কোটি টাকা ব্যয়েও ঠেকানো যাচ্ছে না যমুনার ভাঙন

ইউনুস আলী শাওন ইউনুস আলী শাওন

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৬:৩৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৮, ২০২০ 613 views
শেয়ার করুন

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে যমুনার তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। নতুন করে ভাঙনে চর সলিমাবাদ ও চরবিনোনই গ্রামের আরও প্রায় ৪০টি ঘরবাড়িসহ বহু জায়গাজমি ও গাছপালা যমুনাগর্ভে চলে গিয়েছে।

এনিয়ে এক সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বহু স্থাপনা হুমকির মুখে রয়েছে। ওই এলাকায় কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেও ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছে না।

শাহজাদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী সুলতান আহমেদ জানান, উপজেলার খাজা ইউনুস আলি হসপিটাল হতে শুরু করে, ব্রাহ্মণগ্রাম, আরকান্দি , দাদসপট্টি সোনাতলা, জালালপুর, ঘাটাবাড়ি,সৈয়দপুর থেকে শুরু করে পাচিল পর্যন্ত নদী গর্ভ বিলিন হয়েছে। গত মাস ধরে এসব অঞ্চলে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে হাজারো মানুষের ঘরবাড়ি…এসব মানুষের আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে গেছে..মাথা গুজার ঠাই পাচ্ছে না।অনেকে সব কিছু হারিয়ে নিঃশ্বেষ হয়ে পড়েছে। এলাকার জনপ্রতিনিধিরাও এলাকার নদী ভাঙ্ন রক্ষার্থে নিজ নিজ সামর্থ অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে তন্মধ্যে অধ্যাপক বজলুল রশিদ, সৈকত আলি, মুল্লুক চান চেয়ারম্যান এবং অনেক সংগঠন এনায়েতপুর ইয়ুথ ফোরাম এরা নিরন্তন নদী ভাঙ্গন রোধে কাজ করে যাচ্ছেন।

২৫ (রবিবার) দিনভর ভাঙনে দু’টি গ্রামের ৪০টি ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের মুখ থেকে অনেক পরিবার অন্যত্র ঘরবাড়ি সরিয়ে নিলেও সেখানেও রেহাই হচ্ছে না। ইতোমধ্যেই বহু পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং অনেক পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থদের আর্থিক সহযোগিতা ও দেখাশোনার জন্য আমাকে প্রধান করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটিটি ইতোমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করা ও আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া শুরু হয়েছে।

এবিষয়ে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সেরাজুল ইসলাম জানান, ওই উপজেলার ভাঙন ঠেকাতে ইতোমধ্যেই ৪ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। যমুনায় এখন পানি কমতে থাকায় এই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। বিশেষ করে বর্ষার আগে ও পরে এই অঞ্চলের ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ, ব্লক ও বালির বস্তা ফেলা হয়েছে। এতে ভাঙন কিছুটা প্রতিরোধ হলেও আবারও অনেক স্থানে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে।