স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্বম্ভরপুরের এক আত্মীয়ের বাড়ী থেকে বিয়ের দাওয়াত খেয়ে একটি যাত্রীবাহী সিএনজি অটোরিকশা  (সিলেট-থ-১২-১১৫০) যোগে সিলেটের শেখ ঘাটের কলাপাড়া এলাকায় ফেরার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে। তারা জানান সিএনজিটি দুর্ঘটনাস্থলে এলে সুনামগঞ্জমুখী একটি মালবোঝাই পিকআপ (ঢাকা মেট্রো-ন-১৬-৬১১২) সিএনজিকে সজোরে  ধাক্কা দেয়। এতে সিএনজি অটোরিকশাটি ধুমড়ে মুচড়ে রাস্তার উত্তর পাশে পড়ে গিয়ে পড়ে। এসময় আশপাশের লোকজন গুরুতর আহতদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে শান্তিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে তাদেরকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।  দুর্ঘটনার পরপর পিকআপ চালক ও হেলপার গাড়িটি রাস্তায় রেখে পালিয়ে যান। খরবর পেয়ে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে আসেন।

শান্তিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার সৌকত দাশ জানান, দুর্ঘটনায় আহতদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে এবং তাদেরকে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় দিখন্ডিত হওয়া হাত ভাল ভাবে ভ্যান্ডেজ করে সাথে করে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাত জোড়া লাগানো সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি বলেন, সিলেট-সুনামগঞ্জ অঞ্চলের এই সড়কটি এখন দুর্ঘটনায় ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে৷ বিশেষ করে মোড়গুলো। এই দুর্ঘটনাও মোড়ের কারণে ঘটে থাকতে পারে। আমি সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করবো, এই মোড়সহ সড়কটির আরো বড় বড় মোড়ে ছোট ছোট গতিরোধক দিতে হবে। লুকিংগ্লাস ব্যবহার করতে হবে। অন্তত কিছুটা হলেও দুর্ঘটনা কমবে। চালকদের আরো সতর্কতার সাথে গাড়ি চালাতে হবে।

শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল আহাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ঘটনার পরপর আমিসহ আমার ফোর্সদের নিয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি এবং পিকআপকে আটক করেছি।  পিকআপ চালক পালিয়ে গেছে।  শান্তিগঞ্জ হাসপাতালে রোগীদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে এবং তাদেরকে ডাক্তাররা ওসমানীতে রেফার্ড করেছেন।