ডাক্তারি থেকে লেখালেখিতে ডা. সাহিত্য

লুৎফুর রহমান লুৎফুর রহমান

সম্পাদক ও সিইও, বায়ান্ন টিভি

প্রকাশিত: ১১:০১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৮, ২০২০ 813 views
শেয়ার করুন

 

উপস্থাপনার জগতে এক পরিচিত নাম ডা. ইমাম সিদ্দিক সাহিত্য । পেশায় একজন চিকিৎসক । ডাক্তারির মত কঠিন বিদ্যা ভালো করে রপ্ত করেছেন । এবার লেখক মহলের অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন নবীন এই চিকিৎসক । অমর একুশে বইমেলা ২০২১ এ তার ২টি যৌথ বই বের হচ্ছে । বইগুলো হলো, সাফা হক সম্পাদিত ‘ প্রেস্ক্রিপশন ‘ এবং কামরুল কানন সম্পাদিত ‘ এপ্রোনের অন্তরালে ‘ । বইগুলোতে তার গল্পগুলো হলো যথাক্রমে ‘ ক্রোনিকেলস অব করোনা ‘ – একটি মেডি সাইন্স ফিকশন এবং ‘ দি মিস্টেরিয়াস নাইট ‘ – মেডি হরর থ্রিলার । দর্শক মহলে বইগুলো দাগ কাটবে বলে বিশ্বাস তার । লিখালিখির কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, খুব ছোটবেলা থেকেই লিখালিখির অভ্যাসটা ছিলো । আমার গল্প আমার বাবা-মা পড়তেন । তারা সবসময় আমাকে সাপোর্ট করেন ও উৎসাহ দেন ভালো কিছু করার জন্য ।

‘ তারকালাপ ‘ সহ নানা জনপ্রিয় শো তিনি উপস্থাপনা করেন বিভিন্ন টিভিতে । দেশ ও দেশের বাইরের বিভিন্ন জ্ঞানী-গুনী ব্যক্তিবর্গের সাথে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ডা. সাহিত্য ।
ডাক্তারির পাশাপাশি এতো কিছু করেন কিভাবে? এর উত্তরে তিনি জানান, জীবনটা খুব সংক্ষিপ্ত আমাদের । যতটা বেশী কাজ করা যায়, তাতেই সার্থকতা । প্রতিটি সময়কে কাজে লাগানোর চেষ্টা করি ।

বাবা- মার অত্যন্ত প্রিয় সন্তানের বই বের হচ্ছে শুনে আবেগাপ্লুত তারা, এবারের বইমেলায় তারা যাবেন লেখকের পিতা-মাতা হিসেবে ।  ডা. সাহিত্যর জন্ম ঢাকার পিজি হাসপাতালে । তিনি ঢাকার ছেলে । ঢাকাতেই বেড়ে উঠা । লেখাপড়া, বাসাও ঢাকাতেই । আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ম্যাট্রিকে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি এবং ইন্টারমিডিয়েট সম্পন্ন করেন ঢাকা কলেজ থেকে । বসুন্ধরা আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজে ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন, এই মেডিকেলের সর্বপ্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি । ২০১৯ সালের নভেম্বরে সংঘটিত এম.বি.বি.এস ফাইনাল প্রফেশনাল পরীক্ষায় সাফল্যের সাথে কৃতকার্য হন । করোনার ক্রান্তিলগ্নে জীবন হাতে রেখে ইন্টার্ন চিকিৎসক হিসেবে যোগদান করেন বসুন্ধরা আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং দেশসেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেন । দেশের অত্যন্ত সংকটাপূর্ণ সময়েও দেশের মানুষের টানে করোনাযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন ।

সংস্কৃতমনা ব্যাক্তিত্ব ডা.সাহিত্যর সেলেব্রিটি লাইফ কেমন লাগে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন অনেকেই সেলফি তুলতে চায়, প্রোগ্রাম কবে জানতে চায় । অনেক রোগীও আমাকে চিনে ফেলে, মাস্ক পড়া থাকলেও । ভালোই এনজয় করি, দারুণ লাগে ব্যাপারটা ।

মেডিকেলে ডিবেট প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ বক্তা, স্টেজ শো, শর্ট ফিল্ম নির্মান,অভিনয়,বক্তৃতা দেয়া,লিখালিখি সহ বিভিন্ন কালচারাল এক্টিভিটির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকতেন ।
অভিনয় বা মডেলিং করবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ইতোমধ্যে মডেলের খাতায় নাম লিখিয়েছি, গত সপ্তাহে আমার ফটোসেশান ছিল । আর অভিনয়ও খুব ভালো লাগে । সময় সুযোগ পেলে নাটক বা সিনেমায় অভিনয় করতেও আপত্তি নেই । কয়েকটা টিভিসির অফারও পেয়েছি ।

ডাক্তারির পাশাপাশি সময় পেলেই লিখালিখি, উপস্হাপনা,মডেলিং করাসহ নানান সৃজনশীল সামাজিক কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করছেন ।
তার কাছে সবার আগে ডাক্তারি পেশা । চিকিৎসাসেবার মতো মহৎ পেশা আর নেই বলে তিনি মনে করেন । সকলের প্রিয়মুখ ডা. সাহিত্য মা- বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে একনিষ্ঠ হয়ে কাজ করছেন । সকলের দোয়া ও ভালোবাসা প্রার্থনা করেছেন নবীন এই তারকা ।