্রতীকের প্রার্থী সাদাত মান্নান অভি তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমি উপজেলাবাসীর উন্নয়ন করতে চাই। বিশেষ করে শিক্ষার মানোন্নয়ন, স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন, উদ্যোমী তরুণদের জীবনমান উন্নয়নে কর্মসংস্থান তৈরি ও পরিবেশের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। দয়াকরে আমাকে সে সুযোগ দিন। আমি জানি আন্তর্জান্তিক দাতা সংস্থাগুলো কোন কোন খাতে অনুদান দেয়। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি দেশের দাতাসংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্র্তাদের সাথে কথা বলেছি। তারা আমাকে আশ্বস্থ করেছেন। অনুদান দিবেন। তবে যে জায়গা থেকে আমি অনুদান চাইবো, আপনারা সে জায়গাটুকু আমাকে করে দিতে হবে। সরকারের ধারাবাহিক বরাদ্দের বাইরেও উপজেলাবাসীর জন্য আরো অনুদান নিয়ে আসার সক্ষমতা আমার আছে। আমি জানি কোথায় টাকা আছে। আমাকে আপনারা সুযোগ করে দিন, আমি উপজেলার উন্নয়নে কাজ করতে চাই।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচন করার কোনো ইচ্ছা আমার ছিলো না। এই উপজেলার মুরব্বিরা আমাকে আসতে বলেছেন। এখানে আমার বাবার কোনো হাতনেই। আমার একক সিদ্ধান্তে এবং উপজেলাবাসীর পরামর্শে প্রার্থী হয়েছি। আমি যদি যোগ্য ব্যক্তি হই, তাহলে ৫ জুন আমার প্রতি আপনারা ন্যায় বিচার করবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

 

নির্বাচনের শেষ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুর রহমান সিরাজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মাহবুবুল আলম শাহীন, উপ-প্রচার সম্পাদক শুভ বনিক, জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু, জগন্নাথপুর পৌর সভার প্যানেল মেয়র সাফরুজ ইসলাম মুন্না, শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সিতাংশু শেখর ধর সিতু, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজি তহুর আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. হাসনাত হোসেন, শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাওলানা আবদুল কাইয়ুম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, মাসুক মিয়া, এনামুল কবির, উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম রাইজুল, পশ্চিম বীরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মো. লুৎফুর রহমান জায়গীরদার খোকন, পাথারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম, জয়কলস ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল বাছিত সুজন, জয়কলস ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাসুদ মিয়া, পাথারিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা মিয়া, জয়কলস ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ কালাশাহ, পূর্ব বীরগাঁও ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সালেক উদ্দিন, পশ্চিম বীরগাঁও ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, পশ্চিম বীরগাঁও ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নুরুল আমীন, পশ্চিম পাগলা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল হক, দরগাপাশা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মনির উদ্দিন, পূর্ব পাগলা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান রফিক খাঁন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি তেরাব আলী, উপজেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি জ্যোতি ভূষণ তালুকদার ঝন্টু, পাথারিয়া ইউপি আওয়ামীলীগ সভাপতি আলী নেওয়াজ, জয়কলস ইউপি আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবেল আহমদ, শান্তিগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান সুজন, কৃষকলীগের আহ্বায়ক ফয়জুর রহমান, আন্জুমানে আল ইসলাহ সাংগঠনিক সম্পাদক তাজ উদ্দিন, শান্তিগঞ্জ বাজার কমিটির সভাপতি রিপন তালুকদার, জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হোসেন লালন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুফিয়া খানম সাথী, উপজেলা জাতীয় পার্টি সভাপতি হারুন মিয়া, আওয়ামীলীগ নেতা আবদুল হাই জায়গীরদার রাজ, রাজা মিয়া, দরগাপাশা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু খালেদ চৌধুরী রুবেল, উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. নাঈম আহমদ, উপজেলা বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট সাধারণ সম্পাদক আজিজ রেজা, ইউপি সদস্যা খোরশেদা আক্তার, আবদাল মিয়া ও কবির হোসেন প্রমুখ।