সুমন ইসলাম -সিলেট প্রতিনিধি :
ঈদের আজ ২য় দিন ছূটিও শেষ হচ্ছে আজ তাই পরিবার পরিজন নিয়ে শহর কেন্দ্রীক পর্যটকদের ঢল নেমেছে বিমানবন্দর সড়কের পাশ্ববর্তী মালিনীছড়া ও লাক্কাতুরা চা-বাগানে।
চারপাশে সবুজের সমারোহ। নীল আকাশের নিচে যেন সবুজ গালিচা পেতে আছে সজীব প্রকৃতি। উঁচু-নিচু টিলা এবং টিলাঘেরা সমতলে সবুজের চাষাবাদ। শুধু সবুজ আর সবুজ। মাঝে মাঝে টিলা বেষ্টিত ছোট ছোট জনপদ। পাহাড়ের কিনার ঘেষে ছুটে গেছে আকাবাঁকা মেঠোপথ। কোন যান্ত্রিক দূষণ নেই। কোথাও আবার ধাবমান পথে ছুটে চলছে রূপালী ঝর্ণাধারা। প্রকৃতির সকল সৌন্দর্যের সম্মিলন যেন এখানে। এমন অন্তহীন সৌন্দর্যে একাকার হয়ে আছে সিলেটের চা বাগান।এতেই যেন মুগ্ধ আগত পর্যটকরা।
কিন্তু করোনা নামক মহামারী ভাইরাস যেন ভুলিয়ে দিছে তাদের প্রকৃতির এই মুগ্ধতায়। নেই কারো মুখে মাক্স আর সামাজিক দুরত্বের কথা তো বলাই বাহুল্য।।
যদিও প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় প্রশাসন। পাশাপাশি পর্যটকদের যাতায়াতেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে এ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই ঈদের ছুটিতে সিলেটের চা বাগানসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ভিড় করেন অসংখ্য পর্যটক।
নগরী শিবগঞ্জ থেকে আসা , আমিন আহমেদ মাস্ক ছাড়াই বাগানে ঘুরছেন, এসময় মাস্ক নেই কেন জানতে চাইলে বলেন ঘুরতে বেড় হইছেন এজন্য মাস্ক সাথে আনেন নাই, নগরীর তালতলার বাসিন্দা জামিল আহমেদ শিশুসহ পরিবার নিয়ে বাগানে ঘুরতে আসছেন।নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও কেন ঘুরতে আসছেন প্রতিবেদক এমন প্রশ্ন করলে তিনি জানান ঈদের ছুটি আজই শেষ হচ্ছে এভাবে পরিবার নিয়ে বের হওয়ার সুযোগ আর নেই তাই বাগানে ঘুরতে আসছেন।সিলেটের চা বাগান সহ সিলেট ক্বীন ব্রিজ নদীর পাড়, সিলেট কাজিরবাজার ব্রীজ ঠিক একইরকম পর্যটকদের ভীড় লক্ষ্য করা গেলেও দেখা মেলেনি মাক্স কিংবা স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে সচেতনতা।