বিমানের এক লাখ বাইশ হাজার টাকার টিকেটেও বিপত্তি !

আমিনুল হক আমিনুল হক

বায়ান্ন টিভি

প্রকাশিত: ২:১১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৭, ২০২০ 889 views
শেয়ার করুন

বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা “বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স” এর ১ লক্ষ ২২ হাজার টাকা দিয়ে টিকেট কিনে আবুধাবী এয়ারপোর্টে এসে API বা এডভান্সড প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন” সম্পর্কিত জটিলতার সমস্যায় পড়ে আবার দেশে ফেরত যেতে হল এক প্রবাসী বাংলাদেশীকে। ওই প্রবাসী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। আমিরাতের রাজধানী আবুধাবী এয়ারপোর্টে গত শনিবার বাংলাদেশ থেকে বিমানের ফ্লাইটে আসা ২২৫ জন যাত্রীর মধ্যে তিনিও ছিলেন।

 
আবুধাবী ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে তিন ধাপে মোট ১৪৮ জন বিমান যাত্রীকে ইমিগ্রেশনের জন্য ছেড়ে দেয়া হয়। অবশিষ্ট ৭৭ জন যাত্রী আটকা পড়েন, তাদের মধ্যে তিনিও একজন। আবুধাবী এয়ারপোর্টে থাকাকালীন “বায়ান্ন টিভি” এর সাথে ফোনালাপে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি আরো বলেন, দেশে যাওয়ার পর করোনা ভাইরাসের কারণে আটকা পড়ে যাই। পরবর্তিতে ICA এপ্রোভেল ছাড়াই আবুধাবী এয়ারপোর্টে উম্মুক্ত হলে ঢাকাস্ত একটি ট্রাভেল অফিস থেকে টিকেট ক্রয় করি, যার মূল্য ছিল ১ লক্ষ ২২ হাজার টাকা। পরে করোনা টেষ্ট সহ সবকিছু মিলিয়ে আমিরাতে আসতে আমার ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার মত খরচ হয়। এখন জানতে পেরেছি আমাকে নাকি দেশে ফিরত যেতে হবে। আমার সর্বস্ব বিক্রি করে এই টিকেট করেছিলাম। আমি এখন দেশে গিয়ে কি করব আর আবার কি ভাবে আমিরাতে ফিরব জানিনা।
 
আরেক প্রবাসী জামশেদ আলী ‘বায়ান্ন টিভি” এর সাথে ফোনালাপে জানান, আমি বাংলাদেশে যাওয়ার সময় বিমানের রিটার্ন টিকেট করে গিয়েছিলাম। আমিরাতে আসার জন্য গত সোমবার রিটার্ন আসার জন্য টিকেট কনফার্ম করতে গেলে আমাকে বলা হয় ২৮ আগষ্টের আগে বিমানের সিট খালী নাই।
 
উপায়ন্তর না দেখে ৬০ হাজার টাকা দিয়ে আমি এয়ার এরাবিয়ার টিকেট নেই। গত শনিবার সকাল থেকে আবুধাবী এয়ারপোর্টে আমি সহ এয়ার এরাবিয়ায় আসা একই ফ্লাইটের ৫০ জন যাত্রী আটকে আছেন। আমাদের সাথে আসা প্রায় ২০০ জন যাত্রী বের হয়েছেন। আমাদের কি কারণে আটকে রাখা হয়েছে জানিনা।
 
এদিকে বাংলাদেশ দূতাবাস আবুধাবীর রাষ্ট্রদূত আবু জাফর আটকে থাকা প্রবাসীদের বের করার অনেক চেষ্টা করেছিলেন। আটকেপড়া যাত্রীদের সমস্ত জটিলতা নিরসন করে অবমুক্ত করতে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ সব ধরনের চেষ্টা চালিয়েও সফল হতে পারেননি। সেই সাথে বাংলাদেশের ঢাকাস্থ আমিরাত দূতাবাসের কর্মকর্তাদেরকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছিল। আটকেপড়া যাত্রীদের অবমুক্ত করতে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক ত্রিমুখী সমন্বয় এবং প্রচেষ্টা শেষ পর্যন্ত সফলতার মুখ দেখেনি।