ঘুরে আসুন হাওরের জেলা কিশোরগঞ্জে

আরীফুল ইসলাম আরীফুল ইসলাম

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৮:২৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০২০ 981 views
শেয়ার করুন

এইতো ক’দিন আগের কথা। নদ-নদীতে সামান্য পানি থাকার কারণে বহু পথ পাড়ি দিয়ে যেতে হতো গন্তব্যে। সে সময় শুকানো হাওরে বোরো ফসল ফলানোর কঠোর পরিশ্রম করতো হাওরবাসী। দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য জমির ফসল হাটে নিতে দুর্ভোগ পোহাতো কৃষকেরা। মাছ বাজারে নেবার আগেই পঁচে যেতো জেলেদের।

বর্তমানে রয়েছে এ হাওরাঞ্চলে তিনটি ফেরি, তিনটি বড় সেঁতু আর বিস্তৃত অলওয়েদার সড়ক ও ডুবো সড়ক। মহামান্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের দৃষ্টির ছোঁয়ায় হাওরবাসী ফিরে পেয়েছে প্রাণ। যোগাযোগে এসেছে প্রাণ চাঞ্চল্যতা। হাওরের ঘরে ঘরে শোভা পাচ্ছে বিদ্যুৎ। কিশোরগঞ্জের বিস্তীর্ণ হাওরের বুক চিঁরে এঁকেবেঁকে চলা দৃষ্টিনন্দন বিস্ময়কর অলওয়েদার সড়ক, ডুবো সড়ক ও অপরূপ সুন্দর্য উপভোগ করতে এখন দূর- দূরান্ত থেকে অগণিত পর্যটক ছুটে আসছে এখনে। এর ফলে জীবিকা নির্বাহ করার সুযোগ পাচ্ছে শত- শত বেকার।

ছল ছল জল তরঙ্গের দোলায় দুলতে দুলতে কখনো যদি পর্যটকদের এক ঘেঁয়েমী চলে আসে তখন ইটনা- মিঠামইন- অষ্টগ্রাম সড়ক ধরে পথ ভোলা পথিকের মত ছুঁটে চলতে পারেন আপনিও। দূর দূরান্তে লোকালয় থাকায় ব্যাক্তিগত মোটরসাইকেল কিংবা স্থানীয় ছোট ছোট যান বাহনে যেতে পারবেন আপনার কাঙ্খিত গন্তব্যে। আবাসস্থলের তেমন সুবিধা না থাকায় সকালে এসে সন্ধ্যায় ফিরে যেতে হয় পর্যটকদের। তবুও এখন নৌসর্গিক সুন্দর্যের নবরুপ সৃষ্টি হয়েছে কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চল নিকলী বেঁড়ীবাঁধ, ছাতিরচর, মিঠামইন রাষ্ট্রপতির বাড়ি সহ ইটনা- মিঠামইন- অষ্টগ্রাম সড়কটি। এখানে এসে পর্যটকরা প্রকৃতিকে উপভোগ করছেন নব রুপে।