বিয়ানীবাজারে গনপরিবহনে মানা হচ্ছেনা সামাজিক দূরত্ব

মাহবুব জয়নুল মাহবুব জয়নুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৪:২২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩, ২০২১ 471 views
শেয়ার করুন

 

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের শর্তে গণপরিবহনে ৬০ ভাগ ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে সে সিদ্ধান্ত মানছে না সিলেট-বিয়ানীবাজার-বারইগ্রাম সড়কে চলাচলকারী গণপরিবহন। আবার কিছু পরিবহন অর্ধেক যাত্রী নিলেও তাদের বিরুদ্ধে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।

 

বৃহঃবার (১ এপ্রিল) সিলেট-বিয়ানীবাজার-বারইগ্রাম সড়ক এবং উপজেলার অন্যান্য সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনগুলো পরিদর্শণে দেখা যায়, চলমান গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের বদলে দাঁড়িয়ে আবার কোনো কোনো জায়গায় ঝুলে যাত্রীরা গণপরিবহনে চলাচল করছেন। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা সিএনজিচালিত অটোরিক্সায়। গাদাগাদি করে চালকসহ ৬জন বসে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মিরাজ উদ্দিন বলেন, চারখাই থেকে বিয়ানীবাজার আসার পথে তার কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত বেশী ভাড়া আদায় করা হয়েছে। তবে তিনি যে গাড়িতে করে গন্তব্যে পৌছেন সেটিতে অর্ধেত যাত্রী বহণের নিয়ম মানা হয়নি। ওই গাড়িতে কারো মুখে মাস্ক ছিলনা। এমনকি চালক-হেলপারও ছিল মাস্কবিহীন।

সিলেট-বিয়ানীবাজার সড়কে চলাচলকারী অপর একটি গাড়ির হেলপার সাগর বলেন, আমরা সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়েছি। তবে লোকাল কিছু যাত্রী নিলে সেক্ষেত্রে এই হিসাব রাখা যায় না, তখন একটু বেশিই ভাড়া নিচ্ছি।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আরেক যাত্রী মো. কামরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে গাড়ি পাচ্ছিলাম না। কিছুক্ষণ আগে গাড়ি পেলেও ভাড়া দিগুণ। আসলে অর্ধেক যাত্রী পরিবহনে সরকার নির্দেশ দিলেও যানবাহন তো দ্বিগুণ হয়নি, ফলে গাড়ির সংকট বেড়েছে। আসলে এভাবে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে যানবাহন চলাচলের চেয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব সিটে যাত্রী পরিবহন করা যায়। কারণ সাধারণ সময়ই আমরা দাঁড়িয়ে বা ঝুলে চলাচল করি, সেখানে অর্ধেক যাত্রী নিলে গাড়ি সংকট হওয়া স্বাভাবিক। তিনি কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মার্কেট, বাজারে তো স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই; সব স্বাস্থ্যবিধি গণপরিবহনে পালন হলেই তো করোনা চলে যাবে না।

বিয়ানীবাজার পৌরশহরের একাধিক পরিবহণ স্ট্যান্ড ঘুরে দেখা গেছে, যাত্রী-চালক কারো মুখে মাস্ক নেই। পরিবহণ সংশ্লিষ্টরা অর্ধেক যাত্রী ওঠানোর নিয়মও লঙ্গণ করছেন।

এদিকে বুধবার করোনার ভয়াবহতা রোধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিক নূর’র বার্তা দিয়ে শহরজুড়ে প্রচারণা চালানো হয়েছে। এসব প্রচারণায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করতে অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সকলকে অবহিত করা হয়।